কুমিল্লায় অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কর্মীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। এমন দাবি করেছে জেলার বরুড়া থানা পুলিশ। এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কর্মীর অস্ত্র প্রদর্শনের ওই ভিডিওটি গত শুক্রবার রাত থেকে ভাইরাল হয়। উপজেলার খোশবাস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গত ১২ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া ওই দুই যুবক রিয়াজ ও ফরহাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে একাধিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১২ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খোশবাস এলাকায় একটি ব্যানার লাগানো হয়। ওই ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির পাশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী রিয়াজ হোসেন ও ফরহাদ হোসেনের ছবি দেয়া হয়। আর এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খোকার অনুসারী রুবেল ও হানিফ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় খোশবাস উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ফরহাদ ও রিয়াজ অন্যপক্ষ খোরশেদ আলম খোকার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি এবং পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার সাধারণ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত শুক্রবার রাত থেকে ভাইরাল হতে থাকে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রিয়াজ ও ফরহাদ হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন ও তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেনসহ অন্যরা তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করছেন।
খোরশেদ আলম খোকা বলেন, যাদের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে- তারা আমাদের অনুসারী নয়, দলের কোন পদে আছে তাও জানি না, তাই শোক দিবসের ব্যানারে তাদের ছবি দেখে আমাদের অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়। তাই ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কবির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় দুই পক্ষের হাতাহাতির পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন আমি অনুষ্ঠানে ছিলাম, নিচে এসে দেখি রিয়াজ ও ফরহাদ অস্ত্র হাতে, তখন চেষ্টা করে তাদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তবে কোন গুলির (ফায়ার) ঘটনা ঘটেনি। অস্ত্রধারীরা তার অনুসারী নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে কবির হোসনের ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন বলেন, অস্ত্র প্রদর্শন করা দুইজন দলের ওয়ার্ড কমিটির কোন পদে আছে কি না তা আমার জানা নেই, সভাপতি বলতে পারবে। তবে তারা আগে ছাত্রলীগ করলেও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী এটা বলতে পারি। তিনি আরও বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে দল ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। এদিকে মোবাইল ফোন বন্ধ ও এলাকা থেকে পালিয়ে থাকায় অস্ত্রধারী দুই যুবকের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাটি দেরিতে হলেও আমাদের নজরে এসেছে। অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
শনিবার, ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
কুমিল্লায় অস্ত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই কর্মীর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ তাদেরকে আটক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে। এমন দাবি করেছে জেলার বরুড়া থানা পুলিশ। এর আগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জেলার বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কর্মীর অস্ত্র প্রদর্শনের ওই ভিডিওটি গত শুক্রবার রাত থেকে ভাইরাল হয়। উপজেলার খোশবাস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে গত ১২ আগস্ট এ ঘটনা ঘটে। অস্ত্র হাতে ভাইরাল হওয়া ওই দুই যুবক রিয়াজ ও ফরহাদ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বরুড়া উপজেলার খোশবাস উত্তর ইউনিয়ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে একাধিক গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গত ১২ আগস্ট স্বেচ্ছাসেবক লীগের উদ্যোগে খোশবাস এলাকায় একটি ব্যানার লাগানো হয়। ওই ব্যানারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির পাশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী রিয়াজ হোসেন ও ফরহাদ হোসেনের ছবি দেয়া হয়। আর এতেই দেখা দেয় বিপত্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম খোকার অনুসারী রুবেল ও হানিফ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলেন। এ সময় খোশবাস উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোক দিবসের প্রস্তুতি সভা চলছিল। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা বলেন, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় মাঠে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এতে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী ফরহাদ ও রিয়াজ অন্যপক্ষ খোরশেদ আলম খোকার লোকজনের সঙ্গে হাতাহাতি এবং পরে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় ওই এলাকার সাধারণ লোকজনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ১ মিনিট ৪ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গত শুক্রবার রাত থেকে ভাইরাল হতে থাকে। ভিডিওতে দেখা যায়, স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী রিয়াজ ও ফরহাদ হাতে অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। এ সময় ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন ও তার ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কবির হোসেনসহ অন্যরা তাদেরকে নিবৃত করার চেষ্টা করছেন।
খোরশেদ আলম খোকা বলেন, যাদের হাতে অস্ত্র দেখা গেছে- তারা আমাদের অনুসারী নয়, দলের কোন পদে আছে তাও জানি না, তাই শোক দিবসের ব্যানারে তাদের ছবি দেখে আমাদের অনুসারীরা ক্ষুব্ধ হয়। তাই ব্যানারটি ছিঁড়ে ফেলায় এমন ঘটনা ঘটেছে। কবির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, একটি ব্যানার ছিঁড়ে ফেলার ঘটনায় দুই পক্ষের হাতাহাতির পর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তখন আমি অনুষ্ঠানে ছিলাম, নিচে এসে দেখি রিয়াজ ও ফরহাদ অস্ত্র হাতে, তখন চেষ্টা করে তাদের মাঠ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়, তবে কোন গুলির (ফায়ার) ঘটনা ঘটেনি। অস্ত্রধারীরা তার অনুসারী নয় বলেও তিনি দাবি করেন।
তবে কবির হোসনের ভাই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিন বলেন, অস্ত্র প্রদর্শন করা দুইজন দলের ওয়ার্ড কমিটির কোন পদে আছে কি না তা আমার জানা নেই, সভাপতি বলতে পারবে। তবে তারা আগে ছাত্রলীগ করলেও বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কর্মী এটা বলতে পারি। তিনি আরও বলেন, একটি তুচ্ছ ঘটনায় প্রকাশ্যে এভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের বিষয়ে দল ও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয়ার দাবি উঠেছে। এদিকে মোবাইল ফোন বন্ধ ও এলাকা থেকে পালিয়ে থাকায় অস্ত্রধারী দুই যুবকের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে বরুড়া থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, অবৈধভাবে অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনাটি দেরিতে হলেও আমাদের নজরে এসেছে। অস্ত্রধারী ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হয়েছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ তাদেরকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।