নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ের প্রতিবাদকারী হুমায়ুন কবির মুকুল (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে।
তার পারিবারিক সূএে জানা যায়,শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইফ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরআগে, ০১ অক্টোবর সকালে সদর উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে মাদক কারবারি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন হুমায়ুন কবির মুকুল ।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে তার অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এখানে একমাস ষোল দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা শুক্রবার সে মারা যায়।
হুমায়ুন কবির মুকুল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের মো.আবদুল কাদের ডাক্তারের ছেলে।
নিহত হুমায়ুন কবির মুকুলের ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ বলেন, তাঁর ভাই মুকুল সেনবাগ উপজেলায় একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। সে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মাদক ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় মুকুলের। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুকুলের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যা সন্তানকে দেখতেবাড়ি আসেন।
পলাশ বলেন, ০১ অক্টোবর সকালে বাবার সঙ্গে নবজাতক শিশুর জন্য কেনাকাটা করতে সাহেবের হাট বাজারে যায় মুকুল। এসময় পূর্ব পরুকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম, ওমর ফারুক,সাহাব উদ্দিন, সবুজ, আবু রায়হান সহ তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুকুলের ওপর হামলা করে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় মুকুল।
মুকুলের বাবা মো.আবদুল কাদের ডাক্তার বলেন, ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দেয়নি, মেরে ফেলেছে। আমার ছেলে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলছে, এতে কি দোষ হয়েছে? এজন্য কি তাকে মেরে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর মাদক ব্যবসায়ী কালাম ও তাঁর সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করি। ওই মামলায় আসামিরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এতে আমরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে সুধারাম থানায় একটি জিডিও করি। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। তারা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরও মেরে ফেলবে। ছেলের হত্যাকারী মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তিনি।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহবুবুল আলম শিহাব ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিচারের দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
নোয়াখালী সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নে মাদক ব্যবসায়ের প্রতিবাদকারী হুমায়ুন কবির মুকুল (৩৫) নামের এক যুবককে পিটিয়ে আহত করার পর ঢাকার একটি হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাকালীন তার মৃত্যু হয়েছে।
তার পারিবারিক সূএে জানা যায়,শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লাইফ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। এরআগে, ০১ অক্টোবর সকালে সদর উপজেলার সাহেবের হাট পশ্চিম বাজারে মাদক কারবারি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে আহত হন হুমায়ুন কবির মুকুল ।গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।পরে তার অবস্থার গুরুতর অবনতি ঘটলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। এখানে একমাস ষোল দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা শুক্রবার সে মারা যায়।
হুমায়ুন কবির মুকুল উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের আবদুল্যাহপুর গ্রামের মো.আবদুল কাদের ডাক্তারের ছেলে।
নিহত হুমায়ুন কবির মুকুলের ভাই আবদুল মাবুদ পলাশ বলেন, তাঁর ভাই মুকুল সেনবাগ উপজেলায় একটি বাড়ি-একটি খামার প্রকল্পে কর্মরত ছিলেন। সে এলাকায় বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুবাদে বিভিন্ন সময় মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। মাদক ব্যবসায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করায় কয়েক মাস আগে মাদক ব্যবসায়ী কালামের সঙ্গে বাকবিতন্ডা হয় মুকুলের। গত সেপ্টেম্বর মাসে মুকুলের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যা সন্তানকে দেখতেবাড়ি আসেন।
পলাশ বলেন, ০১ অক্টোবর সকালে বাবার সঙ্গে নবজাতক শিশুর জন্য কেনাকাটা করতে সাহেবের হাট বাজারে যায় মুকুল। এসময় পূর্ব পরুকল্পিতভাবে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম, ওমর ফারুক,সাহাব উদ্দিন, সবুজ, আবু রায়হান সহ তাদের সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে মুকুলের ওপর হামলা করে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুত্বর আহত হয় মুকুল। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় ১ মাস ১৬ দিন পর শুক্রবার সকালে মারা যায় মুকুল।
মুকুলের বাবা মো.আবদুল কাদের ডাক্তার বলেন, ওরা আমার ছেলেকে বাঁচতে দেয়নি, মেরে ফেলেছে। আমার ছেলে মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলছে, অপরাধের বিরুদ্ধে কথা বলছে, এতে কি দোষ হয়েছে? এজন্য কি তাকে মেরে ফেলতে হবে।
তিনি বলেন, ঘটনার পর মাদক ব্যবসায়ী কালাম ও তাঁর সঙ্গীয়দের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করি। ওই মামলায় আসামিরা কোর্ট থেকে জামিনে এসে আমার বাড়িতে এসে মামলা তুলে নিতে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়। এতে আমরা আরো আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। পরে সুধারাম থানায় একটি জিডিও করি। কিন্তু আসামিরা গ্রেফতার হয়নি। তারা আমাকে এবং আমার পরিবারের সদস্যদেরও মেরে ফেলবে। ছেলের হত্যাকারী মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান তিনি।
নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মাহবুবুল আলম শিহাব ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত করে এই হত্যাকান্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিচারের দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনিকে একাধিকবার মুঠোফোনে কল ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।