alt

নগর-মহানগর

বিআরটি প্রকল্পে নির্মাণ গাফিলতির কারণে বারবার দুর্ঘটনা

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ : মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

ঢাকা-ময়মনসিংহ ব্যস্ততম মহাসড়কে ও উত্তরায় চলাচলকারী পরিবহন দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে এভাবেই। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা -সোহরাব আলম

বিআরটি প্রকল্পে গত এক মাস আগে গাজীপুরে নির্মাণাধীন লঞ্চিং গার্ডার স্থানান্তরের সময় গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রকল্পের নিরাপত্তায় গাফলতি থাকায় দক্ষ জনবল নিয়োগসহ একাধিক সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) একইভাবে বক্স গার্ডারের চাপায় ৫ জন প্রাইভেটকার যাত্রী নিহত হয়। এ নিয়ে বিআরটি প্রকল্পের ৫টি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্মাণ গাফিলতি ও যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার কারণে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে এই প্রকল্প এলাকায়।

সোমবারের দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি দেখভাল করার দায়িত্ব প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ ব্যস্তমত মহাসড়কের উত্তরা বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর শিববাড়ী পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি-৩) প্রকল্পটি। এই সড়ক পথে নিরবচ্ছিন্ন বাস চলাচল পথ (বিআরটি) তৈরির যে পরিমাণ নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার কথা ছিল তা কিছুই ছিল না প্রকল্প এলাকায়।

ধীরগতি ও গাফিলতির কারণে প্রকল্পের চার বছরের কাজ চলছে ১০ বছর যাবত। নির্মাণ কাজ চলাকালে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরির কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রকল্প এলাকায় ছিল না কোন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। প্রকল্পের কাজের কারণে বিভিন্ন দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি শিকার হতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।

দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে একাধিক সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। তাই গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলার সর্বোচ্চ নজির দেখা বিআরটি প্রকল্পে। এই জন্য শুধু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করলে হবে না। প্রকল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক সংবাদকে বলেন, ‘ব্যস্ততম সড়কে নির্মাণ কাজ করার জন্য যে পরিমাণ কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) থাকার কথা ছিল তা কোনটাই এই প্রকল্পে ছিল না। অফ টাইমে কাজ করার সুযোগ না থাকলে দিনের বেলায় কাজ করতে হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হয়। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কাজ থেকে সহায়তা নিতে হয়। কারণ যেকোন সময় ভারী বস্তু পড়ে যেতে পারে। এতে যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নির্মাণ কাজ করতে হয়। তাই দুর্ঘটনায়র জন্য ঠিকাদার ও প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশের জবাবদিহিতা রয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ইচ্ছে করলে কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। বড় প্রকল্পে নির্মাণের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় বার বার এই দুর্ঘটনা ঘটছে। এর আগেও কয়েক বার বড় প্রকল্পে গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।’ এতে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বলে জানান তিনি।

দুর্ঘটনার তদন্ত হলেও সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দীন এলাকায় বক্স গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এর আগে গত ১৫ জুলাই গাজীপুর এলাকায় বিআরটির নির্মাণাধীন লঞ্চিং গার্ডার স্থানান্তরের সময় গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন।

এছাড়া গত বছর ১৪ মার্চ বিমানবন্দর এলাকায় এবং আবদুল্লাহপুরে দুইবার গার্ডারধসের ঘটনা ঘটে। এতে নির্মাণকাজে যুক্ত ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজন চীনের নাগরিক ছিলেন। এই সব দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

গত ১৫ জুলাই দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ ভিত্তিতে গত ১১ আগস্ট সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এগুলো হলো এক. প্রকল্পের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বর্তমান লোকবল পরিবর্তন করে দক্ষ নতুন লোকবল নিয়োগ করা, দুই. নির্মাণকালীন নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ না করায় চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া. তিন. নিরাপদ কর্মপরিবেশ অনুসরণ নিশ্চিত করতে সিজিজিসি এবং ইপিসিএম উভয়ের কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল নিয়োগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এসব কোন নির্দেশনার কোনটাই বিআরটি প্রকল্প এলাকায় মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করল মন্ত্রণালয়

