নার্সদের তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। তারমধ্যে প্রতিদিন সকাল বেলায় কর্মস্থলে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলে খোঁজ-খবর নেয়া। রোগীর শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণসহ কিছু দরকারি বিষয় দেখা এবং রোগীদেরকে বিছানায় বসিয়ে নিজ হাতে ওষুধ খাইয়ে দেয়া। আর রোগীকে নিজ পরিবারের সদস্য ভেবে সেবা দিতে হবে। এই পেশা অত্যান্ত সম্মান জনক পেশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের এই চাকরিকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। শুধু তাই না বর্তমান সরকারের আমলে ৩০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই আরও তিন হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। বিদেশেও নার্সদের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা পূরণ করা গেলে দেশে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিং ছাত্র/ছাত্রীদের এক অনুষ্ঠানে ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ নার্সদের উদ্দেশে এই সব কথা বলেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছু কিছু নার্স রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। অনেকেই সকালে কর্মস্থলে গিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ করতে দ্বিধাবোধ করে না। কেউ কেউ বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আবার কেউ কর্মস্থলে বসে রোগীর স্বজনকে ফাইল নিয়ে টেবিলে যেতে বলেন। অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ নেই। অনেক রোগীর স্বজনরা নার্সদের বাজে আচরণ নিরবে সহ্য করেন। আবার প্রতিবাদ করলে উল্টো নাজেহাল হতে হয়। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেকে হাসপাতালেও এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভার্সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসসি নাসিং এর ১২তম ব্যাচের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নাসিং অনুষদের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, নাসিং পেশার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, নাসিং পেশায় পিএইচডি ডিগ্রি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নাসিং অনুষদের ডিন নার্সদের বাজে আচরণ না করে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে রোগীদের সেবা করার পরামর্শ দেন। আর বাজে আচরণের অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
রোগী ও স্বজনদের সূত্র জানায়, ভার্সিটির অনকোলজি বিভাগ, কেবিন ব্লকসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্তব্যরত নার্সরা রোগীদের স্বজনদের সঙ্গে উত্তেজিত কন্ঠে কথা বলেছেন। এমনকি নিজেই চেয়ারে বসে রোগীর স্বজনকে আদেশ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নয়। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে নার্সদের বাজে আচরণে সবুজবাগের একজন প্রবীণ রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। ডায়ালাইসিস চলার সময় নার্সকে ডাকলেও কথা শুনে না। রোগী অচেতন হয়ে গেলেও নার্স খুজে পাওয়া যায়নি। আবার নার্সদের বকা খেয়ে অনেকেই সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পায় বলে অভিযোগ করেন। এই ধরনের ঘটনায় প্রায় ঘটছে।
সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩
নার্সদের তিনটি কাজ অবশ্যই করতে হবে। তারমধ্যে প্রতিদিন সকাল বেলায় কর্মস্থলে গিয়ে রোগীদের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলে খোঁজ-খবর নেয়া। রোগীর শরীরের তাপমাত্রা পর্যবেক্ষণসহ কিছু দরকারি বিষয় দেখা এবং রোগীদেরকে বিছানায় বসিয়ে নিজ হাতে ওষুধ খাইয়ে দেয়া। আর রোগীকে নিজ পরিবারের সদস্য ভেবে সেবা দিতে হবে। এই পেশা অত্যান্ত সম্মান জনক পেশা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নার্সদের এই চাকরিকে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উন্নীত করেছেন। শুধু তাই না বর্তমান সরকারের আমলে ৩০ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শীঘ্রই আরও তিন হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। বিদেশেও নার্সদের চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা পূরণ করা গেলে দেশে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে। সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাসিং ছাত্র/ছাত্রীদের এক অনুষ্ঠানে ভিসি শারফুদ্দিন আহমেদ নার্সদের উদ্দেশে এই সব কথা বলেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কিছু কিছু নার্স রোগী ও স্বজনদের সঙ্গে বাজে আচরণ করেন। অনেকেই সকালে কর্মস্থলে গিয়ে ক্ষুব্ধ আচরণ করতে দ্বিধাবোধ করে না। কেউ কেউ বসে মোবাইল ফোনে কথা বলেন। আবার কেউ কর্মস্থলে বসে রোগীর স্বজনকে ফাইল নিয়ে টেবিলে যেতে বলেন। অতিরিক্ত কথা বলার সুযোগ নেই। অনেক রোগীর স্বজনরা নার্সদের বাজে আচরণ নিরবে সহ্য করেন। আবার প্রতিবাদ করলে উল্টো নাজেহাল হতে হয়। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও অনেকে হাসপাতালেও এমন ঘটনা প্রায় ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভার্সিটির জনসংযোগ শাখা থেকে বলা হয়েছে, গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে বিএসসি নাসিং এর ১২তম ব্যাচের অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে নাসিং অনুষদের ডিন ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, নাসিং পেশার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের কথা উল্লেখ করে বলেন, নাসিং পেশায় পিএইচডি ডিগ্রি চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
নাসিং অনুষদের ডিন নার্সদের বাজে আচরণ না করে পেশাদারিত্ব বজায় রেখে রোগীদের সেবা করার পরামর্শ দেন। আর বাজে আচরণের অভিযোগ পাইলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান।
রোগী ও স্বজনদের সূত্র জানায়, ভার্সিটির অনকোলজি বিভাগ, কেবিন ব্লকসহ বিভিন্ন বিভাগে কর্তব্যরত নার্সরা রোগীদের স্বজনদের সঙ্গে উত্তেজিত কন্ঠে কথা বলেছেন। এমনকি নিজেই চেয়ারে বসে রোগীর স্বজনকে আদেশ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
শুধু বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় নয়। রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিডনি ডায়ালাইসিস বিভাগে নার্সদের বাজে আচরণে সবুজবাগের একজন প্রবীণ রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গেছেন। ডায়ালাইসিস চলার সময় নার্সকে ডাকলেও কথা শুনে না। রোগী অচেতন হয়ে গেলেও নার্স খুজে পাওয়া যায়নি। আবার নার্সদের বকা খেয়ে অনেকেই সরকারি হাসপাতালে যেতে ভয় পায় বলে অভিযোগ করেন। এই ধরনের ঘটনায় প্রায় ঘটছে।