লোভ থেকে টাকা চুরির পরিকল্পনা
বৃদ্ধ দাদী নাতিকে দিয়ে মাঝে মধ্যে বাসার ছোটখাট কাজ ও কেনাকাটা করাত। বিনিময়ে দাদি দূর সম্পর্কের ওই নাতিকে কিছু টাকাও দিত। টাকা দেয়ার সময় দাদির কাছে বেশী টাকা আছে তা দেখে ফেলে নাতি। এরপর বাসায় ঢুকে দাদির টাকা চুরি করার পরিকল্পনা করে। টাকা চুরি করতে রাতে বাসায় ঢুকলে দাদি দেখে ফেলে ও চিৎকার দেয়। এরপর দাদিকে নির্মম ভাবে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর বাসা থেকে দাদির টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন চুরি করে নাতিসহ দুই জন মিলে তা ভাগবাটারোয়া করে নেয়।
অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের তদন্তে ঘটনায় নাতি জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। এরপর অভিযান চালিয়ে দাদী হত্যার অভিযোগে নাতিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে নিজেদেরকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইলের ভ’য়াপুরে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পিবিআই ধানমন্ডিস্থ প্রধান কার্যকালয় থেকে এই সব তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,সন্দেহ ভাজন আসামি মোঃ লাবু ও আল-আমিন আকন্দ। গত মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানা ও টাঙ্গাইলের ভ’য়াপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী জানান, অভিযুক্ত আসামি আল-আমিন বৃদ্ধ সুলতানা সুরাইয়ার পাশ্বের বাড়ির দূর-সম্পর্কের নাতি হয়। মাঝে মধ্যে দাদির ছোট খাট কাজ কর্ম করে দিত। আর দাদি নাতিকে খরচের টাকাও দিয়ে দিত। নাতি আল-আমিন ও তার সহযোগী লাবু দাদির বাসায় চুরির করার উদ্দেশ্যে গত ১৩ সেপ্টম্বর বুধবার রাতে গ্রীল বেয়ে কৌশলে বাসায় ঢুকে লুকিয়ে থাকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃদ্ধ নানি বাথরুমে যায়। তখন দরজা খোলা পেয়ে নাতি ও তার সহযোগী ঘরে ঢুকে। নানি ওয়াশ রুম থেকে ঘরে ঢুকে তাদেরকে দেখে চিনে ফেলে চিৎকার দেয়। তখন আসামিরা ধরা পড়ার ভয়ে নানির গলায় গামছা ও চিকন রশি পেছিয়ে টেনে ধরে। আর ধারালো চাকুৃ দিয়ে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
হত্যার পর লাশ রেখে বিছানার নিচে একটি ব্যাগ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও দৃইটি মোবাইল ফোন চুরি করে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর তারা বাইরে নিরাপদ স্থানে বসে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়।
পরের দিন ১৪ সেপ্টম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা নানির বাড়ির বারান্দায় গ্রীলে তালা দেয়া দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুলায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে বাড়ির লোকজন গেট টপকে ভিতরে দিয়ে ঘরে নানি সুলতানা সুরাইয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় সুলতানা সুরাইয়ার ছেলে আবু সায়েম আকন্দ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ভ’য়াপুর থানায় মামলা দায়ের করে। পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্ত বার গ্রহণ করে। এরপর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুৃরি করা মোবাইল ফোন বিক্রির সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার রাতে নাতিসহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার ও তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজ আমীন জানান,এই ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পিবিআইয়ের টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্তবার গ্রহণ করে আসামিদেরকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য নানি সুলতানা সুরাইয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও একজন সাংবাদিকের মা।
লোভ থেকে টাকা চুরির পরিকল্পনা