সোমবার রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর বক্স গার্ডার ছিটকে পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারটি কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপকে দায়ী করছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী। এ সময় তিনি বলেন, উত্তরা বিআরটি প্রকল্পের দুর্ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে দুর্ঘটনার জন্য চারটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলোÑ প্রথমত, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ অবহেলা এর কারণ। সোমবার ছুটি ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ বন্ধ থাকলেও কাজ চালানো হয়। ওয়ার্ক প্ল্যান ছিল না। দ্বিতীয়ত, ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়নি। তৃতীয়ত, দুর্ঘটনাস্থলে সড়কটির একাংশ উঁচু এবং অপরকাংশ নিচু ছিল। ক্রেনটি কার্যক্রম চালানোর সময় একটি চেইন উঁচু অংশে এবং আরেকটি নিচু অংশে ছিল। ফলে ক্রেনটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। চতুর্থত, বিকেলের দিকে হঠাৎ যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং সেগুলো ক্রেনের খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপারেটর বিচলিত হয়ে হঠাৎ ব্রেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার বলেন, ‘এর আগে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি পাওয়া গেছে। এই বিষয়গুলো চীনা দূতবাসে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) সেফটির বিষয়টি অনেকবারই লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে জানাতে চাই। এটা তদন্তে আমরা বলেছি।’

নীলিমা আখতার বলেন, আমাদের কাজটি প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে গেছে। এখন আমরা শাস্তি দিতে পারি, তাদের বাতিল করে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা যদি পুনরায় কন্ট্রাক্টর সিলেকশনে যাই তাহলে আমাদের জনগণকে আরও ভোগান্তির দিকে ঠেলে দেয়া হবে। কিন্তু ভোগান্তি এক জিনিস আর লাশ দেখা আরেক জিনিস। সেজন্য আমরা আর কম্প্রোমাইজ করছি না।

চার বছরের প্রকল্প চলছে ১০ বছর

২০১২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন করে সরকার। গাজীপুর শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি সড়কটি তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তিতে সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা উন্নীত করা হয়। মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিপিপি আরও এক দফা সংশোধন করা হয়ে। যা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।

২০১২ সালে নেয়া বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উড়ালপথ ও সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে তিনটি চীনা কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ। আর গাজীপুরে ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি। এদের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তবে চীনের তিনটি কোম্পানির কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার অ্যাটগেড (সমতল) সড়ক নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নির্মাণের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাস ডিপো, সংযোগ সড়ক ও হাটবাজার নির্মাণের দায়িত্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অংশের মধ্যে ছয় লেনবিশিষ্ট ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ, ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার অ্যাটগ্রেড সড়ক, ১০ লেনের টঙ্গী সেতু এবং ছয়টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলিভেটেড অংশের ডিজাইন সম্পন্ন করেছে ২০১৫ সালে। সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড অংশে আটটি র‌্যাম্প ও ১৬৩টি স্প্যান রয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ স্প্যান আই গার্ডার ও ৮৫টি বক্স গার্ডার। টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ত করিডর। প্রায় ২১ জেলার সঙ্গে এই করিডর যুক্ত বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

ছবি

রাজধানীতে সিটি কর্পোরেশনের ময়লার ট্রাকের ধাক্কায় আইডিয়াল ছাত্রের মৃত্যু

ছবি

আনু মুহাম্মদের ক্ষতিগ্রস্ত পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চের আগুন নিয়ন্ত্রণে

ছবি

সদরঘাটে যাত্রীবাহী লঞ্চে আগুন

ছবি

এবার এডিসের লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

ছবি

রিহ্যাবের মতামত ছাড়া ইমারত নির্মাণ বিধিমালা চূড়ান্ত না করার দাবি

ছবি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের স্ত্রী গ্রেপ্তার

নিত্যপণ্যের তুলনায় তামাকপণ্য সস্তা, দাম বাড়ানোর দাবি

ছবি

ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে আনু মুহাম্মদের

ছবি

রেকি করে ফাঁকা ঢাকায় চুরি করতেন তারা

ছবি

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে আইনজীবীদের গাউন পড়নে শিথিলতা

ছবি

হাতিরঝিলে ভাসছিল যুবকের মরদেহ

ছবি

শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস

ছবি

শিশু হাসপাতালে আগুন, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাইদা বাস থার্ড টার্মিনালে, প্রকৌশলী নিহত

ছবি

ঢাকা শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক বিভাগে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট

