মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে দালালের মাধ্যমে রোগী এনে ভুল চিকিৎসায় আতিকা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের মালিক নূর নবী পলাতক থাকলেও এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করে। যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো- অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. দেওয়ান মো. আনিসুর রহমান, ডা. এ কে এম নিজামুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ ও নার্স মুক্তা।
শিশু আতিকার বাবা আজিম বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিনে দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে ঊরুর হাড় ভেঙে যায় আতিকার। এরপর আমরা বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসা করি কিন্তু তাতে আমার মেয়ে ভালো না হওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর দালাল শাহজাহান ও সাব্বিরের মাধ্যমে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৭ মে) মেয়েকে ভর্তি করি। হাসপাতালের মালিক নুর নবীর সঙ্গে বসে অপারেশনের বিষয়ে কথা বলি। হাড় জোড়া লাগানোর জন্য রাতে অপারেশন করা হয়। অপারেশন করার পর আমার মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়টি কিছুই জানায়নি। এরপর আমার স্ত্রী সকালে দেখে আতিকার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে আসে। এসে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজিব পাটোয়ারী বলেন, আমরা খবর পেয়ে মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই এবং শিশুটির মা-বাবাকে থানায় নিয়ে আসি বিষয়টি জানার জন্য। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা-মা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল
বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে দালালের মাধ্যমে রোগী এনে ভুল চিকিৎসায় আতিকা (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসপাতালের মালিক নূর নবী পলাতক থাকলেও এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) ভোরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চারজনকে আটক করে। যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলো- অ্যানেসথেসিওলজিস্ট ডা. দেওয়ান মো. আনিসুর রহমান, ডা. এ কে এম নিজামুল ইসলাম, মেডিকেল অফিসার ডা. মারুফ ও নার্স মুক্তা।
শিশু আতিকার বাবা আজিম বলেন, রমজান মাসের প্রথম দিনে দোলনা থেকে পড়ে গিয়ে ঊরুর হাড় ভেঙে যায় আতিকার। এরপর আমরা বিভিন্ন কবিরাজি চিকিৎসা করি কিন্তু তাতে আমার মেয়ে ভালো না হওয়ায় পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যাই। এরপর দালাল শাহজাহান ও সাব্বিরের মাধ্যমে মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৭ মে) মেয়েকে ভর্তি করি। হাসপাতালের মালিক নুর নবীর সঙ্গে বসে অপারেশনের বিষয়ে কথা বলি। হাড় জোড়া লাগানোর জন্য রাতে অপারেশন করা হয়। অপারেশন করার পর আমার মেয়ের জ্ঞান ফেরেনি। কিন্তু তারা আমাদের বিষয়টি কিছুই জানায়নি। এরপর আমার স্ত্রী সকালে দেখে আতিকার মুখ ফ্যাকাসে হয়ে যাচ্ছে। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ হাসপাতালে আসে। এসে চারজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার মেয়ের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মুজিব পাটোয়ারী বলেন, আমরা খবর পেয়ে মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠাই এবং শিশুটির মা-বাবাকে থানায় নিয়ে আসি বিষয়টি জানার জন্য। ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা-মা মোহাম্মদপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।