‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমানে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালে আবু সাঈদ চৌধুরী যে কুটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছেন তা নবীন কুটনীতিদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়।
গতকাল আবু সাঈদ চৌধুরীর জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে আকতার হোসেন রচিত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জীবনী নিয়ে ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ উপন্যাসের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠপুত্র সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, ছোট ছেলে আবুল কাশেম চৌধুরী খালেক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে আবুল কাশেম চৌধুরী খালেক এ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বিচারপতি আবু সাঈদ খান জেনেভা থেকে লন্ডন, ইউরোপে বিভিন্ন দেশ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধে বিদেশিদের সমর্থন আদায়ে কাজ করেন। তাদের কাছে ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র মানুষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চিত্র তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার এ তৎপরতা ও দেশপ্রেম কুটনীতিকদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।
প্রকাশনা উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো নিয়ে এই বই অপূর্ব ইতিহাস । এই বইটা তরুণ কুটনৈতিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কুটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আবু সাঈদ চৌধুরী তার জ্বলন্ত উদহারণ। আবু সাঈদ চৌধুরী সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দেখা হয়েছে। তখন তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় জানার সুযোগ হয়েছে। এখন প্রবাসীরাও দেশের ইতিহাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই লেখে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ বইয়ে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় অবদান, রাষ্ট্রপতি হওয়া থেকে বর্ণাঢ্য জীবন বর্ণনা করেছেন লেখক। গ্রন্থে আবু সাঈদ চৌধুররি জীবনী উপন্যাস আকারে লিখিত হয়েছে। কিন্তু এমনভাবে লেখা হয়েছে সবার কাছে আনন্দদায়ক বই হিসেবে গৃহিত হয়েছে। কানাডাপ্রবাসী লেখক বিদেশে থেকেও দেশের এত বড় ইতিহাস লিখেছেন।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চে জেনেভা সফরে ছিলেন। তিনি যখন জানতে পারলেন নিরস্ত্র বাঙালি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষক ছাত্রীদের ওপর পাকিস্তানিরা আক্রমণ করেছে । তখন তিনি জেনেভা থেকে লন্ডনে এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ শুরু করেন।
‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব
শনিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২৩
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমানে বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধকালে আবু সাঈদ চৌধুরী যে কুটনৈতিক ভূমিকা পালন করেছেন তা নবীন কুটনীতিদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয়।
গতকাল আবু সাঈদ চৌধুরীর জীবন নিয়ে লেখা উপন্যাস ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল হলে আকতার হোসেন রচিত বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জীবনী নিয়ে ‘মিস্টার প্রেসিডেন্ট’ উপন্যাসের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি আসাদ চৌধুরী। বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর জ্যেষ্ঠপুত্র সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী কায়সার, ছোট ছেলে আবুল কাশেম চৌধুরী খালেক শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে আবুল কাশেম চৌধুরী খালেক এ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ করা হবে বলে ঘোষণা দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বিচারপতি আবু সাঈদ খান জেনেভা থেকে লন্ডন, ইউরোপে বিভিন্ন দেশ ঘুরে মুক্তিযুদ্ধে বিদেশিদের সমর্থন আদায়ে কাজ করেন। তাদের কাছে ২৫ মার্চের কালরাতে নিরস্ত্র মানুষ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চিত্র তুলে ধরেছেন। মুক্তিযুদ্ধে তার এ তৎপরতা ও দেশপ্রেম কুটনীতিকদের জন্য শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে।
প্রকাশনা উৎসবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন বলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলো নিয়ে এই বই অপূর্ব ইতিহাস । এই বইটা তরুণ কুটনৈতিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। কুটনৈতিক ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সম্পর্ক যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আবু সাঈদ চৌধুরী তার জ্বলন্ত উদহারণ। আবু সাঈদ চৌধুরী সঙ্গে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার দেখা হয়েছে। তখন তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন বিষয় জানার সুযোগ হয়েছে। এখন প্রবাসীরাও দেশের ইতিহাস নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বই লেখে।
আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, এ বইয়ে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হওয়া, মুক্তিযুদ্ধের সময় অবদান, রাষ্ট্রপতি হওয়া থেকে বর্ণাঢ্য জীবন বর্ণনা করেছেন লেখক। গ্রন্থে আবু সাঈদ চৌধুররি জীবনী উপন্যাস আকারে লিখিত হয়েছে। কিন্তু এমনভাবে লেখা হয়েছে সবার কাছে আনন্দদায়ক বই হিসেবে গৃহিত হয়েছে। কানাডাপ্রবাসী লেখক বিদেশে থেকেও দেশের এত বড় ইতিহাস লিখেছেন।
তিনি বলেন, আবু সাঈদ চৌধুরী ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চে জেনেভা সফরে ছিলেন। তিনি যখন জানতে পারলেন নিরস্ত্র বাঙালি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তার শিক্ষক ছাত্রীদের ওপর পাকিস্তানিরা আক্রমণ করেছে । তখন তিনি জেনেভা থেকে লন্ডনে এসে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ শুরু করেন।