ছবি

ভাষানটেকে বাবা-মা-দাদির পরে চলে গেল লামিয়াও

ছবি

যমুনা এক্সপ্রেসের লাইনচ্যুত বগি উদ্ধার, ঢাকামুখী পথ সচল

ছবি

রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি

ছবি

ভাসানটেকে গ্যাসের আগুন: শাশুড়ি ও স্ত্রীর পর স্বামীও মারা গেছে

ছবি

পহেলা বৈশাখে জাহানারা জাদুঘরের বিশেষ প্রদর্শনী

ছবি

চট্টগ্রামে বস্তিতে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট

ছবি

ঢাকায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ৮

ঢাবি চারুকলার বকুলতলায় গান-নাচ-আবৃত্তিতে চৈত্রসংক্রান্তি উদ্‌যাপন

ছবি

ঢাকায় এসেছে ইসরায়েলের ফ্লাইট, বেবিচকের ব্যাখা

ছবি

বর্ষবরণের অপেক্ষায় রমনা

ছবি

যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর গাড়িতে আগুন লাগে জানান পুলিশ

লঞ্চের দড়ি ছিঁড়ে ৫ জনের মৃত্যু : আসামিদের তিন দিনের রিমান্ড

ছবি

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর প্রাইভেট কারে আগুন

রাজধানীর শাহজাদপুরে বুথের নিরাপত্তা প্রহরীকে হত্যা

ছবি

যাত্রীদের পিটুনিতে হয়নি চালক-সহকারীর মৃত্যু, হেলপার গল্প সাজিয়েছে বলছে পুলিশ

ছবি

ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

ছবি

মেট্রোরেলের পিলারে বাসের ধাক্কা

ছবি

কেএনএফের তৎপরতা নিয়ে ঢাকায় কোনো শঙ্কা নেই: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

আবাসিক হোটেল থেকে নির্মাতা সোহানুর রহমানের মেয়ের মরদেহ উদ্ধার

কেটলির শর্টসার্কিট থেকে লিকেজের গ্যাসে বিস্তার

tab

নগর-মহানগর

বিআরটি প্রকল্পে নির্মাণ গাফিলতির কারণে বারবার দুর্ঘটনা

ইবরাহীম মাহমুদ আকাশ

ঢাকা-ময়মনসিংহ ব্যস্ততম মহাসড়কে ও উত্তরায় চলাচলকারী পরিবহন দীর্ঘদিন ঝুঁকি নিয়ে চলছে এভাবেই। ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা -সোহরাব আলম

মঙ্গলবার, ১৬ আগস্ট ২০২২

বিআরটি প্রকল্পে গত এক মাস আগে গাজীপুরে নির্মাণাধীন লঞ্চিং গার্ডার স্থানান্তরের সময় গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছিল। ওই ঘটনায় প্রকল্পের নিরাপত্তায় গাফলতি থাকায় দক্ষ জনবল নিয়োগসহ একাধিক সুপারিশ করেছিল তদন্ত কমিটি।

সোমবার (১৫ আগস্ট) একইভাবে বক্স গার্ডারের চাপায় ৫ জন প্রাইভেটকার যাত্রী নিহত হয়। এ নিয়ে বিআরটি প্রকল্পের ৫টি দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। নির্মাণ গাফিলতি ও যথেষ্ট নিরাপত্তা না থাকার কারণে বার বার দুর্ঘটনা ঘটছে এই প্রকল্প এলাকায়।

সোমবারের দুর্ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতিকে দায়ী করেছে তদন্ত কমিটি। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি দেখভাল করার দায়িত্ব প্রকল্প পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এর দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না বলে জানান বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ ব্যস্তমত মহাসড়কের উত্তরা বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর শিববাড়ী পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার সড়কে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি-৩) প্রকল্পটি। এই সড়ক পথে নিরবচ্ছিন্ন বাস চলাচল পথ (বিআরটি) তৈরির যে পরিমাণ নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকার কথা ছিল তা কিছুই ছিল না প্রকল্প এলাকায়।

ধীরগতি ও গাফিলতির কারণে প্রকল্পের চার বছরের কাজ চলছে ১০ বছর যাবত। নির্মাণ কাজ চলাকালে যানবাহন চলাচলের জন্য বিকল্প সড়ক তৈরির কথা থাকলেও তা করা হয়নি। প্রকল্প এলাকায় ছিল না কোন ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা। প্রকল্পের কাজের কারণে বিভিন্ন দীর্ঘ যানজটে ভোগান্তি শিকার হতে হয় বলে যাত্রীরা জানান।

