পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি
উদ্বোধনের পরে শুরু হবে কাজ
পদ্মা সেতুতে থাকবে আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) ব্যবস্থা। দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো করে পদ্মা সেতুটি আলোকসজ্জা করা হবে। বিশেষ বিশেষ দিনে এই বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হবে পদ্মা সেতু। তবে এখনও এই বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেতু স্প্যান (ইস্পাতের কাঠামো) ও কংক্রিটের গায়ে এই বাতি স্থাপন করা হবে। উদ্বোধনের পরে এই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটা শেষ করতে ছয় মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মূল সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানেই আর্কিটেকচারাল লাইটিং স্থাপনের কাজ করবে। তবে কাজ তারা নিজেরা না অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে পারে। এখনো সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি। উদ্বোধনের পরে এটার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই কাজ করতে ছয় মাস লাগতে পারে।’
জানা গছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সব ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শোর মতো ল্যাম্পপোস্ট বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে ল্যাম্পপোস্ট ছাড়াও আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) ব্যবস্থা থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। যা আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালে রেলপথ ছাড়া একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে রেলপথ যুক্ত করে প্রথম দফায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় দ্বিগুণের বেশি। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণের টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এক শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আর মাত্র ১৫ দিন বাকি
উদ্বোধনের পরে শুরু হবে কাজ
বৃহস্পতিবার, ০৯ জুন ২০২২
পদ্মা সেতুতে থাকবে আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) ব্যবস্থা। দুবাইয়ের বুর্জ আল খলিফার মতো করে পদ্মা সেতুটি আলোকসজ্জা করা হবে। বিশেষ বিশেষ দিনে এই বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হবে পদ্মা সেতু। তবে এখনও এই বাতি স্থাপনের কাজ শুরু হয়নি। বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেতু স্প্যান (ইস্পাতের কাঠামো) ও কংক্রিটের গায়ে এই বাতি স্থাপন করা হবে। উদ্বোধনের পরে এই নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এটা শেষ করতে ছয় মাস লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মূল সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানেই আর্কিটেকচারাল লাইটিং স্থাপনের কাজ করবে। তবে কাজ তারা নিজেরা না অন্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে করতে পারে। এখনো সাব ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়নি। উদ্বোধনের পরে এটার নির্মাণ কাজ শুরু হবে। এই কাজ করতে ছয় মাস লাগতে পারে।’
জানা গছে, ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুতে মোট ৪১৫টি ল্যাম্পপোস্ট (সড়ক বাতি) বসানো হয়েছে। এর মধ্যে মূল সেতুতে ৩২৮টি, জাজিরা প্রান্তের উড়ালপথ (ভায়াডাক্ট) ৪৬টি, মাওয়া প্রান্তের ভায়াডাক্টে ৪১টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। গত বছর ২৫ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে প্রথম ল্যাম্পপোস্ট বসানোর কাজ শুরু হয়েছিল। গত ১৮ এপ্রিল এসব ল্যাম্পপোস্ট ও এর মধ্যে বাতি লাগানোর কাজ শেষ হয়। আগামী ১৫ জুনের মধ্যে সব ল্যাম্পপোস্টে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হবে। এ পর্যন্ত প্রায় দেড়শোর মতো ল্যাম্পপোস্ট বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। তবে ল্যাম্পপোস্ট ছাড়াও আর্কিটেকচারাল লাইটিং (স্থাপত্য আলো) ব্যবস্থা থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।
প্রকল্প সূত্র জানায়, ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে পদ্মা সেতু। যা আগামী ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালে রেলপথ ছাড়া একনেকে প্রকল্প অনুমোদনের সময় ব্যয় ধরা হয়েছিল ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকা। ২০১১ সালে রেলপথ যুক্ত করে প্রথম দফায় প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি করা হয় দ্বিগুণের বেশি। তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় দফায় ২০১৬ সালে ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। তৃতীয় দফায় ২০১৮ সালে এক হাজার ৪০০ কোটি টাকা বাড়িয়ে ব্যয় নির্ধারণ করা হয় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঋণের টাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এক শতাংশ হারে সুদসহ ৩৫ বছরে এই ঋণ পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (এমবিইসি) ও নদীশাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো করপোরেশন।