# উদ্বােধন করলেন স্থানীয় সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র
“আমার বাড়ি ধোপাদীঘি। এক নম্বর ধোপাদীঘি। এই দীঘি অনেক বড় ছিলো। মুঘল আমলে এটা ধোপার কাজে ব্যবহার হতো। আজ এই দিঘীতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হয়েছে। আমরা এখন থেকে এখানে হাঁটবো। এতে আমি খুই আনন্দিত।”
বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন। সিলেট নগরের এই ধােপাদিঘীর পাড় দীর্ঘদিন থেকেই দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভরাট করে গড়ে উঠেছিল নানা স্থাপনা। অবশেষে সেই জায়গা উদ্ধারের পর ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়। শনিবার উদ্বােধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন, সিলেট সিটি করপােরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
এ প্রকল্পে ভারত সরকার ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থায়ন করে।
একসময় সিলেট পুরনো কারাগারের পাশের দীঘিটিতে স্থানীয় ধোপারা কাপড় ধৌত করতেন। এ থেকেই দীঘিটির নাম ধোপাদিঘী আর এলাকার নাম হয় ধোপাদিঘীর পাড়। একপর্যায়ে দীঘির পাড় দখল করে প্রভাবশালীরা নির্মাণ করে স্থাপনা। দীঘিতে পানি ছিল ৩ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে। চারপাশে দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের পর পানির সীমানা বেড়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ একরে উন্নীত হয়েছে। নোংরা দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধোপাদিঘীতে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। পুকুরে নামার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট। পুকুরের নোংরা পানিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। নৈসর্গবিদের পরামর্শে গাছ লাগানো হবে। স্থাপন করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট।
সিটি করপােরেশন জানায়, ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ের পাশাপাশি আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র। বাকি প্রকল্প দুটি হচ্ছে, ৬ তলা বিশিষ্ট চারাদিঘীরপার স্কুল ও কাস্টঘর সুইপার কলোনি। এ তিন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর ধোপাদিঘী শিগগিরিই সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ধোপাদিঘী রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেই মূলত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। দিঘী খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাড় বাঁধানো ও ঘাট তৈরি তৈরি করা ছিল এ প্রকল্পের মূল কাজ।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল সিলেট নগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি নির্মল পরিবেশের স্থান গড়ে তোলা। আমরা সেই চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে ধোপাদীঘিকে সাজানো হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘দিঘী এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর প্রবেশপথ থাকবে সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশে। রাতের বেলা আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে নগরবাসী যেকোনো সময় এখানে এসে হাঁটাচলা করতে পারবেন।’
# উদ্বােধন করলেন স্থানীয় সরকার, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতীয় হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র
শনিবার, ১১ জুন ২০২২
“আমার বাড়ি ধোপাদীঘি। এক নম্বর ধোপাদীঘি। এই দীঘি অনেক বড় ছিলো। মুঘল আমলে এটা ধোপার কাজে ব্যবহার হতো। আজ এই দিঘীতে ওয়াকওয়ে নির্মাণ হয়েছে। আমরা এখন থেকে এখানে হাঁটবো। এতে আমি খুই আনন্দিত।”
বলছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন। সিলেট নগরের এই ধােপাদিঘীর পাড় দীর্ঘদিন থেকেই দখলদারদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ভরাট করে গড়ে উঠেছিল নানা স্থাপনা। অবশেষে সেই জায়গা উদ্ধারের পর ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়। শনিবার উদ্বােধন করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো.তাজুল ইসলাম, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মােমেন, সিলেট সিটি করপােরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
এ প্রকল্পে ভারত সরকার ২১ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা অর্থায়ন করে।
একসময় সিলেট পুরনো কারাগারের পাশের দীঘিটিতে স্থানীয় ধোপারা কাপড় ধৌত করতেন। এ থেকেই দীঘিটির নাম ধোপাদিঘী আর এলাকার নাম হয় ধোপাদিঘীর পাড়। একপর্যায়ে দীঘির পাড় দখল করে প্রভাবশালীরা নির্মাণ করে স্থাপনা। দীঘিতে পানি ছিল ৩ দশমিক ৪১ একর জায়গাজুড়ে। চারপাশে দখল হওয়া জায়গা উদ্ধারের পর পানির সীমানা বেড়ে কমপক্ষে ৩ দশমিক ৭৫ একরে উন্নীত হয়েছে। নোংরা দুর্গন্ধময় পরিত্যক্ত এই দীঘিকে অপরূপ সৌন্দর্যে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।
২০১৮ সালের ২৩ এপ্রিল সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা থেকে এই প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়। সিসিক ধোপাদিঘীকে নতুন রূপ দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর ভারত সরকার এগিয়ে আসে এর অর্থায়নে। ‘ধোপাদিঘী এরিয়া ফর বেটার এনভায়মেন্ট অ্যান্ড বিউটিফিকেশন’ নামে প্রকল্প গ্রহণ করে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ শুরু হয়।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ধোপাদিঘীতে সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। বসার জন্য রয়েছে বেঞ্চ। পুকুরে নামার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ঘাট। পুকুরের নোংরা পানিকে পরিষ্কার করা হচ্ছে। নৈসর্গবিদের পরামর্শে গাছ লাগানো হবে। স্থাপন করা হয়েছে পাবলিক টয়লেট।
সিটি করপােরেশন জানায়, ধোপাদিঘী ওয়াকওয়ের পাশাপাশি আরও তিনটি প্রকল্প উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের হাইকমিশনার ও সিসিক মেয়র। বাকি প্রকল্প দুটি হচ্ছে, ৬ তলা বিশিষ্ট চারাদিঘীরপার স্কুল ও কাস্টঘর সুইপার কলোনি। এ তিন প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ২১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আর ধোপাদিঘী শিগগিরিই সাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, ‘ধোপাদিঘী রক্ষা করে পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতেই মূলত সৌন্দর্যবর্ধন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। দিঘী খনন, ওয়াকওয়ে নির্মাণ, পাড় বাঁধানো ও ঘাট তৈরি তৈরি করা ছিল এ প্রকল্পের মূল কাজ।’
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন থেকে আমার স্বপ্ন ছিল সিলেট নগরবাসীর হাঁটাচলার জন্য একটি নির্মল পরিবেশের স্থান গড়ে তোলা। আমরা সেই চেষ্টা করছি। এর অংশ হিসেবে ধোপাদীঘিকে সাজানো হয়েছে।’
মেয়র বলেন, ‘দিঘী এলাকা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এর প্রবেশপথ থাকবে সিটি করপোরেশনের মসজিদের উত্তর পাশে। রাতের বেলা আলোকসজ্জার ব্যবস্থা থাকবে। ফলে নগরবাসী যেকোনো সময় এখানে এসে হাঁটাচলা করতে পারবেন।’