দুর্ঘটনার পর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে একাধিক সুপারিশ করা হলেও তা বাস্তবায়ন করা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানায়। তাই গাফিলতি ও দায়িত্ব অবহেলার সর্বোচ্চ নজির দেখা বিআরটি প্রকল্পে। এই জন্য শুধু ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করলে হবে না। প্রকল্পের কাজের সঙ্গে জড়িত প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের বিচারের আওতায় আনার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে বুয়েটের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সামছুল হক সংবাদকে বলেন, ‘ব্যস্ততম সড়কে নির্মাণ কাজ করার জন্য যে পরিমাণ কমপ্লায়েন্স (নিরাপত্তা ব্যবস্থা) থাকার কথা ছিল তা কোনটাই এই প্রকল্পে ছিল না। অফ টাইমে কাজ করার সুযোগ না থাকলে দিনের বেলায় কাজ করতে হলে অতিরিক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে হয়। এক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের কাজ থেকে সহায়তা নিতে হয়। কারণ যেকোন সময় ভারী বস্তু পড়ে যেতে পারে। এতে যাতে সাধারণ মানুষের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেজন্য যথেষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নির্মাণ কাজ করতে হয়। তাই দুর্ঘটনায়র জন্য ঠিকাদার ও প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার জন্য ট্রাফিক পুলিশের জবাবদিহিতা রয়েছে। কারণ সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ইচ্ছে করলে কাজ বন্ধ করে দিতে পারে। বড় প্রকল্পে নির্মাণের সময় ট্রাফিক ব্যবস্থা ও নিরাপত্তার যথেষ্ট ঘাটতি থাকায় বার বার এই দুর্ঘটনা ঘটছে। এর আগেও কয়েক বার বড় প্রকল্পে গার্ডার ধসের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি এবং কাউকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি।’ এতে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন হয় বলে জানান তিনি।

দুর্ঘটনার তদন্ত হলেও সুপারিশ বাস্তবায়ন হয় না

সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার জসিম উদ্দীন এলাকায় বক্স গার্ডার চাপায় প্রাইভেটকারের ৫ যাত্রী নিহতের ঘটনায় ছয় সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি কাজ করছে। এর আগে গত ১৫ জুলাই গাজীপুর এলাকায় বিআরটির নির্মাণাধীন লঞ্চিং গার্ডার স্থানান্তরের সময় গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে একজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হন।

এছাড়া গত বছর ১৪ মার্চ বিমানবন্দর এলাকায় এবং আবদুল্লাহপুরে দুইবার গার্ডারধসের ঘটনা ঘটে। এতে নির্মাণকাজে যুক্ত ছয়জন আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজন চীনের নাগরিক ছিলেন। এই সব দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা জানান।

গত ১৫ জুলাই দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ ভিত্তিতে গত ১১ আগস্ট সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে তিনটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। এগুলো হলো এক. প্রকল্পের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত বর্তমান লোকবল পরিবর্তন করে দক্ষ নতুন লোকবল নিয়োগ করা, দুই. নির্মাণকালীন নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসরণ না করায় চুক্তি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া. তিন. নিরাপদ কর্মপরিবেশ অনুসরণ নিশ্চিত করতে সিজিজিসি এবং ইপিসিএম উভয়ের কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন লোকবল নিয়োগ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু এসব কোন নির্দেশনার কোনটাই বিআরটি প্রকল্প এলাকায় মানা হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

প্রাথমিক তদন্তে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করল মন্ত্রণালয়

