কাজ করবেন ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশু বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে । এজন্য অতিরিক্ত জনবল, যানবাহনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে কাজ করবে সংস্থা দুইটি। এবার ১৭ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন জানান, এবার পবিত্র ঈদ-উল-আযাহার কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘন্টায় অপসারণে কাজ করবে সংস্থার ৬ হাজার পরিছন্নতাকর্মী। কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠু তদারকির লক্ষ্যে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ডিএসসিসি’র বিভাগীয় প্রধানগণ ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে মাঠ পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকারে আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে, যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার যেকোনো নাগরিক ফোন করে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে কন্ট্রোল রুমের ০১৭০৯৯০০৭০৫ নম্বরে ফোন করতে পারেন। ডিএসসিসি অধিভূক্ত এলাকার যেকোনো নাগরিক বা গণমাধ্যম কর্মী এই নম্বরে ফোন করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জানালে তা অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানি ঈদের দিন প্রায় ৫.৫ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় ১ লাখ বিশেষ ধরণের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকা মোট ৩০০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।
ডিএনসিসি এলাকায় ঈদ-উল-আযহায় কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান জানান, ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে যা দৈনন্দিন বর্জ্য থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশী। এই বিপুল পরিমান বর্জ্য যাতে যথাসময়ে দ্রুত অপসারণ করা যায় এবং জনগণ যাতে স্বস্থির সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং পিডব্লিউসিএসপি কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ডিএনসিসির অফিসিয়াল সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রস্তুত থাকবে। এ জন্য সর্বস্তরের কর্মচারীদের সকল ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ভারী ও হালকা ৪৩০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে ১১টি পানি গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানিকৃত স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।
কাজ করবেন ১৭ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী
শুক্রবার, ৩১ জুলাই ২০২০
ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন কোরবানির পশু বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে । এজন্য অতিরিক্ত জনবল, যানবাহনসহ অন্যান্য লজিস্টিক সরঞ্জামাদি ব্যবহার করে কাজ করবে সংস্থা দুইটি। এবার ১৭ হাজারেরও বেশি পরিচ্ছন্নতা কর্মী এ কাজে নিয়োজিত থাকবেন। নির্ধারিত স্থানেই পশু কোরবানি দিতে নগরবাসীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন জানান, এবার পবিত্র ঈদ-উল-আযাহার কোরবানির বর্জ্য ২৪ ঘন্টায় অপসারণে কাজ করবে সংস্থার ৬ হাজার পরিছন্নতাকর্মী। কোরবানির পশুর হাট ও কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সুষ্ঠু তদারকির লক্ষ্যে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে একটি মনিটরিং কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এতে ডিএসসিসি’র বিভাগীয় প্রধানগণ ছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন পরিক্রমায় দায়িত্ব পালন করবেন। একই সাথে মাঠ পর্যায়ে সৃষ্ট বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম সরেজমিনে সচিত্র মনিটরিংয়ের জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারী সহকারে আরেকটি টিম গঠন করা হয়েছে, যারা ৭৫টি ওয়ার্ডে সরেজমিনে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম তদারকি করবেন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার যেকোনো নাগরিক ফোন করে বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে কন্ট্রোল রুমের ০১৭০৯৯০০৭০৫ নম্বরে ফোন করতে পারেন। ডিএসসিসি অধিভূক্ত এলাকার যেকোনো নাগরিক বা গণমাধ্যম কর্মী এই নম্বরে ফোন করে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ সংক্রান্ত কোন অভিযোগ জানালে তা অপসারণে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোরবানি ঈদের দিন প্রায় ৫.৫ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে। বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য ডিএসসিসি থেকে প্রায় ১ লাখ বিশেষ ধরণের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণের জন্য ভারী ও হালকা মোট ৩০০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে ১২টি পানির গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানির স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।
ডিএনসিসি এলাকায় ঈদ-উল-আযহায় কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য এবারও ২৪ ঘন্টার মধ্যে অপসারণ করার প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান জানান, ডিএনসিসি আওতাধীন এলাকায় ঈদের দিন প্রায় ১০ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হবে যা দৈনন্দিন বর্জ্য থেকে প্রায় ৩ গুণ বেশী। এই বিপুল পরিমান বর্জ্য যাতে যথাসময়ে দ্রুত অপসারণ করা যায় এবং জনগণ যাতে স্বস্থির সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিশেষ ব্যবস্থা ও প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া কোরবানি পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ সুষ্ঠুভাবে সমাধানের জন্য সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্য মাঠ পর্যায়ে ডিএনসিসির নিজস্ব, আউটসোর্সিং এবং পিডব্লিউসিএসপি কর্মীসহ ১১ হাজার ৫০৮ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী এবং ডিএনসিসির অফিসিয়াল সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী প্রস্তুত থাকবে। এ জন্য সর্বস্তরের কর্মচারীদের সকল ধরণের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ভারী ও হালকা ৪৩০টি যানবাহন প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে ১১টি পানি গাড়ির মাধ্যমে স্যাভলন ও ব্লিচিং মিশ্রিত পানি ছিটিয়ে কোরবানিকৃত স্থান দূষণমুক্ত করা হবে।