রাজধানীতে এবার এক যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওয়ারীর জয়কালী মন্দির মোড়ে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাসযাত্রীর নাম ইরফান আহমেদ (৪৮)। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে যাত্রী ইরফানকে চালকের সহকারী বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে বলে জানা গেছে। বাসচালকের ঘাতক সহকারীর নাম মোজাম্মেল।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নটর ডেম শিক্ষার্থী নিহত ও এর জের ধরে ব্যাপক আন্দোলনের রেশ না কাটতেই এ ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনায় পুলিশ গ্রিন বাংলা পরিবহনের বাসটির চালককে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত চালকের সহকারী মোজাম্মেল পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত ইরফানের শরীরে কিল, ঘুষি ও নীল ফুলা জখম রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভাড়া নিয়ে তর্কে জড়ানোর পর চালকের সহকারী তাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইরফান পুরান ঢাকার নবাবপুরের একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী ইসমত আরা ও এক মেয়ে নিয়ে ডেমরার শারুলিয়ার বড়ভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে শারুলিয়া থেকে কর্মস্থল নবাবপুরে যাওয়ার উদ্দেশে গ্রিন বাংলা বাসে উঠেন তিনি। পথিমধ্যে ইরফানকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার খবরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। ইরফানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জসীমউদ্দিন নামে এক পথচারী। জসীমউদ্দিন জানান, গ্রিন বাংলা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৯৫৬) থেকে হেলপার ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ইরফান আহমেদ নামে এই ব্যক্তিকে। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানতে পেরেছি, ওই বাস ও হেলপারকে আটক করেছে লোকজন।
ওয়ারী থানার প্যাট্রল সাব-ইন্সপেক্টর (পিএসআই) আরাফাত হোসেন জানান, চালকের সহকারী মোজাম্মেল যাত্রী ইরফানকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা মোজাম্মেলকে আটক করে। পরে কৌশলে পালিয়ে যায় মোজাম্মেল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গ্রিন বাংলা নামের বাসটি জয়কালী মন্দিরের কাছে পৌঁছালে ইরফানকে বাস থেকে সড়কে পড়ে যেতে দেখা যায়। পথচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাছের সালাউদ্দিন হাসপাতালে নেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ইরফানের স্ত্রী ইসমত আরা ও ভাই রায়হান আহমেদ ঢাকা মেডিকেলে যান। এ সময় রায়হান অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে বাসচালকের সহকারীর কথা-কাটাকাটি হয় বলে তারা জানতে পেরেছেন। এর জের ধরে চালকের সহকারী তার ভাইকে বাসের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে।
ওয়ারী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাওসার হোসাইন বলেন, চালকের সহকারী ইরফানকে কিল, ঘুষি দিয়ে জখম করে। নিহতের চোখের নিচে নীল ফুলা রয়েছে। বাসে মারধরের পর ইরফান বাস থেকে নামার সময় ফের হাতাহাতি হয়। তখন চালকের সহকারী ইরফানকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয়। তখন অচেতন হয়ে পড়ে ইরফান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বাসটি মাতুয়াইল থেকে জব্দ করা হয়েছে। এর চালককেও আটক করা হয়েছে। তবে চালক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ঘটনার সময় সে বাস চালানো অবস্থায় ছিল। দায়ী সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী ২০২২
রাজধানীতে এবার এক যাত্রীকে চলন্ত বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওয়ারীর জয়কালী মন্দির মোড়ে বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাসযাত্রীর নাম ইরফান আহমেদ (৪৮)। ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে যাত্রী ইরফানকে চালকের সহকারী বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে বলে জানা গেছে। বাসচালকের ঘাতক সহকারীর নাম মোজাম্মেল।
সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় নটর ডেম শিক্ষার্থী নিহত ও এর জের ধরে ব্যাপক আন্দোলনের রেশ না কাটতেই এ ঘটনা ঘটল।
এ ঘটনায় পুলিশ গ্রিন বাংলা পরিবহনের বাসটির চালককে আটক করেছে। তবে মূল অভিযুক্ত চালকের সহকারী মোজাম্মেল পলাতক রয়েছে। পুলিশ বলছে, নিহত ইরফানের শরীরে কিল, ঘুষি ও নীল ফুলা জখম রয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে ভাড়া নিয়ে তর্কে জড়ানোর পর চালকের সহকারী তাকে মারধর করে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত ইরফান পুরান ঢাকার নবাবপুরের একটি ইলেকট্রিকের দোকানে কাজ করতেন। স্ত্রী ইসমত আরা ও এক মেয়ে নিয়ে ডেমরার শারুলিয়ার বড়ভাঙ্গা এলাকায় থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালে শারুলিয়া থেকে কর্মস্থল নবাবপুরে যাওয়ার উদ্দেশে গ্রিন বাংলা বাসে উঠেন তিনি। পথিমধ্যে ইরফানকে বাস থেকে ফেলে দেয়ার খবরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুটে আসেন পরিবারের লোকজন। ইরফানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন জসীমউদ্দিন নামে এক পথচারী। জসীমউদ্দিন জানান, গ্রিন বাংলা পরিবহনের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৭৯৫৬) থেকে হেলপার ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় ইরফান আহমেদ নামে এই ব্যক্তিকে। পরে আমি তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানতে পেরেছি, ওই বাস ও হেলপারকে আটক করেছে লোকজন।
ওয়ারী থানার প্যাট্রল সাব-ইন্সপেক্টর (পিএসআই) আরাফাত হোসেন জানান, চালকের সহকারী মোজাম্মেল যাত্রী ইরফানকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে ফেলে দেয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা মোজাম্মেলকে আটক করে। পরে কৌশলে পালিয়ে যায় মোজাম্মেল। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, গ্রিন বাংলা নামের বাসটি জয়কালী মন্দিরের কাছে পৌঁছালে ইরফানকে বাস থেকে সড়কে পড়ে যেতে দেখা যায়। পথচারীরা তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে কাছের সালাউদ্দিন হাসপাতালে নেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ইরফানের স্ত্রী ইসমত আরা ও ভাই রায়হান আহমেদ ঢাকা মেডিকেলে যান। এ সময় রায়হান অভিযোগ করেন, তার ভাইয়ের সঙ্গে বাসচালকের সহকারীর কথা-কাটাকাটি হয় বলে তারা জানতে পেরেছেন। এর জের ধরে চালকের সহকারী তার ভাইকে বাসের দরজা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করে।
ওয়ারী থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কাওসার হোসাইন বলেন, চালকের সহকারী ইরফানকে কিল, ঘুষি দিয়ে জখম করে। নিহতের চোখের নিচে নীল ফুলা রয়েছে। বাসে মারধরের পর ইরফান বাস থেকে নামার সময় ফের হাতাহাতি হয়। তখন চালকের সহকারী ইরফানকে ধাক্কা দিয়ে বাস থেকে নিচে ফেলে দেয়। তখন অচেতন হয়ে পড়ে ইরফান। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বাসটি মাতুয়াইল থেকে জব্দ করা হয়েছে। এর চালককেও আটক করা হয়েছে। তবে চালক ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। ঘটনার সময় সে বাস চালানো অবস্থায় ছিল। দায়ী সহকারীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।