সোমবার রাজধানীর উত্তরায় নির্মাণাধীন বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের ক্রেন থেকে প্রাইভেটকারের ওপর বক্স গার্ডার ছিটকে পড়ে পাঁচজন নিহতের ঘটনায় প্রাথমিকভাবে চারটি কারণ খুঁজে পেয়েছে তদন্ত কমিটি। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না গেজহুবা গ্রুপকে দায়ী করছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সচিবালয় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী। এ সময় তিনি বলেন, উত্তরা বিআরটি প্রকল্পের দুর্ঘটনায় ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ করছে। প্রাথমিকভাবে তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেখানে দুর্ঘটনার জন্য চারটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলোÑ প্রথমত, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের শতভাগ অবহেলা এর কারণ। সোমবার ছুটি ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ বন্ধ থাকলেও কাজ চালানো হয়। ওয়ার্ক প্ল্যান ছিল না। দ্বিতীয়ত, ট্রাফিক পুলিশকে জানানো হয়নি। তৃতীয়ত, দুর্ঘটনাস্থলে সড়কটির একাংশ উঁচু এবং অপরকাংশ নিচু ছিল। ক্রেনটি কার্যক্রম চালানোর সময় একটি চেইন উঁচু অংশে এবং আরেকটি নিচু অংশে ছিল। ফলে ক্রেনটি ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ে। চতুর্থত, বিকেলের দিকে হঠাৎ যানবাহনের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং সেগুলো ক্রেনের খুব কাছাকাছি চলে আসে। অপারেটর বিচলিত হয়ে হঠাৎ ব্রেক করলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

সংবাদ সম্মেলনে তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত সচিব নীলিমা আখতার বলেন, ‘এর আগে চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি পাওয়া গেছে। এই বিষয়গুলো চীনা দূতবাসে জানানো হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনেও বলা হয়েছে, তারা (ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান) সেফটির বিষয়টি অনেকবারই লঙ্ঘন করেছে। এজন্য আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দূতাবাসকে জানাতে চাই। এটা তদন্তে আমরা বলেছি।’

নীলিমা আখতার বলেন, আমাদের কাজটি প্রায় ৮০ ভাগ হয়ে গেছে। এখন আমরা শাস্তি দিতে পারি, তাদের বাতিল করে দিতে পারি। সেক্ষেত্রে আমরা যদি পুনরায় কন্ট্রাক্টর সিলেকশনে যাই তাহলে আমাদের জনগণকে আরও ভোগান্তির দিকে ঠেলে দেয়া হবে। কিন্তু ভোগান্তি এক জিনিস আর লাশ দেখা আরেক জিনিস। সেজন্য আমরা আর কম্প্রোমাইজ করছি না।

চার বছরের প্রকল্প চলছে ১০ বছর

২০১২ সালের ডিসেম্বরে গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বিআরটি, গাজীপুর-বিমানবন্দর) অনুমোদন করে সরকার। গাজীপুর শিববাড়ী থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ বিআরটি সড়কটি তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা।

২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। পরবর্তিতে সংশোধিত প্রাক্কলিত ব্যয় ৪ হাজার ৩০০ কোটি টাকা উন্নীত করা হয়। মেয়াদ ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। ডিপিপি আরও এক দফা সংশোধন করা হয়ে। যা ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি ৮০ শতাংশ।

২০১২ সালে নেয়া বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণকাজ চারটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে উড়ালপথ ও সড়ক নির্মাণের দায়িত্ব পালন করছে তিনটি চীনা কোম্পানি। এগুলো হচ্ছে চায়না গেজহুবা গ্রুপ, জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ। আর গাজীপুরে ডিপো নির্মাণের দায়িত্বে ছিল দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি। এদের কাজ আগেই শেষ হয়েছে। তবে চীনের তিনটি কোম্পানির কাজ চলছে। এর মধ্যে ১৬ কিলোমিটার অ্যাটগেড (সমতল) সড়ক নির্মাণ করবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), ৪ দশমিক ৫০ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ নির্মাণের দায়িত্বে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং বাস ডিপো, সংযোগ সড়ক ও হাটবাজার নির্মাণের দায়িত্বে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।

বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের অংশের মধ্যে ছয় লেনবিশিষ্ট ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড অংশ, ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার অ্যাটগ্রেড সড়ক, ১০ লেনের টঙ্গী সেতু এবং ছয়টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এলিভেটেড অংশের ডিজাইন সম্পন্ন করেছে ২০১৫ সালে। সাড়ে চার কিলোমিটার এলিভেটেড অংশে আটটি র‌্যাম্প ও ১৬৩টি স্প্যান রয়েছে। এর মধ্যে ৭৮ স্প্যান আই গার্ডার ও ৮৫টি বক্স গার্ডার। টঙ্গী থেকে গাজীপুর পর্যন্ত সড়কটি অত্যন্ত ব্যস্ত করিডর। প্রায় ২১ জেলার সঙ্গে এই করিডর যুক্ত বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান।

back to top