অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ এ আদর্শ প্রকাশনী স্টল বরাদ্দ পায়নি বলে জানা গেছে। বইমেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) স্টল বরাদ্দের তালিকা দিলেও সেখানে ছিল না আদর্শের নাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা। অনেকে বাংলা একাডেমির এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।
মঙ্গলবার দুই লেখক ফেইসবুকে দাবি করেন, তাদের বইয়ের কারণে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দিচ্ছে না বাংলা একাডেমি।
তাদের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ফাহাম আব্দুস সালাম। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বড় মেয়ে শামারুহ মির্জার স্বামী। আদর্শ থেকে প্রকাশিত তার বইয়ের নাম ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’।
অপর বইটি হলো ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’। এটি লিখেছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি দেশের জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লেখেন। দেশের বাইরে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। ফেইসবুকেও তিনি পরিচিত মুখ।
তবে আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহাবুব রাহমান বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দের বরাত দিয়ে জানান, এ দুটির সঙ্গে আরো একটি বই নিয়ে আপত্তি আছে বাংলা একাডেমির। অ্যাকটিভিস্ট ও বিশ্লেষক জিয়া হাসানের লেখা ওই বইয়ের নাম ‘উন্নয়ন বিভ্রম’।
এ তিন লেখক সামাজিক মাধ্যমে সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ফেইসবুকে তারা নিয়মিত আলোচনায় থাকেন।
যদিও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে যে বই বিষয়ে আপত্তির কথা বলা হয়েছে সেটি ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা।
জানতে চাইলে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব এবং বাংলা একাডেমির প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ড. একে এম মুজাহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আদর্শ চার ইউনিটের স্টল পেয়ে আসছিল। এবার তারা প্যাভেলিয়নের আবেদন করেছিল। আমরাও ভেবেছিলাম তাদের প্যাভেলিয়ন দেব। তবে তখনই তাদের কিছু বই নিয়ে আপত্তি আসে। আমরাও দেখেছি তাদের প্রকাশিত বই আমাদের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য আছে ওই বইয়ে।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনও এ বই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বলে দাবি করেন মুজাহিদুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, বইয়ে যেসব মন্তব্য ছাপা হয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য কোনো জাতীয় দৈনিকেও প্রকাশ করা হয় না।
আদর্শের সিইও মাহাবুব রাহমান বলেন, স্টল বরাদ্দ নিয়ে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফাহাম আব্দুস সালামের বইটি ২০২২ সালের বইমেলায়ও ছিল। তখন যদি তা নীতিমালা লঙ্ঘন না করে তাহলে এবার কীভাবে করল আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, লেখক-প্রকাশক সম্পর্কের বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক, মতাদর্শিক সম্পর্ক আমার নেই। আমার গোপন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাও নেই। আমি শুধু লেখকের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
তার দাবি, ২০১৯ সালেও যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তা অমূলক প্রমাণ করে আদর্শ স্টল পেয়েছিল। পরিস্থিতি যা-ই হোক, লেখকদের বই প্রকাশে, বিক্রিতে এবং পাঠকদের বই পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় আমরা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ফাহাম আব্দুস সালাম এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেইসবুকে জানিয়েছেন, তাদের বই তুলে নিয়ে আদর্শকে যেন বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে মাহাবুব রাহমান বলেন, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।
রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ এ আদর্শ প্রকাশনী স্টল বরাদ্দ পায়নি বলে জানা গেছে। বইমেলার আয়োজক কর্তৃপক্ষ বাংলা একাডেমি গত বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) স্টল বরাদ্দের তালিকা দিলেও সেখানে ছিল না আদর্শের নাম।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ নিয়ে চলছে আলোচনা। অনেকে বাংলা একাডেমির এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছেন।
মঙ্গলবার দুই লেখক ফেইসবুকে দাবি করেন, তাদের বইয়ের কারণে আদর্শকে স্টল বরাদ্দ দিচ্ছে না বাংলা একাডেমি।
তাদের একজন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত ফাহাম আব্দুস সালাম। তিনি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বড় মেয়ে শামারুহ মির্জার স্বামী। আদর্শ থেকে প্রকাশিত তার বইয়ের নাম ‘বাঙালির মিডিয়োক্রিটির সন্ধানে’।
অপর বইটি হলো ‘অপ্রতিরোধ্য উন্নয়নের অভাবনীয় কথামালা’। এটি লিখেছেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি দেশের জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লেখেন। দেশের বাইরে টেকসই উন্নয়ন নিয়ে গবেষণা করছেন তিনি। ফেইসবুকেও তিনি পরিচিত মুখ।
তবে আদর্শ প্রকাশনীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাহাবুব রাহমান বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির নেতৃবৃন্দের বরাত দিয়ে জানান, এ দুটির সঙ্গে আরো একটি বই নিয়ে আপত্তি আছে বাংলা একাডেমির। অ্যাকটিভিস্ট ও বিশ্লেষক জিয়া হাসানের লেখা ওই বইয়ের নাম ‘উন্নয়ন বিভ্রম’।
এ তিন লেখক সামাজিক মাধ্যমে সরকার বিরোধী হিসেবে পরিচিত। ফেইসবুকে তারা নিয়মিত আলোচনায় থাকেন।
যদিও বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে যে বই বিষয়ে আপত্তির কথা বলা হয়েছে সেটি ফাহাম আব্দুস সালামের লেখা।
জানতে চাইলে অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব এবং বাংলা একাডেমির প্রশাসন বিভাগের পরিচালক ড. একে এম মুজাহিদুল ইসলাম মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, আদর্শ চার ইউনিটের স্টল পেয়ে আসছিল। এবার তারা প্যাভেলিয়নের আবেদন করেছিল। আমরাও ভেবেছিলাম তাদের প্যাভেলিয়ন দেব। তবে তখনই তাদের কিছু বই নিয়ে আপত্তি আসে। আমরাও দেখেছি তাদের প্রকাশিত বই আমাদের নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এ কারণে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সরকারবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য আছে ওই বইয়ে।
সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনও এ বই বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছেন বলে দাবি করেন মুজাহিদুল ইসলাম।
তিনি আরো বলেন, বইয়ে যেসব মন্তব্য ছাপা হয়েছে, এ ধরনের মন্তব্য কোনো জাতীয় দৈনিকেও প্রকাশ করা হয় না।
আদর্শের সিইও মাহাবুব রাহমান বলেন, স্টল বরাদ্দ নিয়ে আদর্শ প্রকাশনীর পক্ষ থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ফাহাম আব্দুস সালামের বইটি ২০২২ সালের বইমেলায়ও ছিল। তখন যদি তা নীতিমালা লঙ্ঘন না করে তাহলে এবার কীভাবে করল আমার বোধগম্য নয়।
তিনি আরো বলেন, লেখক-প্রকাশক সম্পর্কের বাইরে অন্য কোনো রাজনৈতিক, মতাদর্শিক সম্পর্ক আমার নেই। আমার গোপন কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডাও নেই। আমি শুধু লেখকের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী।
তার দাবি, ২০১৯ সালেও যেসব অভিযোগ আনা হয়েছিল তা অমূলক প্রমাণ করে আদর্শ স্টল পেয়েছিল। পরিস্থিতি যা-ই হোক, লেখকদের বই প্রকাশে, বিক্রিতে এবং পাঠকদের বই পেতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় আমরা তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।
ফাহাম আব্দুস সালাম এবং ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ফেইসবুকে জানিয়েছেন, তাদের বই তুলে নিয়ে আদর্শকে যেন বইমেলায় স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়।
তবে মাহাবুব রাহমান বলেন, এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।