মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মো. নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, ঢাকায় দুটি ৭ তলা বাড়ি, একটি প্লট-ফ্ল্যাট ও কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ জমিসহ নামে-বেনামে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছে নুরুল ইসলাম। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করা হয়।
দুদক জানিয়েছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী শেখ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। আসামি নুরুল ইসলাম পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ মাদক মামলায় সে দীর্ঘদিন জেলে ছিল।
দুদকের উপ পরিচালক আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, মো. নুরুল ইসলাম ২০২১ সালে আদাবরের নবোদা হাউজিংয়ের বাসা থেকে ইয়াবাসহ র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। পরে তার বিরুদ্ধে আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানায় ৩টি মামলা হয়। পরে ওই মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। তখন দুদক অভিযোগ পেয়ে নুরুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান করে নামে-বেনামে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দুদক জানতে পারে, অবৈধ অর্থে নুরুল ইসলাম কক্সবাজারে বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছেন। এছাড়া রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় বিভিন্ন মৌজায় তার বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার হাজী দ্বীন মোহম্মদ রোডে ৩ কাঠা জমিতে ২ ইউনিটের ৭ তলা বাড়ি (বাড়ি নং ৫৫) , আদবরের নবোদা হাউজিং রোড়ে ৬ দশমিক ৬ কাঠা জমিতে আরেকটি ৭ তলা বাড়ি রয়েছে (বাড়িনং ৮ ব্লক ডি। দুটি বাড়ির নির্মাণ ব্যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন এলকায় ক্রয় করা জমির দাম ৫ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বলে প্রাথমিক হিসাবে পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক একাউন্টে নগদ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার জমা পাওয়া যায়।
মামলায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে নুরুল ইসলাম ৯ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার ২৬৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে উপার্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে বর্তমানে মাদক মামলায় জামিনে রয়েছে।
মামলার তদন্তে তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
সোমবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২২
মাদক মামলায় গ্রেপ্তার মো. নুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পদের খোঁজ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক বলছে, ঢাকায় দুটি ৭ তলা বাড়ি, একটি প্লট-ফ্ল্যাট ও কক্সবাজারে বিপুল পরিমাণ জমিসহ নামে-বেনামে এসব সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেছে নুরুল ইসলাম। অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়ায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি করা হয়।
দুদক জানিয়েছে, দুদকের সহকারী পরিচালক মো. কোরবান আলী শেখ বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। আসামি নুরুল ইসলাম পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কারণ মাদক মামলায় সে দীর্ঘদিন জেলে ছিল।
দুদকের উপ পরিচালক আরিফ সাদেক জানিয়েছেন, মো. নুরুল ইসলাম ২০২১ সালে আদাবরের নবোদা হাউজিংয়ের বাসা থেকে ইয়াবাসহ র্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হয়। পরে তার বিরুদ্ধে আদাবর ও মোহাম্মদপুর থানায় ৩টি মামলা হয়। পরে ওই মামলায় তাকে জেলে পাঠানো হয়। তখন দুদক অভিযোগ পেয়ে নুরুল ইসলামের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান শুরু করে। অনুসন্ধান করে নামে-বেনামে ১০ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, দুদক জানতে পারে, অবৈধ অর্থে নুরুল ইসলাম কক্সবাজারে বিভিন্ন এলাকায় বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছেন। এছাড়া রাজধানীর আদাবর থানা এলাকায় বিভিন্ন মৌজায় তার বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকার হাজী দ্বীন মোহম্মদ রোডে ৩ কাঠা জমিতে ২ ইউনিটের ৭ তলা বাড়ি (বাড়ি নং ৫৫) , আদবরের নবোদা হাউজিং রোড়ে ৬ দশমিক ৬ কাঠা জমিতে আরেকটি ৭ তলা বাড়ি রয়েছে (বাড়িনং ৮ ব্লক ডি। দুটি বাড়ির নির্মাণ ব্যায় ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন এলকায় ক্রয় করা জমির দাম ৫ কোটি ৫ লাখ ৫৯ হাজার টাকা বলে প্রাথমিক হিসাবে পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের একাধিক একাউন্টে নগদ প্রায় অর্ধ কোটি টাকার জমা পাওয়া যায়।
মামলায় বলা হয়েছে, সব মিলিয়ে নুরুল ইসলাম ৯ কোটি ৭০ লাখ ৬১ হাজার ২৬৭ টাকার সম্পদ অবৈধভাবে উপার্জন করে তা নিজ ভোগদখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ২৭(১) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, নুরুল ইসলাম দীর্ঘদিন কারাগারে থেকে বর্তমানে মাদক মামলায় জামিনে রয়েছে।
মামলার তদন্তে তার সম্পদের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। মামলাটি দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।