কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর দুই পাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। শীত এলেই মাটিকাটা বাণিজ্যে মেতে ওঠে তারা। সিন্ডিকেটের নিযোজিত কিছু লোক মাটিকাটা দেখভাল করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনে রাতে ট্রলিযোগে বেত্রবতী নদীর পাড়ের মাটি যাচ্ছে ইটভাটা আর বাড়ি নির্মাণে ভরাট করার কাজে। মাটিবাহী ট্রাক্টরের চলাচলে সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। মাটি কাটার দৃশ্য দেখলেও ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খোলেন না। কলারোয়া বেত্রবতী নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত কিছু দিন ধরে চলছে মাটি বাণিজ্য। বেত্রবতী নদীর পাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করার ফলে হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে নদীর তীরে বসবাসকারীদের। নদীর পাড় থেকে মূল রাস্তায় ওঠা-নামার জন্য বিকল্প পথও তৈরি করা হয়েছে। নদী পাড়ের গোপিনাথপুর ও মুরারীকাঠি ঘাটের ব্রীজের পাশের পাড়ের মাটি কেটে কেটে তৈরি পথে রাস্তায় উঠে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যায়। আবার খালি ট্রলি এসে জড়ো হচ্ছে নদীর পাড়ে। সেখানকার স্থানীয় মুরারীকাঠি গ্রামের অরুণ পালের স্ত্রী কল্পনা পাল জানান, নদী খননের সময় আমাদের মালিকানাধীন জমিতে মাটি কেটে রাখলে সেই মাটি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে জমি সমান করে কলাগাছ রোপন করি। কিন্তু হঠাৎ করে এই মাটি খেকোরা জোরপূর্বক কলা গাছ উপড়ে ফেলে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন ফল না পাওয়ার আক্ষেপ করেন তিনি। এলাকাবাসীরা জানান, পাড়ের মাটি যেভাবে কেটে নেয়া হচ্ছে তাতে স্থানীয়দের বসবাস হুমকির মুখে পড়বে। মাটিকাটা সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছু বলার সাহসও নেই স্থানীয়দের। মাটি পরিবহন করা এমন একজন ট্রলি চালককে সিন্ডিকেটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। তার মুখ থেকে কোনোভাবেই বের করা যায়নি সংশ্লিষ্ট কারও নাম। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, মাটি কাটার বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যেই কাটুক তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩
কলারোয়ার বেত্রবতী নদীর দুই পাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করে দিচ্ছে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। শীত এলেই মাটিকাটা বাণিজ্যে মেতে ওঠে তারা। সিন্ডিকেটের নিযোজিত কিছু লোক মাটিকাটা দেখভাল করে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দিনে রাতে ট্রলিযোগে বেত্রবতী নদীর পাড়ের মাটি যাচ্ছে ইটভাটা আর বাড়ি নির্মাণে ভরাট করার কাজে। মাটিবাহী ট্রাক্টরের চলাচলে সড়কগুলো ভেঙে যাচ্ছে। মাটি কাটার দৃশ্য দেখলেও ভয়ে স্থানীয়রা মুখ খোলেন না। কলারোয়া বেত্রবতী নদীর প্রায় ৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে গত কিছু দিন ধরে চলছে মাটি বাণিজ্য। বেত্রবতী নদীর পাড়ের মাটি কেটে সাবাড় করার ফলে হুমকির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে নদীর তীরে বসবাসকারীদের। নদীর পাড় থেকে মূল রাস্তায় ওঠা-নামার জন্য বিকল্প পথও তৈরি করা হয়েছে। নদী পাড়ের গোপিনাথপুর ও মুরারীকাঠি ঘাটের ব্রীজের পাশের পাড়ের মাটি কেটে কেটে তৈরি পথে রাস্তায় উঠে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যায়। আবার খালি ট্রলি এসে জড়ো হচ্ছে নদীর পাড়ে। সেখানকার স্থানীয় মুরারীকাঠি গ্রামের অরুণ পালের স্ত্রী কল্পনা পাল জানান, নদী খননের সময় আমাদের মালিকানাধীন জমিতে মাটি কেটে রাখলে সেই মাটি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে জমি সমান করে কলাগাছ রোপন করি। কিন্তু হঠাৎ করে এই মাটি খেকোরা জোরপূর্বক কলা গাছ উপড়ে ফেলে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেও কোন ফল না পাওয়ার আক্ষেপ করেন তিনি। এলাকাবাসীরা জানান, পাড়ের মাটি যেভাবে কেটে নেয়া হচ্ছে তাতে স্থানীয়দের বসবাস হুমকির মুখে পড়বে। মাটিকাটা সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের কিছু বলার সাহসও নেই স্থানীয়দের। মাটি পরিবহন করা এমন একজন ট্রলি চালককে সিন্ডিকেটের বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে সে নাম জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। তার মুখ থেকে কোনোভাবেই বের করা যায়নি সংশ্লিষ্ট কারও নাম। কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় জানান, মাটি কাটার বিষয়টি আমি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। যেই কাটুক তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।