# পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪ ছিনতাইকারী
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করা যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করতো চক্রটি। গ্রেপ্তারকৃর্তরা হলো মো. বাপ্পারাজ বাপ্পী (২২), মো. পারভেজ (২৮), রাশেদ আহাম্মদ (২২), আবু সাদ লিখন (২২), মো. হৃদয় (২৫), মো. কাউসার (২৩), মো. রাব্বি (২৬), মো. নাঈম (২৫), মো. সাগর (২২), মো. আসিফ আলী উজ্জ্বল (২৬) ও মো. সানজু মিয়া, সুমন মিয়া(২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল, দুটি চাকু, একটি বেøড, মলম ও ৫০ গ্রাম মরিচের গুড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়ারীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)’র ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। ডিসি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী দিয়ে দেশের ৪০টি জেলায় যাতায়াত করা হয়। ফলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এই এলাকায় গাড়ি চলাচল করে। দিন-রাত ব্যস্ত এই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ডেমরা থেকে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে তিনজন ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ারী গেন্ডারিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরও ১১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫/৬টি বা তারও বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যিনি তিনদিন আগে জেল থেকে জামিন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২০-এর মধ্যে। তারা রাতের বেলা মহাসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে ওঁৎ পেতে থাকে। রাতের বেলা যখন বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় এসে নামে অথবা ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় তখন তারা এই সকল যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। তিনি বলেন, আমরা বাপ্পা নামে একটি ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বাড়ি কক্সবাজারে। তার বিরুদ্ধে ৬টি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অপরাধীদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখি। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এছাড়া তারা জামিন পেয়ে এলাকা পরিবর্তন করে ফেলে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপরাধ করে গ্রেপ্তার হলে জেল থেকে বের হয়ে মিরপুর এলাকায় চলে যায়। তখন তাকে নজরদারিতে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। তবে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করার জন্য টিম রয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই প্রতিরোধে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সটির তদারকি ডিএমপি কমিশনার নিজেই করেন। ফলে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে।
বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইকবাল হোসাইন বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা টিম ও ডিএমপির ডিসিপ্লিন শাখা থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কোনও পুলিশ সদস্যকে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হয় না। এমন কী পুলিশের প্রধান আইজিপি বারবার বলেছেন, কোনও পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে দ্বিতীয়বার কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনও অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তাই এমন কোনও তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ওয়ারী বিভাগ থেকে তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে ছাড় নেই।
# পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৪ ছিনতাইকারী
বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী,ডেমরা ও আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৪ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের বিভিন্ন থানা পুলিশ। পুলিশ বলছে, অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করা যাত্রীদের টার্গেট করে ছিনতাই করতো চক্রটি। গ্রেপ্তারকৃর্তরা হলো মো. বাপ্পারাজ বাপ্পী (২২), মো. পারভেজ (২৮), রাশেদ আহাম্মদ (২২), আবু সাদ লিখন (২২), মো. হৃদয় (২৫), মো. কাউসার (২৩), মো. রাব্বি (২৬), মো. নাঈম (২৫), মো. সাগর (২২), মো. আসিফ আলী উজ্জ্বল (২৬) ও মো. সানজু মিয়া, সুমন মিয়া(২৪)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল, দুটি চাকু, একটি বেøড, মলম ও ৫০ গ্রাম মরিচের গুড়া উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওয়ারীতে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)’র ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন। ডিসি মোহাম্মদ ইকবাল বলেন, ঢাকার যাত্রাবাড়ী দিয়ে দেশের ৪০টি জেলায় যাতায়াত করা হয়। ফলে দিনরাত ২৪ ঘণ্টাই এই এলাকায় গাড়ি চলাচল করে। দিন-রাত ব্যস্ত এই এলাকায় প্রায়ই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ডেমরা থেকে ছিনতাইয়ের সময় হাতেনাতে তিনজন ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া ওয়ারী গেন্ডারিয়া এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে আরও ১১ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ৫/৬টি বা তারও বেশি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে সুমন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যিনি তিনদিন আগে জেল থেকে জামিন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারদের সবার বয়স ১৫ থেকে ২০-এর মধ্যে। তারা রাতের বেলা মহাসড়কসহ বিভিন্ন অলিগলিতে ওঁৎ পেতে থাকে। রাতের বেলা যখন বিভিন্ন জেলা থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় এসে নামে অথবা ঢাকা থেকে যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হয় তখন তারা এই সকল যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে ছিনতাই করে। তিনি বলেন, আমরা বাপ্পা নামে একটি ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছি। তার বাড়ি কক্সবাজারে। তার বিরুদ্ধে ৬টি ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। তার কাছ থেকে ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা অপরাধীদের নিয়মিত নজরদারিতে রাখি। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা অনেক বেশি। এছাড়া তারা জামিন পেয়ে এলাকা পরিবর্তন করে ফেলে। যাত্রাবাড়ী এলাকায় অপরাধ করে গ্রেপ্তার হলে জেল থেকে বের হয়ে মিরপুর এলাকায় চলে যায়। তখন তাকে নজরদারিতে রাখা কষ্ট হয়ে যায়। তবে ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের পক্ষ থেকে নজরদারি করার জন্য টিম রয়েছে। পাশাপাশি ছিনতাই প্রতিরোধে একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। এই টাস্ক ফোর্সটির তদারকি ডিএমপি কমিশনার নিজেই করেন। ফলে ঢাকায় প্রতিনিয়ত অভিযান চলছে।
বিভিন্ন অপরাধী চক্রের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে ইকবাল হোসাইন বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা টিম ও ডিএমপির ডিসিপ্লিন শাখা থেকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে। কোনও পুলিশ সদস্যকে চুল পরিমাণ ছাড় দেওয়া হয় না। এমন কী পুলিশের প্রধান আইজিপি বারবার বলেছেন, কোনও পুলিশ সদস্য অপরাধ করলে দ্বিতীয়বার কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনও অপরাধ করলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তাই এমন কোনও তথ্য থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে ওয়ারী বিভাগ থেকে তিনজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কোনও অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকলে ছাড় নেই।