বৃহস্পতিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
বৃদ্ধ দাদী নাতিকে দিয়ে মাঝে মধ্যে বাসার ছোটখাট কাজ ও কেনাকাটা করাত। বিনিময়ে দাদি দূর সম্পর্কের ওই নাতিকে কিছু টাকাও দিত। টাকা দেয়ার সময় দাদির কাছে বেশী টাকা আছে তা দেখে ফেলে নাতি। এরপর বাসায় ঢুকে দাদির টাকা চুরি করার পরিকল্পনা করে। টাকা চুরি করতে রাতে বাসায় ঢুকলে দাদি দেখে ফেলে ও চিৎকার দেয়। এরপর দাদিকে নির্মম ভাবে শ্বাসরোধ ও গলা কেটে হত্যা করে। হত্যার পর বাসা থেকে দাদির টাকা ও দুইটি মোবাইল ফোন চুরি করে নাতিসহ দুই জন মিলে তা ভাগবাটারোয়া করে নেয়।
অবশেষে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের তদন্তে ঘটনায় নাতি জড়িত হওয়ার প্রমাণ পেয়েছে পিবিআই। এরপর অভিযান চালিয়ে দাদী হত্যার অভিযোগে নাতিসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা আদালতে নিজেদেরকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। রাজধানীর অদূরে টাঙ্গাইলের ভ’য়াপুরে এই নির্মম ঘটনা ঘটেছে। গতকাল পিবিআই ধানমন্ডিস্থ প্রধান কার্যকালয় থেকে এই সব তথ্য জানা গেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো,সন্দেহ ভাজন আসামি মোঃ লাবু ও আল-আমিন আকন্দ। গত মঙ্গলবার রাতে সিরাজগঞ্জ সদর থানা ও টাঙ্গাইলের ভ’য়াপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, হত্যাকান্ডে ব্যবহ্নত ধারালো চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান আনসারী জানান, অভিযুক্ত আসামি আল-আমিন বৃদ্ধ সুলতানা সুরাইয়ার পাশ্বের বাড়ির দূর-সম্পর্কের নাতি হয়। মাঝে মধ্যে দাদির ছোট খাট কাজ কর্ম করে দিত। আর দাদি নাতিকে খরচের টাকাও দিয়ে দিত। নাতি আল-আমিন ও তার সহযোগী লাবু দাদির বাসায় চুরির করার উদ্দেশ্যে গত ১৩ সেপ্টম্বর বুধবার রাতে গ্রীল বেয়ে কৌশলে বাসায় ঢুকে লুকিয়ে থাকে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৃদ্ধ নানি বাথরুমে যায়। তখন দরজা খোলা পেয়ে নাতি ও তার সহযোগী ঘরে ঢুকে। নানি ওয়াশ রুম থেকে ঘরে ঢুকে তাদেরকে দেখে চিনে ফেলে চিৎকার দেয়। তখন আসামিরা ধরা পড়ার ভয়ে নানির গলায় গামছা ও চিকন রশি পেছিয়ে টেনে ধরে। আর ধারালো চাকুৃ দিয়ে গলা কেটে নির্মম ভাবে হত্যা করে।
হত্যার পর লাশ রেখে বিছানার নিচে একটি ব্যাগ থেকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও দৃইটি মোবাইল ফোন চুরি করে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। এরপর তারা বাইরে নিরাপদ স্থানে বসে টাকা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়ে নিজ বাড়িতে চলে যায়।
পরের দিন ১৪ সেপ্টম্বর বৃহস্পতিবার স্থানীয়রা নানির বাড়ির বারান্দায় গ্রীলে তালা দেয়া দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খুলায় তাদের সন্দেহ হয়। পরে বাড়ির লোকজন গেট টপকে ভিতরে দিয়ে ঘরে নানি সুলতানা সুরাইয়ার গলাকাটা লাশ দেখতে পায়। এরপর পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এই ঘটনায় সুলতানা সুরাইয়ার ছেলে আবু সায়েম আকন্দ বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে ভ’য়াপুর থানায় মামলা দায়ের করে। পিবিআই টাঙ্গাইল জেলা স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্ত বার গ্রহণ করে। এরপর আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুৃরি করা মোবাইল ফোন বিক্রির সূত্র ধরে গত মঙ্গলবার রাতে নাতিসহ দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার ও তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সিরাজ আমীন জানান,এই ধরনের নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর পেয়ে পিবিআইয়ের টিম ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরপর স্ব-উদ্যোগে মামলাটির তদন্তবার গ্রহণ করে আসামিদেরকে গ্রেফতার করেছে। উল্লেখ্য নানি সুলতানা সুরাইয়া একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও একজন সাংবাদিকের মা।