আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন সমাবেশ ও মিছিলের কারণে রাজধানীতে যানজট জনদুর্ভোগ। শনিবার ছুটির দিনেও একই অবস্থা -সংবাদ
শনিবার (২৭ মে) বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে বিএনপি। অন্যদিকে একই সময় রাজধানীর মধ্যবাড্ডার লুৎফুন টাওয়ারের সামনের সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে একই সময়ে ঢাকার দুই প্রান্তের কর্মসূচি হওয়ায় রাজধানীতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ছুটির দিনেও সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের। এ সময় রাস্তায় আটকে থাকা অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
শনিবার একই সময়ে রাজধানীর ভিন্ন জায়গায় দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করায় এমন দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
রাজধানী ঢাকাকে যানজটের শহর বলা হয়ে থাকে। একটু বৃষ্টি কিংবা যেকোন দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ভোগে পড়ে যায় রাজধানীবাসী। আর যদি দলীয় সমাবেশ হয় তাহলে তো কথাই নাই। দুর্ভোগে নাকাল হতে হয়। সাধারণভাবেই যানজটের এই ভোগান্তি নিত্যদিনের। এর মধ্যে সড়ক আটকে যেকোন কর্মসূচি হলে যানজটের প্রভাব পড়ে ঢাকার অন্য সড়কেও। এতে ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ বলে জানান পল্টনের রাস্তা ধরে যাওয়া মো. গিয়াস উদ্দীন।
পল্টন থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ভিক্টর বাসে যাওয়া যাত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘এমনিতেই যানজটে শেষ। এর মধ্যে রাস্তায় এরা সমাবেশ করলে মানুষ যাবে কোথায়। এমন দুর্ভোগ কমাতে এদিকে নজর দিতে হবে। ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করার কথা ভাবতে হবে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশের কারণে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘসময় বসে থেকেও গাড়ি না চলায় অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে বাড্ডায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কারণে মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। প্রগতি স্বরণি পুরোটাজুড়ে স্থবির হয়ে পড়ে।
আকাশ পরিবহনের চালক মো. রবি বলেন, ‘গাজীপুর যেতে কয়টা বাজবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। দিনশেষে জমা দেয়ার পর ঘরের জন্য কিছু আজ আর নেয়া যাবে না।’
অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে জনসমাবেশ করছে বিএনপি।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে মেঘ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে জড়ো হন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে শনিবারের সমাবেশে অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদিকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের প্রকাশ্য জনসভায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মধ্যবাড্ডা, লুৎফর টাওয়ারের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন সমাবেশ ও মিছিলের কারণে রাজধানীতে যানজট জনদুর্ভোগ। শনিবার ছুটির দিনেও একই অবস্থা -সংবাদ
শনিবার, ২৭ মে ২০২৩
শনিবার (২৭ মে) বেলা তিনটার দিকে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সড়ক বন্ধ করে সমাবেশ করে বিএনপি। অন্যদিকে একই সময় রাজধানীর মধ্যবাড্ডার লুৎফুন টাওয়ারের সামনের সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে একই সময়ে ঢাকার দুই প্রান্তের কর্মসূচি হওয়ায় রাজধানীতে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজটের। ছুটির দিনেও সড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয় ঘরের বাইরে বের হওয়া মানুষদের। এ সময় রাস্তায় আটকে থাকা অনেকেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।
শনিবার একই সময়ে রাজধানীর ভিন্ন জায়গায় দেশের প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ করায় এমন দুর্ভোগে পড়ে সাধারণ মানুষ।
রাজধানী ঢাকাকে যানজটের শহর বলা হয়ে থাকে। একটু বৃষ্টি কিংবা যেকোন দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ভোগে পড়ে যায় রাজধানীবাসী। আর যদি দলীয় সমাবেশ হয় তাহলে তো কথাই নাই। দুর্ভোগে নাকাল হতে হয়। সাধারণভাবেই যানজটের এই ভোগান্তি নিত্যদিনের। এর মধ্যে সড়ক আটকে যেকোন কর্মসূচি হলে যানজটের প্রভাব পড়ে ঢাকার অন্য সড়কেও। এতে ভোগান্তি বাড়ে কয়েকগুণ বলে জানান পল্টনের রাস্তা ধরে যাওয়া মো. গিয়াস উদ্দীন।
পল্টন থেকে গাজীপুরের উদ্দেশে ভিক্টর বাসে যাওয়া যাত্রী মাহমুদা আক্তার বলেন, ‘এমনিতেই যানজটে শেষ। এর মধ্যে রাস্তায় এরা সমাবেশ করলে মানুষ যাবে কোথায়। এমন দুর্ভোগ কমাতে এদিকে নজর দিতে হবে। ভিন্নভাবে কর্মসূচি পালন করার কথা ভাবতে হবে।’
সরেজমিন দেখা গেছে, বিএনপির সমাবেশের কারণে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল এলাকায় সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘসময় বসে থেকেও গাড়ি না চলায় অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে বাড্ডায় আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কারণে মালিবাগ আবুল হোটেল থেকে শুরু হয়েছে তীব্র যানজট। প্রগতি স্বরণি পুরোটাজুড়ে স্থবির হয়ে পড়ে।
আকাশ পরিবহনের চালক মো. রবি বলেন, ‘গাজীপুর যেতে কয়টা বাজবে আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। দিনশেষে জমা দেয়ার পর ঘরের জন্য কিছু আজ আর নেয়া যাবে না।’
অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি, দলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, হয়রানি ও নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনুর মুক্তির দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে জনসমাবেশ করছে বিএনপি।
শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ সমাবেশ শুরু হয়। পূর্বঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে অংশ নিতে মেঘ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে নয়াপল্টনে জড়ো হন দলটির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে শনিবারের সমাবেশে অংশ নেন কেন্দ্রীয় নেতারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। অন্যদিকে রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদের প্রকাশ্য জনসভায় বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মধ্যবাড্ডা, লুৎফর টাওয়ারের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম প্রমুখ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।