তিতাসে নতুন এমডি নিয়োগের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস কোম্পানি পেট্রোলবাংলা প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পেট্রোবাংলার চার কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাসের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে অবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত পাঁচজন হলেন- মো. তারিকুল ইসলাম, উপমহাব্যবস্থাপক (অনুসন্ধান ও সমীক্ষা প্রকল্প), মো. আব্দুল জলিল, উপমহাব্যবস্থাপক (সেবা), মো. ফজলুল হক, ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা কৌশল), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও মো. নজরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী, প্রশাসন বিভাগ, পেট্রোবাংলা।
তাদের মঙ্গলবার থেকেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
হামলার ঘটনার সঙ্গে তিতাসের সাবেক এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহর ইন্ধন রয়েছে বলে দুই কোম্পানির অনেকে আভাস দিচ্ছেন।
তিতাসের যে কর্মকর্তাকে পদাবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে, তিনি হলেন মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) মো. হেলালউদ্দিন তালুকদার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিতাসের আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহকে সরিয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে এমডির দায়িত্ব দেয় পেট্রোবাংলা।
রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন এমডি দায়িত্ব নিলে তিতাসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিজেদের অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন।
“মঙ্গলবার নতুন এমডি তার দপ্তরে দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে কিছু দুর্নীতিবাজ তাকে বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর তারা কয়েকশ লোক নিয়ে এসে পেট্রোবাংলায় হামলা চালায়। এটি কোম্পানির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।”
এক বিবৃতিতে পেট্রোবাংলা বলছে, “শাহনেওয়াজ পারভেজ তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে সেখানকার কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাকে যোগদানে বাধা দেয়। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে তিতাসের কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী লাঠিসোঁটা হাতে পেট্রোবাংলায় আক্রমণ করে। তারা পেট্রোবাংলার সামনের কাচের গেট এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাজিরার জন্য নির্মিত ই-গেইট ভাংচুর করে। তারা সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় ওঠার সময় বিভিন্ন ফ্লোরে রাখা ফুলের টব ভাংচুর করে এবং তা নীচে ফেলে দেয়।”
তারা চতুর্থ তলায় চেয়ারম্যানের দপ্তরে হামলার চেষ্টা করে এবং তাদের বাধা দিতে গেলে পেট্রোবাংলার কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আহত হন। তাদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে কিছু ‘বহিরাগত’ লোকও ছিল। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় হামলাকারীরা বিডি টাইমস নিউজের এডিটর নোমান রহমানের ওপর হামলা করে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তারা ভেঙে ফেলে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোনো কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদায়ন আইন অনুসারে পেট্রোবাংলার এখতিয়ার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে পেট্রোবাংলা তার আওতাধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ বা পদায়ন করে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং তিতাসের সকল শ্রেণির গ্রাহককে হয়রানি থেকে মুক্ত করার জন্য পেট্রোসেক্টরের একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।
“পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোম্পানিগুলোর সম্বলিত মেধা তালিকার ক্রমিক ৬৪ পর্যন্ত তিতাসের কোনো কর্মকর্তা না থাকায় ওই কোম্পানি থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়নি। তিতাসের দুর্নীতিবাজ একটি চক্র নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দাবি আদায়ের নামে পেট্রোবাংলায় ভাংচুর এবং পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাঞ্চিত করে উশৃঙ্খল আচরণের আশ্রয় নিয়েছে। তারা বর্তমান জ্বালানি খাতে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ মনে করে।”
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় পেট্রোবাংলার কিছু লোকও জড়িত ছিল। তাই পেট্রোবাংলা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তিতাসের নতুন এমডি বুধবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর শুরুতেই সেখানকার জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।”
বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তিতাসে নতুন এমডি নিয়োগের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রীয় তেল গ্যাস কোম্পানি পেট্রোলবাংলা প্রধান কার্যালয় পেট্রো সেন্টারে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় পেট্রোবাংলার চার কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাশাপাশি গ্যাস বিতরণ সংস্থা তিতাসের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের এক কর্মকর্তাকে অবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে।
