ময়মনসিংহের ফুল বাড়িয়ায় শামসুল হক নামে এক দূর্বৃত্ত একজন কলেজ ছাত্রীর (শ্রদ্ধনাম টুনটুনি) গোসল দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারন করে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাক করে।
অভিযুক্ত শামসুল হক ওই ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতে থাকে। তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক না করলে গোপনে ধারন করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহ আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে দেখা করতে বলে। ওই ছাত্রী সরল বিশ্বাসে দেখা করতে গেলে তাকে সমিতি অফিসের পেছনে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। আবার ধর্ষণের সদৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে তাকে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। ব্ল্যাক মেইল করে একাধিক বার ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টি নিয়ে তার মাকে জানান।
শুধু তাই না ওই ছাত্রীকে হুমকি এবং তার বিয়ে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
ওই দূর্বৃত্ত এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুক ও ম্যাসেঞ্জারে ছেড়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রী বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে তাকে মুক্তাগাছা ২ এপিবিএন অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। সেখানে যোগাযোগ করলে লিখিত অভিযোগের পর ওই দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমেদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত শামসুল হক (৩৩),পিতা মোনায়েম হোসেন,সাং আকন্দপাড়া,ফুলবাড়িয়া। সে আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে চাকরি করে। ১৭ বছর বয়সের ওই ছাত্রী (টুনটুনি)র মা গ্রেফতারকৃত শামসুল হকের কাছ থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়েছে। ওই কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য সে ছাত্রীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত।
এই সুবাধে গোপনে ছাত্রীর গোসল দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করে। এরপর ছাত্রীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের (ধর্ষণ) জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। তা না হলে ছাত্রীর গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
এপর ওই ছাত্রীকে তার সমিতি অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলে। দেখা করলে সব ভিডিও ডিলেট করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রী সম্মান বাঁচাতে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট (২৪-৮-২৩) দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে দেখা করতে যায়।
অফিসে দেলে দূর্বৃত্ত শামসুল হক সমিতি অফিসের পেছনে গোপন রুমে নিয়ে জোর করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে। পূণরায় ধর্ষনের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারন করে। শুধু তাই না ভিকটিমকে হুমকি দিয়ে বলে,ধর্ষনের ঘটনা কাউকে বললে এবং তার কথামত না চললে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে।
এরপর ওই ছাত্রী লোক লজ্জার ভয়ে ওই দুর্বত্তের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করত। এই ভাবে সমিতি অফিসের পিছনে গোপন রুমে নিয়ে ধর্ষন করত। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষয়টি তার মাকে জানিয়েছে। মা প্রতিবাদ জানাতে গেলেও উল্টো মাকেও মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মা সমিতি অফিস থেকে বের হয়ে যায়।
ওই ছাত্রীকে অনত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ওই দূর্বৃত্ত সেই বিয়ে না করার জন্যসহ নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। ভিকটিম ছাত্রী তার কথায় রাজি ন্ াহলে দূর্বৃত্ত ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুক ও মেসেঞ্জারে দিয়ে দেয়।
ভিকটিম ছাত্রী তার সম্মান বাঁচাতে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে ২ এপিবিএন,মুক্তাগাছা অফিসে কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানায়। তারা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত শামসুল হকের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর ফুলবাড়িয়া থানাধীন ৭ নম্বর বাকতা ইউনিয়নের তালতলা বাজারের আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে গত রোববার অভিযান চালিয়ে শামসুল হক (৩৩) গ্রেফতার করেছে। তার হেফাজত হতে ২টি মোবাইল ফোন সেট,একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করছে। ওই সব মোবাইল থেকে একাধিক মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করছে।
সোমবার, ১০ জুন ২০২৪
