স্থপতি ইমতিয়াজকে হত্যার সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ ৫ জন জড়িত ছিলেন। ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।
এর আগে গত ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সকল যায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।
গণমাধ্যমে কান্নারত কন্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! থানা-পুলিশ করেও ইমতিয়াজের খোঁজ মেলেনি।
সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করলো কারা? থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনই বা হলো কি করে?
ডিবি পুলিশ জানায়, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের উপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের পাশের একটি ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মত গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তবে আরাফত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।
সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩
স্থপতি ইমতিয়াজকে হত্যার সঙ্গে তৃতীয় লিঙ্গের নারীসহ ৫ জন জড়িত ছিলেন। ইতোমধ্যে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। জানা যায়, ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে ইমতিয়াজকে হত্যা করেছে তারা।
এর আগে গত ৭ মার্চ সন্তানদের স্কুল থেকে বাসায় দিয়ে কাজে বেরিয়ে নিখোঁজ হন স্থপতি ইমতিয়াজ। সম্ভাব্য সকল যায়গায় খুঁজেও স্বামীকে না পেয়ে কলাবাগান থানায় জিডি করেন ইমতিয়াজের অসহায় স্ত্রী স্থপতি ফাহমিদা।
গণমাধ্যমে কান্নারত কন্ঠে তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের তো কোনো শত্রু নেই! থানা-পুলিশ করেও ইমতিয়াজের খোঁজ মেলেনি।
সপ্তাহ পেরিয়ে যায়। স্বামী ঘরে ফেরে না। যতক্ষণে নিখোঁজ স্বামীর সন্ধান মিলল, ততক্ষণে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন হয়ে গেছেন ইমতিয়াজ। শত্রুহীন লোকটাকে এভাবে খুন করলো কারা? থানায় জিডি থাকার পরও বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনই বা হলো কি করে?
ডিবি পুলিশ জানায়, ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে তিন সন্তানের জনক ইমতিয়াজের পরিচয় হয় আলিফ নামের এক তরুণের সঙ্গে। তার ডাকে ৭ মার্চ দুপুরে ক্রিসেন্ট রোডের একটি বাসায় যান তিনি। বাসাটি ছিল আরাফাত ও তার তৃতীয় লিঙ্গের সঙ্গী মেঘের। সেখানে পূর্ব-পরিকল্পনা মতো ইমতিয়াজের উপর হামলে পড়ে আরাফত, মেঘ এবং মুন্না। আটকে রেখে অর্থ দাবি করলে ইমতিয়াজ দিতে অস্বীকৃতি জানান। এতে বেদম মারধর এবং অত্যাচারের শিকার হয়ে একপর্যায়ে মারা যান ইমতিয়াজ।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে মগবাজার থেকে একটি প্রাইভেটকার নিয়ে আসে মেঘ। আরাফাত ডেকে আনে আনোয়ারকে। ইমতিয়াজের লাশ পেছনে ঢুকিয়ে সুবিধাজনক একটি স্থান খুঁজতে থাকে তারা। একসময় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এলাকায় ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ের পাশের একটি ঝোপে লাশটি ফেলে যে যার মত গা ঢাকা দেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
ডিবির তেজগাঁও বিভাগের নেতৃত্বে টানা অপারেশনে গ্রেপ্তার হয় মেঘ, আনোয়ার ও মুন্না। তবে আরাফত আর আলিফ পালিয়ে গেছে ভারতে। চক্রটি এভাবে ডেটিং অ্যাপের ফাঁদে ফেলে বহু মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা।