জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ীকে মারধর ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন নামের ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ী সূত্রাপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ।
ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন জবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়। গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফল ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শুক্রবার রাতে আমি টাকা কালেকশন করে কথা বলতে বলতে জুবিলী স্কুলের সামনে যাই। সেসময় মহিউদ্দিন অনি আমাকে দেখে হাসিবুল হাসান হৃদয়কে বলে আমার পকেটে কত টাকা আছে সেটি দেখতে। তখন আমার কাছে দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকা ছিল। আমি বুঝতে পারি তারা সেই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে। তাই আমি দৌঁড়ে গিয়ে একটি হোটেলের ভেতরে অবস্থান নেই। সেখান থেকে অনি আমাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে এবং কয়েক দফা চড়-থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মারে। হোটেলের ভেতরে থাকা লোকজন এক পর্যায়ে আমাকে রক্ষা করে।’
ব্যবসায়ী হেলালের অভিযোগ তার সাথে থাকা ‘দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকার মধ্যে তারা দুই লাখ ১৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়’। বাকি টাকা তার মানিব্যাগে থাকায় নেওয়ার সুযোগ পায়নি বলে জানান তিনি। তার সাথে থাকা মোবাইল ‘নেওয়ার চেষ্টাও’ তারা করেছিলে বলে অভিযোগ হেলালের।
হেলালের অভিযোগ, ‘পুরো ঘটনার সময় অনি ও হৃদয়ের সাথে সৌরভ, রিপনসহ আরও কয়েকজন ছিলো। ঘটনাটি আমি কাউকে বললে তারা আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।’
ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে মহিউদ্দিন অনি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে দরজার সামনে কয়েকদফা চড়-থাপ্পড় মারছেন। পরবর্তীতে হোটেলের প্লেট নিয়েও হেলালের দিকে ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন অনি। সেসময় হাসিবুল হাসান হৃদয়সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ সাল থেকেই হেলাল উদ্দিন আমার পূর্বপরিচিত। সে নাকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ভাইকে টাকা দেয়। তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখন সে আমার বাবা-মার নাম ধরে গালি দেয়। তাই আমি দুইটা থাপ্পড় দিয়েছি। যেহেতু সে আমার পূর্ব পরিচিত তাই আমি তাকে ও সে আমাকে সরি বলেছিল। বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছিল।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘অনেকেই আমার নাম বলে পার পেয়ে যেতে চায়। আমি কাউকে কখনো বলিনি আমার জন্য কাউকে মারতে। আমার সাথে ওই ব্যবসায়ীর ৬-৭ বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। টোকাই-ছিনতাইকারী কখনো ছাত্রলীগের কেউ হতে পারেনা।’
ভুক্তভোগী হেলালের আরও অভিযোগ, ‘ঘটনার পর আমি মামলা করতে সূত্রাপুর থানায় যাই। পুলিশ মামলা না নিয়ে আমাকে টাকা নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করতে বলেন।’
তবে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা এ বিষয়ে অবগত নই।’
ব্যবসায়ী হেলাল বলেন, ‘সোমবার রাতে আমাকে ৩জন ফলো করতে করতে ওয়ারী পর্যন্ত যায়। তাদেরকে দেখে আমি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আবার মারার ভয়ভীতি দেখায়।’
জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়ের মুঠোফোনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাধিক ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে পুরান ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ীকে মারধর ও টাকা ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় হেলাল উদ্দিন নামের ভুক্তভোগী ফল ব্যবসায়ী সূত্রাপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি বলেও অভিযোগ।
ছাত্রলীগের অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন জবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়। গত ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) রাত ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফল ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সাপ্তাহিক বন্ধ থাকায় শুক্রবার রাতে আমি টাকা কালেকশন করে কথা বলতে বলতে জুবিলী স্কুলের সামনে যাই। সেসময় মহিউদ্দিন অনি আমাকে দেখে হাসিবুল হাসান হৃদয়কে বলে আমার পকেটে কত টাকা আছে সেটি দেখতে। তখন আমার কাছে দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকা ছিল। আমি বুঝতে পারি তারা সেই টাকা আমার কাছ থেকে নিয়ে যাবে। তাই আমি দৌঁড়ে গিয়ে একটি হোটেলের ভেতরে অবস্থান নেই। সেখান থেকে অনি আমাকে টেনে হিঁচড়ে বাইরে বের করে এবং কয়েক দফা চড়-থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মারে। হোটেলের ভেতরে থাকা লোকজন এক পর্যায়ে আমাকে রক্ষা করে।’
ব্যবসায়ী হেলালের অভিযোগ তার সাথে থাকা ‘দুই লাখ ৩৬ হাজার টাকার মধ্যে তারা দুই লাখ ১৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়’। বাকি টাকা তার মানিব্যাগে থাকায় নেওয়ার সুযোগ পায়নি বলে জানান তিনি। তার সাথে থাকা মোবাইল ‘নেওয়ার চেষ্টাও’ তারা করেছিলে বলে অভিযোগ হেলালের।
হেলালের অভিযোগ, ‘পুরো ঘটনার সময় অনি ও হৃদয়ের সাথে সৌরভ, রিপনসহ আরও কয়েকজন ছিলো। ঘটনাটি আমি কাউকে বললে তারা আমাকে মেরে ফেলারও হুমকি দেয়।’
ওই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে মহিউদ্দিন অনি ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনকে দরজার সামনে কয়েকদফা চড়-থাপ্পড় মারছেন। পরবর্তীতে হোটেলের প্লেট নিয়েও হেলালের দিকে ছুড়ে মারার চেষ্টা করেন অনি। সেসময় হাসিবুল হাসান হৃদয়সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেন জবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনি। তিনি বলেন, ‘২০১৪-১৫ সাল থেকেই হেলাল উদ্দিন আমার পূর্বপরিচিত। সে নাকি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহীম ফরাজী ভাইকে টাকা দেয়। তার সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়েছিলাম। তখন সে আমার বাবা-মার নাম ধরে গালি দেয়। তাই আমি দুইটা থাপ্পড় দিয়েছি। যেহেতু সে আমার পূর্ব পরিচিত তাই আমি তাকে ও সে আমাকে সরি বলেছিল। বিষয়টি সমাধান হয়ে গিয়েছিল।’
এ বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী বলেন, ‘অনেকেই আমার নাম বলে পার পেয়ে যেতে চায়। আমি কাউকে কখনো বলিনি আমার জন্য কাউকে মারতে। আমার সাথে ওই ব্যবসায়ীর ৬-৭ বছর ধরে কোন যোগাযোগ নেই। টোকাই-ছিনতাইকারী কখনো ছাত্রলীগের কেউ হতে পারেনা।’
ভুক্তভোগী হেলালের আরও অভিযোগ, ‘ঘটনার পর আমি মামলা করতে সূত্রাপুর থানায় যাই। পুলিশ মামলা না নিয়ে আমাকে টাকা নিয়ে ঘটনাটি মীমাংসা করতে বলেন।’
তবে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘এ বিষয়ে কোন অভিযোগ আসেনি। আমরা এ বিষয়ে অবগত নই।’
ব্যবসায়ী হেলাল বলেন, ‘সোমবার রাতে আমাকে ৩জন ফলো করতে করতে ওয়ারী পর্যন্ত যায়। তাদেরকে দেখে আমি দ্রুত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তাদের ডাকে সাড়া না দেওয়ায় আবার মারার ভয়ভীতি দেখায়।’
জবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান হৃদয়ের মুঠোফোনে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় একাধিক ফোন দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।