পেট্রোবাংলা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার ভিডিও দেখে ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত পাঁচজন হলেন- মো. তারিকুল ইসলাম, উপমহাব্যবস্থাপক (অনুসন্ধান ও সমীক্ষা প্রকল্প), মো. আব্দুল জলিল, উপমহাব্যবস্থাপক (সেবা), মো. ফজলুল হক, ব্যবস্থাপক (পরিকল্পনা কৌশল), মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, ব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং) ও মো. নজরুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী, প্রশাসন বিভাগ, পেট্রোবাংলা।
তাদের মঙ্গলবার থেকেই বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
হামলার ঘটনার সঙ্গে তিতাসের সাবেক এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহর ইন্ধন রয়েছে বলে দুই কোম্পানির অনেকে আভাস দিচ্ছেন।
তিতাসের যে কর্মকর্তাকে পদাবনতি দিয়ে উপমহাব্যবস্থাপক করা হয়েছে, তিনি হলেন মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি ক্যাডার) মো. হেলালউদ্দিন তালুকদার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিতাসের আগের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুনুর রশীদ মোল্লাহকে সরিয়ে গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজকে এমডির দায়িত্ব দেয় পেট্রোবাংলা।
রাষ্ট্রায়ত্ত এ প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, নতুন এমডি দায়িত্ব নিলে তিতাসের কিছু দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা নিজেদের অপকর্ম ফাঁস হওয়ার ভয়ে ভীত হয়ে পড়েন।
“মঙ্গলবার নতুন এমডি তার দপ্তরে দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে কিছু দুর্নীতিবাজ তাকে বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর তারা কয়েকশ লোক নিয়ে এসে পেট্রোবাংলায় হামলা চালায়। এটি কোম্পানির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।”
এক বিবৃতিতে পেট্রোবাংলা বলছে, “শাহনেওয়াজ পারভেজ তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে দায়িত্ব গ্রহণ করতে গেলে সেখানকার কিছু কর্মকর্তা ও কর্মচারী তাকে যোগদানে বাধা দেয়। সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে তিতাসের কিছু উশৃঙ্খল কর্মকর্তা ও কর্মচারী লাঠিসোঁটা হাতে পেট্রোবাংলায় আক্রমণ করে। তারা পেট্রোবাংলার সামনের কাচের গেট এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের হাজিরার জন্য নির্মিত ই-গেইট ভাংচুর করে। তারা সিঁড়ি বেয়ে চতুর্থ তলায় ওঠার সময় বিভিন্ন ফ্লোরে রাখা ফুলের টব ভাংচুর করে এবং তা নীচে ফেলে দেয়।”
তারা চতুর্থ তলায় চেয়ারম্যানের দপ্তরে হামলার চেষ্টা করে এবং তাদের বাধা দিতে গেলে পেট্রোবাংলার কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী আহত হন। তাদের মধ্যে চারজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন এবং একজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রতিরোধের মুখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের সঙ্গে কিছু ‘বহিরাগত’ লোকও ছিল। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করার সময় হামলাকারীরা বিডি টাইমস নিউজের এডিটর নোমান রহমানের ওপর হামলা করে। সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে ব্যাপক মারধর করা হয়। তিনি মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন এবং তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তারা ভেঙে ফেলে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোনো কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদায়ন আইন অনুসারে পেট্রোবাংলার এখতিয়ার। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে পেট্রোবাংলা তার আওতাধীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ বা পদায়ন করে। বর্তমান সরকারের দুর্নীতিমুক্ত ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এবং তিতাসের সকল শ্রেণির গ্রাহককে হয়রানি থেকে মুক্ত করার জন্য পেট্রোসেক্টরের একজন সৎ ও দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত শাহনেওয়াজ পারভেজকে তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদায়ন করা হয়।
“পেট্রোবাংলার আওতাধীন কোম্পানিগুলোর সম্বলিত মেধা তালিকার ক্রমিক ৬৪ পর্যন্ত তিতাসের কোনো কর্মকর্তা না থাকায় ওই কোম্পানি থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিয়োগ দেওয়া যায়নি। তিতাসের দুর্নীতিবাজ একটি চক্র নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে দাবি আদায়ের নামে পেট্রোবাংলায় ভাংচুর এবং পেট্রোবাংলার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের লাঞ্চিত করে উশৃঙ্খল আচরণের আশ্রয় নিয়েছে। তারা বর্তমান জ্বালানি খাতে অস্থিতিশীলতা তৈরি এবং নিজেদের দুর্নীতি আড়াল করার জন্য এ ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ মনে করে।”
পেট্রোবাংলার একজন কর্মকর্তা বলেন, “এই ধরনের ঘটনায় পেট্রোবাংলার কিছু লোকও জড়িত ছিল। তাই পেট্রোবাংলা তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে। তিতাসের নতুন এমডি বুধবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার পর শুরুতেই সেখানকার জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।”