দোষ স্বীকার করলো এক আসামি
নোয়াখালীর সুবর্নচরের চার ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেস এর গৃহবধূ ও তার মেয়েকে দলগতভাবে ধর্ষনের ঘটনায় এক আসামি দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের নিকট স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়ে ভিকটিম জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতার কৃত আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের মুনসীর ৪ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছেন আদালত।
নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের আদালত সূএ জানান, বুধবার চরজব্বার থানা পুলিশ সুবর্নচরের চার ওয়াপদা ইউনিয়নের চার কাজী মোখলেসে মা ও মেয়ে ধর্ষনের ঘটনার প্রধান আসামি আবুল খায়ের মুন্সীকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরীর বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের নিকট আবুল খায়েরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই উপজেলার চর ক্লার্ক থেকে অপর আসামি মেহেরাজকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার বিকেলের দিকে তাদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল হাকিমের আদালতে চালান করেন।
চালানের পর আসামী মেহেরাজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র হাকিম তানিয়া আক্তারের খাস কামরায় মা মেয়ের বাড়ির ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে ধর্ষনের স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মুনসী স্বিকোরক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শোনানির পর ৪ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। মেহেরাজকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন।
বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম তানিয়া আক্তার ভিকটিম মেয়ের(১৪) ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাকে তার পিতার জিম্মায় দেন।
আদালতে স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দিতে আসামী মেহেরাজ জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম তানিয়া আক্তারকে জানায়, হারুনের কথায় চুরির জন্য ভিকটিমদের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে হারুনর সাথে আবুল খায়ের মুন্সীকে দেখে সে অবাক হয়। এর পর আবুল খায়ের ও হারুন ঘরে ঢুকে মাটিতে কাঁথা বিছিয়ে জোর পূর্বক প্রথমে আবুল খায়ের ও পরে হারুন মাকে উপযুপরি ধর্ষন করে। সে ( মেহেরাজ) অন্য কক্ষে গিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। চলে যাওয়ার সময় নগদ টাকা, কানের দুল নিয়ে যায়।
এ খবর নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গত সোমবার ২০১৮ সালের ভোটের রাতে দলগতভাবে ধর্ষন মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায়ের ঘটনার দিন রাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের মুনসীর নেতৃত্বে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেসে মা মেয়ে ধর্ষনের ঘটনা সত্যিই দুঃখ জনক। আমি খবর পাওয়ার পর পরই নোয়াখালী পুলিশ ২ আসামীকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় । রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসা বাদ করা হবে।
দোষ স্বীকার করলো এক আসামি
বৃহস্পতিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
নোয়াখালীর সুবর্নচরের চার ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেস এর গৃহবধূ ও তার মেয়েকে দলগতভাবে ধর্ষনের ঘটনায় এক আসামি দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের নিকট স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মেয়ে ভিকটিম জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের নিকট ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেফতার কৃত আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের মুনসীর ৪ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেছেন আদালত।
নোয়াখালীর চীফ জুডিশিয়াল আদালতের হাকিমের আদালত সূএ জানান, বুধবার চরজব্বার থানা পুলিশ সুবর্নচরের চার ওয়াপদা ইউনিয়নের চার কাজী মোখলেসে মা ও মেয়ে ধর্ষনের ঘটনার প্রধান আসামি আবুল খায়ের মুন্সীকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরীর বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের নিকট আবুল খায়েরের স্বীকারোক্তি মোতাবেক একই উপজেলার চর ক্লার্ক থেকে অপর আসামি মেহেরাজকে গ্রেপ্তারের পর তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের পর বুধবার বিকেলের দিকে তাদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল হাকিমের আদালতে চালান করেন।
চালানের পর আসামী মেহেরাজ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র হাকিম তানিয়া আক্তারের খাস কামরায় মা মেয়ের বাড়ির ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে ধর্ষনের স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দি দিয়েছে। মামলার প্রধান আসামি ওয়াপদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল খায়ের মুনসী স্বিকোরক্তিমুলক জবানবন্দি দিতে রাজী না হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাঁর ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন করে। আদালত বৃহস্পতিবার রিমান্ড আবেদনের শোনানির পর ৪ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন। মেহেরাজকে আদালত কারাগারে প্রেরণ করেন।
বুধবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম তানিয়া আক্তার ভিকটিম মেয়ের(১৪) ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন এবং তাকে তার পিতার জিম্মায় দেন।
আদালতে স্বিকোরক্তি মুলক জবানবন্দিতে আসামী মেহেরাজ জুডিশিয়াল আদালতের হাকিম তানিয়া আক্তারকে জানায়, হারুনের কথায় চুরির জন্য ভিকটিমদের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে দরজা খুলে দেয়। দরজা খুলে হারুনর সাথে আবুল খায়ের মুন্সীকে দেখে সে অবাক হয়। এর পর আবুল খায়ের ও হারুন ঘরে ঢুকে মাটিতে কাঁথা বিছিয়ে জোর পূর্বক প্রথমে আবুল খায়ের ও পরে হারুন মাকে উপযুপরি ধর্ষন করে। সে ( মেহেরাজ) অন্য কক্ষে গিয়ে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। চলে যাওয়ার সময় নগদ টাকা, কানের দুল নিয়ে যায়।
এ খবর নিশ্চিত করে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, গত সোমবার ২০১৮ সালের ভোটের রাতে দলগতভাবে ধর্ষন মামলায় ১০ জনের ফাঁসি ও ও ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড রায়ের ঘটনার দিন রাতেই আওয়ামী লীগ সভাপতি আবুল খায়ের মুনসীর নেতৃত্বে চর ওয়াপদা ইউনিয়নের চর কাজী মোখলেসে মা মেয়ে ধর্ষনের ঘটনা সত্যিই দুঃখ জনক। আমি খবর পাওয়ার পর পরই নোয়াখালী পুলিশ ২ আসামীকে সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় । রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসা বাদ করা হবে।