ময়মনসিংহের ফুল বাড়িয়ায় শামসুল হক নামে এক দূর্বৃত্ত একজন কলেজ ছাত্রীর (শ্রদ্ধনাম টুনটুনি) গোসল দৃশ্য গোপনে ভিডিও ধারন করে ওই ছাত্রীকে ব্ল্যাক করে।
অভিযুক্ত শামসুল হক ওই ছাত্রীকে প্রতিনিয়ত বিরক্ত করতে থাকে। তার সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক না করলে গোপনে ধারন করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এক পর্যায়ে অভিযুক্ত ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহ আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে দেখা করতে বলে। ওই ছাত্রী সরল বিশ্বাসে দেখা করতে গেলে তাকে সমিতি অফিসের পেছনে নিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। আবার ধর্ষণের সদৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে তাকে ব্ল্যাক মেইল করতে থাকে। ব্ল্যাক মেইল করে একাধিক বার ধর্ষণের পর ওই ছাত্রী অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টি নিয়ে তার মাকে জানান।
শুধু তাই না ওই ছাত্রীকে হুমকি এবং তার বিয়ে বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেয়।
ওই দূর্বৃত্ত এক পর্যায়ে ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইস বুক ও ম্যাসেঞ্জারে ছেড়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রী বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানালে তাকে মুক্তাগাছা ২ এপিবিএন অফিসে যোগাযোগ করতে বলে। সেখানে যোগাযোগ করলে লিখিত অভিযোগের পর ওই দূর্বৃত্তকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছে মোবাইলে থাকা আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ফুলবাড়িয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২ এপিবিএনের অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আলী আহমেদ খান জানান, গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত শামসুল হক (৩৩),পিতা মোনায়েম হোসেন,সাং আকন্দপাড়া,ফুলবাড়িয়া। সে আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে চাকরি করে। ১৭ বছর বয়সের ওই ছাত্রী (টুনটুনি)র মা গ্রেফতারকৃত শামসুল হকের কাছ থেকে কিস্তিতে টাকা নিয়েছে। ওই কিস্তির টাকা আদায়ের জন্য সে ছাত্রীর বাড়িতে নিয়মিত যাতায়াত করত।
এই সুবাধে গোপনে ছাত্রীর গোসল দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে ব্ল্যাক মেইল করে। এরপর ছাত্রীর সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপনের (ধর্ষণ) জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে। তা না হলে ছাত্রীর গোসলের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে ভাইরাল করার হুমকি দেয়।
এপর ওই ছাত্রীকে তার সমিতি অফিসে গিয়ে দেখা করতে বলে। দেখা করলে সব ভিডিও ডিলেট করে দিবে বলে আশ্বাস দেয়। এক পর্যায়ে ছাত্রী সম্মান বাঁচাতে ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট (২৪-৮-২৩) দুপুর দেড়টার দিকে স্থানীয় আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে দেখা করতে যায়।
অফিসে দেলে দূর্বৃত্ত শামসুল হক সমিতি অফিসের পেছনে গোপন রুমে নিয়ে জোর করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে। পূণরায় ধর্ষনের ভিডিও তার মোবাইল ফোনে ধারন করে। শুধু তাই না ভিকটিমকে হুমকি দিয়ে বলে,ধর্ষনের ঘটনা কাউকে বললে এবং তার কথামত না চললে ওই ভিডিও ভাইরাল করে দেবে।
এরপর ওই ছাত্রী লোক লজ্জার ভয়ে ওই দুর্বত্তের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করত। এই ভাবে সমিতি অফিসের পিছনে গোপন রুমে নিয়ে ধর্ষন করত। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে বিষয়টি তার মাকে জানিয়েছে। মা প্রতিবাদ জানাতে গেলেও উল্টো মাকেও মেয়ের অশ্লীল ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে মা সমিতি অফিস থেকে বের হয়ে যায়।
ওই ছাত্রীকে অনত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে ওই দূর্বৃত্ত সেই বিয়ে না করার জন্যসহ নানা ভাবে চাপ দিতে থাকে। ভিকটিম ছাত্রী তার কথায় রাজি ন্ াহলে দূর্বৃত্ত ওই ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি ফেইসবুক ও মেসেঞ্জারে দিয়ে দেয়।
ভিকটিম ছাত্রী তার সম্মান বাঁচাতে মায়ের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি নিয়ে জাতীয় জরুরি সেবার মাধ্যমে ২ এপিবিএন,মুক্তাগাছা অফিসে কর্তৃপক্ষকে লিখিত জানায়। তারা আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অভিযুক্ত শামসুল হকের অবস্থান নিশ্চিত করে। এরপর ফুলবাড়িয়া থানাধীন ৭ নম্বর বাকতা ইউনিয়নের তালতলা বাজারের আকন্দ কৃষি সমবায় সমিতি অফিসে গত রোববার অভিযান চালিয়ে শামসুল হক (৩৩) গ্রেফতার করেছে। তার হেফাজত হতে ২টি মোবাইল ফোন সেট,একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করছে। ওই সব মোবাইল থেকে একাধিক মেয়ের আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও উদ্ধার করছে।