দীর্ঘ দিন তদন্তের পর জানা গেল ৩২৯ টন চাল গুদাম থেকে উধায়। মুক্তাগাছা থানায় মামলা,খাদ্য পরির্দশক বরখাস্ত।
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার থানায় মামলাটি করেন মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী। মামলার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
চাল ঘাটতির ঘটনায় মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর মুক্তাগাছা থেকে অন্যত্র বদলির আদেশ পান শাকিল আহমেদ। ১২ অক্টোবর তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান সাইফুল ইসলাম। নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শাকিল গুদামের চাবি নিয়ে গা-ঢাকা দেন।
বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে ২২ অক্টোবর ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে গুদামের তালা ভেঙে তদন্ত কমিটি খাদ্যের মজুদ যাচাই করে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আরও বলেন, প্রায় এক মাসের তদন্ত শেষে ৯ হাজার ৯৭১টি বস্তায় ৩২৮ টন ৯৮০ কেজি চাল ঘাটতি পাওয়া যায়; যার বাজার মূল্য এক কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ২২৮ টাকা।
এ ছাড়া ৩০ কেজি চালের ১১ হাজার ৪৬৬টি খালি বস্তার ঘাটতি এবং ৫০ কেজি চালের ৩৮০টি খালি বস্তার ঘাটতি পাওয়া যায়; যার বাজার মূল্য সাত লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ টাকা বলে জানান তিনি।
সব মিলিয়ে তদন্ত কমিটি এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৪১ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
তিনি আরও বলেন, ফৌজদারি আইনে শাকিলের নামে মামলা হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে মজুদ পণ্যের যাচাই শেষে নতুন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্বের কর্মকর্তা শাকিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
“তদন্তে অন্য কারো দায় আছে কী-না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাকরি অনুযায়ী সরকার প্রত্যেককে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তারপরও যারা অনিয়ম দুর্নীতি করছেন তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।”
মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটি দুদক তদন্ত করছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩
দীর্ঘ দিন তদন্তের পর জানা গেল ৩২৯ টন চাল গুদাম থেকে উধায়। মুক্তাগাছা থানায় মামলা,খাদ্য পরির্দশক বরখাস্ত।
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মঙ্গলবার থানায় মামলাটি করেন মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রেবেকা সুলতানা রুবী। মামলার পর থেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।
চাল ঘাটতির ঘটনায় মুক্তাগাছা উপজেলা খাদ্য গুদামের সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাকিল আহমেদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের।
তিনি বলেন, ১০ অক্টোবর মুক্তাগাছা থেকে অন্যত্র বদলির আদেশ পান শাকিল আহমেদ। ১২ অক্টোবর তার স্থানে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান সাইফুল ইসলাম। নতুন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও শাকিল গুদামের চাবি নিয়ে গা-ঢাকা দেন।
বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে ২২ অক্টোবর ঘটনাটি তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে গুদামের তালা ভেঙে তদন্ত কমিটি খাদ্যের মজুদ যাচাই করে।
খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবদুল কাদের আরও বলেন, প্রায় এক মাসের তদন্ত শেষে ৯ হাজার ৯৭১টি বস্তায় ৩২৮ টন ৯৮০ কেজি চাল ঘাটতি পাওয়া যায়; যার বাজার মূল্য এক কোটি ৭০ লাখ ৭ হাজার ২২৮ টাকা।
এ ছাড়া ৩০ কেজি চালের ১১ হাজার ৪৬৬টি খালি বস্তার ঘাটতি এবং ৫০ কেজি চালের ৩৮০টি খালি বস্তার ঘাটতি পাওয়া যায়; যার বাজার মূল্য সাত লাখ ২৫ হাজার ৯৬০ টাকা বলে জানান তিনি।
সব মিলিয়ে তদন্ত কমিটি এক কোটি ৭৭ লাখ ৯৮ হাজার ২৪১ টাকার দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বলে জানান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক।
তিনি আরও বলেন, ফৌজদারি আইনে শাকিলের নামে মামলা হয়েছে। তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বিষয়টি দুদক তদন্ত করছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু নঈম মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, “মুক্তাগাছা খাদ্য গুদামে মজুদ পণ্যের যাচাই শেষে নতুন ভারপ্রাপ্ত গুদাম কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্বের কর্মকর্তা শাকিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হবে।
“তদন্তে অন্য কারো দায় আছে কী-না তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চাকরি অনুযায়ী সরকার প্রত্যেককে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করেছে। তারপরও যারা অনিয়ম দুর্নীতি করছেন তাদের কোনোভাবেই ছাড় নয়।”
মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, চাল আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলাটি দুদক তদন্ত করছে। আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।