শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে অফিস যাওয়ার জন্য বের হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। সাড়ে ৮টায় অফিসে পৌঁছানোর তাড়া। কোথাও কোন গণপরিবহন নেই। সিএনজি চালক সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া চাইছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে আশপাশে পাঠাও চালকরাও নাই। অগত্যা আড়াইশ’ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে মিরপুর থেকে ফার্মগেট আসেন তিনি। সকাল সকাল এমন দুর্ভোগে পড়েন অনেকেই। ফারহানা লুনা স্কুল শিক্ষক বলেন, মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফোনে রাস্তার অবস্থা অর্থাৎ গাড়ি না পাওয়ায়, অনেকটা সময় পর যা-ও ২-১টা গাড়ি আসছে তাও যাত্রী বোঝাই করে, কোনভাবেই তিনি উঠতে পারলেন না। কী আর করা, প্রধান শিক্ষককে ফোনে জানিয়ে বাসায় ফেরত গেলেন। এরই মধ্যে অনেকেই শেয়ার করে রিকশায় চেপে গন্তব্যের দিকে যান।
হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল কমে গেছে। পরিবহন কম থাকায় তাতে উঠতে যাত্রীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আবার বাসে ওঠার সুযোগ পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। মাঝে মধ্যে দু-একটি বাস এলেও সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা। দু-একজন নেমে গেলে অপেক্ষারতরা বাসে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দু-একজন বাসে ঠাঁই পেলেও বাকিরা হতাশ হয়ে পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর হেঁটেই রওনা হচ্ছেন অনেকে।
বাংলামোটর মোড়ে দেখা গেছে, যাত্রীতে ঠাসা শিকড় পরিবহনের একটি বাস আসে। গেটেও কয়েকজন দাঁড়ানো। এরমধ্যেই বাসে ওঠার চেষ্টা করলে চালকের সহকারী বলেন, ১৫ টাকার কম হলে কেউ বাসে উইঠেন না। ওই বাস থেকে নামেন মুন আক্তার। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কোনরকম বাসে উঠেছিলাম। ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নিয়েছে।
তবে বাস সংকটের কারণে পোয়াবারো রিকশাচালকদের। সুযোগ বুঝে তারাও বাড়িয়েছেন দাম। কারওয়ান বাজার থেকে মাকে নিয়ে বারডেম হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করেও সিএনজি পাননি এখলাস উদ্দিন। উপায় না পেয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত স্ত্রীকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসেন। কয়েকটি রিকশা পাওয়া গেলেও সবাই ৫০ টাকার ওপরে দাম হাঁকেন। এখলাস উদ্দিন বলেন, এইটুকু জায়গার জন্য ৫০ টাকা ভাড়া! কোন দেশে আছি আমরা। যে যেভাবে পারছে, কেউ দেখার নাই।
গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের পুনর্নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রল ১৩০ টাকা করা হয়। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।
শনিবার, ০৬ আগস্ট ২০২২
শনিবার (৬ আগস্ট) সকালে অফিস যাওয়ার জন্য বের হয়ে বিড়ম্বনায় পড়েন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম। সাড়ে ৮টায় অফিসে পৌঁছানোর তাড়া। কোথাও কোন গণপরিবহন নেই। সিএনজি চালক সুযোগ বুঝে বেশি ভাড়া চাইছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির কারণে আশপাশে পাঠাও চালকরাও নাই। অগত্যা আড়াইশ’ টাকায় সিএনজি ভাড়া করে মিরপুর থেকে ফার্মগেট আসেন তিনি। সকাল সকাল এমন দুর্ভোগে পড়েন অনেকেই। ফারহানা লুনা স্কুল শিক্ষক বলেন, মিরপুর-১২ বাসস্ট্যান্ড থেকে ফোনে রাস্তার অবস্থা অর্থাৎ গাড়ি না পাওয়ায়, অনেকটা সময় পর যা-ও ২-১টা গাড়ি আসছে তাও যাত্রী বোঝাই করে, কোনভাবেই তিনি উঠতে পারলেন না। কী আর করা, প্রধান শিক্ষককে ফোনে জানিয়ে বাসায় ফেরত গেলেন। এরই মধ্যে অনেকেই শেয়ার করে রিকশায় চেপে গন্তব্যের দিকে যান।
হঠাৎ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে শনিবার সকাল থেকেই রাজধানীতে গণপরিবহন চলাচল কমে গেছে। পরিবহন কম থাকায় তাতে উঠতে যাত্রীদের রীতিমতো যুদ্ধ করতে হচ্ছে। আবার বাসে ওঠার সুযোগ পেলেও অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হচ্ছে যাত্রীদের।
রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, বাংলামোটর ও শাহবাগ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বাসের জন্য অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে আছেন। মাঝে মধ্যে দু-একটি বাস এলেও সেগুলো যাত্রীতে ঠাসা। দু-একজন নেমে গেলে অপেক্ষারতরা বাসে ওঠার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। দু-একজন বাসে ঠাঁই পেলেও বাকিরা হতাশ হয়ে পরের বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর হেঁটেই রওনা হচ্ছেন অনেকে।
বাংলামোটর মোড়ে দেখা গেছে, যাত্রীতে ঠাসা শিকড় পরিবহনের একটি বাস আসে। গেটেও কয়েকজন দাঁড়ানো। এরমধ্যেই বাসে ওঠার চেষ্টা করলে চালকের সহকারী বলেন, ১৫ টাকার কম হলে কেউ বাসে উইঠেন না। ওই বাস থেকে নামেন মুন আক্তার। তিনি বলেন, দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর কোনরকম বাসে উঠেছিলাম। ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা নিয়েছে।
তবে বাস সংকটের কারণে পোয়াবারো রিকশাচালকদের। সুযোগ বুঝে তারাও বাড়িয়েছেন দাম। কারওয়ান বাজার থেকে মাকে নিয়ে বারডেম হাসপাতালে যাওয়ার জন্য বেশ খানিকটা সময় অপেক্ষা করেও সিএনজি পাননি এখলাস উদ্দিন। উপায় না পেয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত স্ত্রীকে হাঁটিয়ে নিয়ে আসেন। কয়েকটি রিকশা পাওয়া গেলেও সবাই ৫০ টাকার ওপরে দাম হাঁকেন। এখলাস উদ্দিন বলেন, এইটুকু জায়গার জন্য ৫০ টাকা ভাড়া! কোন দেশে আছি আমরা। যে যেভাবে পারছে, কেউ দেখার নাই।
গতকাল শুক্রবার রাত ১২টা থেকে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রলের পুনর্নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা মূল্য লিটারপ্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা, লিটারপ্রতি অকটেন ১৩৫ টাকা ও লিটারপ্রতি পেট্রল ১৩০ টাকা করা হয়। এতদিন কেরোসিন ও ডিজেল প্রতি লিটার ৮০ টাকা, অকটেন ৮৯ টাকা প্রতি লিটার ও পেট্রল ৮৬ টাকা প্রতি লিটারে বিক্রি হচ্ছিল।