রাজধানীর উত্তরায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
রোববার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়ার রিমান্ড আবেদনের পক্ষে বক্তব্য শোনেন। এসময় আসামিদের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত ঘটনার বিষয়ে আসামিদের কাছে জানতে চান। প্রথমে চালক আকাশের কাছে জানতে চান, টাকা কত ছিল? আকাশ বলেন, আমি অন্য গাড়িতে ছিলাম। টাকা কত ছিল জানি না।
সানোয়ার বলেন, ‘গাড়িতে চারটা ট্র্যাংক ছিল। দুইটা ভাংচি আর দুইটা ইনটেক ছিল। একটাতে কিছু টাকা ছিল। ড্রাইভারের সিটের নিচে ১ কোটি ৭ লাখ ছিল।’
তিনি বলেন, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ (আরেকজন), রানা, হাবিব। তারা আমাদের ডলার সংগ্রহের কথা বলে নিয়ে আসে। ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন সানোয়ার।
সিটের নিচে টাকার বিষয়ে আকাশ বলে, একটা ব্যাগ ছিল, খুলছি। দেখি টাকা হাইজ্যাক হয়েছে। বিচার হবে-এ কথা ভেবে টাকাটা সরিয়ে রাখি। পরে তুরাগ থানায় দিয়েছি।
এদিন রিমান্ড আবেদনে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে জব্দ তালিকায় দেখানো হয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
তখন বিচারক তদন্ত কর্মকর্তা সাজু মিয়ার কাছে জানতে চান, বাকি টাকা কই? তদন্ত কর্মকর্তা তখন ভালোভাবে উত্তর দিতে পারেননি।
বিচারক বলেন, আপনারা যে কথা বলতেছেন, সেটা গাঁজাখোরের কথা। ৯ কোটি টাকা গেল কই। আজ ২ কোটি টাকা নিয়ে আসছেন। বাকিটা কই? আরেকটা জব্দ তালিকা করে বাকি টাকা কই আছে নিয়ে আসেন।তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, টাকা উদ্ধারে অভিযান চলছে।
এরপর বিচারক বলেন, এ টাকা হজম করতে দেব না। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, কে হজম করবে। এরপর বিচারক আদেশ অপেক্ষমাণ রেখে এজলাস থেকে নেমে যান।
এরপর আদালত একে একে আকাশ, সানোয়ার ও ইমনকে খাসকামরায় ডেকে নিয়ে বক্তব্য শোনেন। পরে আদালত আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া।
সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের সোয়া ১১ কোটি টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় গ্রেপ্তার আটজনের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।
রোববার (১২ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শান্ত ইসলাম মল্লিকের আদালতে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
প্রথমে আদালত তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের মিরপুর জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর সাজু মিয়ার রিমান্ড আবেদনের পক্ষে বক্তব্য শোনেন। এসময় আসামিদের পক্ষে কোনও আইনজীবী ছিলেন না।
আদালত ঘটনার বিষয়ে আসামিদের কাছে জানতে চান। প্রথমে চালক আকাশের কাছে জানতে চান, টাকা কত ছিল? আকাশ বলেন, আমি অন্য গাড়িতে ছিলাম। টাকা কত ছিল জানি না।
সানোয়ার বলেন, ‘গাড়িতে চারটা ট্র্যাংক ছিল। দুইটা ভাংচি আর দুইটা ইনটেক ছিল। একটাতে কিছু টাকা ছিল। ড্রাইভারের সিটের নিচে ১ কোটি ৭ লাখ ছিল।’
তিনি বলেন, এ ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী আকাশ (আরেকজন), রানা, হাবিব। তারা আমাদের ডলার সংগ্রহের কথা বলে নিয়ে আসে। ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন সানোয়ার।
সিটের নিচে টাকার বিষয়ে আকাশ বলে, একটা ব্যাগ ছিল, খুলছি। দেখি টাকা হাইজ্যাক হয়েছে। বিচার হবে-এ কথা ভেবে টাকাটা সরিয়ে রাখি। পরে তুরাগ থানায় দিয়েছি।
এদিন রিমান্ড আবেদনে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা উদ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে জব্দ তালিকায় দেখানো হয় ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।
তখন বিচারক তদন্ত কর্মকর্তা সাজু মিয়ার কাছে জানতে চান, বাকি টাকা কই? তদন্ত কর্মকর্তা তখন ভালোভাবে উত্তর দিতে পারেননি।
বিচারক বলেন, আপনারা যে কথা বলতেছেন, সেটা গাঁজাখোরের কথা। ৯ কোটি টাকা গেল কই। আজ ২ কোটি টাকা নিয়ে আসছেন। বাকিটা কই? আরেকটা জব্দ তালিকা করে বাকি টাকা কই আছে নিয়ে আসেন।তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, টাকা উদ্ধারে অভিযান চলছে।
এরপর বিচারক বলেন, এ টাকা হজম করতে দেব না। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, কে হজম করবে। এরপর বিচারক আদেশ অপেক্ষমাণ রেখে এজলাস থেকে নেমে যান।
এরপর আদালত একে একে আকাশ, সানোয়ার ও ইমনকে খাসকামরায় ডেকে নিয়ে বক্তব্য শোনেন। পরে আদালত আসামিদের ৫ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- চালক আকাশ, ইমন ওরফে মিলন, সাগর মাতুব্বর, এনামুল হক বাদশা, সানোয়ার হোসেন, বদরুল আলম, মিজানুর রহমান ও সোনা মিয়া।