মাদারীপুরে দুইবোনকে প্রকাশ্যে জমিতে ফেলে লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের একজন আইনজীবী। এদিকে, ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত দুইদিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নথিভুক্ত করতে পারেননি তারা। পরে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তারা।
এর পরে দুপুরে মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার সঙ্গে প্রতিবেশী ফরহাদ মোল্লার (৪৫) জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল কাশেম চাষাবাদের জন্য গেলে তার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ আইনজীবী ফরহাদ মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা কাশেমের কাজে বাধা দেয়। জমিতে কাশেম একা থাকায় সে বাড়িতে গিয়ে তার দুই মেয়ে আসমা আক্তারকে (৩৫) ও রেশমা আক্তার (২৮)কে বিষযটি জানায়। পরে দুই বোন বিষয়টি জানতে ওই জমিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় আইনজীবী ফরহাদ ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা (২৫)। একপর্যায়ে দুইবোনকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তারা। পরে আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রকাশ্যে জমিতে মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত দুইদিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নথিভুক্ত করতে পারেননি তারা। পরে রোববার সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক সাজিদুল হাসান চৌধুরী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেশমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ ফরহাদ মোল্লা উকিল হওয়ায় আদালতে কোনো উকিল আমাদের পক্ষে মামলা নিতে চাচ্ছে না। আমরা এই নিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছি। এই দেশে উকিলরা কোনো অন্যায় করলে কি তাদের কোনো সাজা হবে না? আমরা এখন সরকারের সাহায্য চাই।’
এদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে দুই ভাই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, হাতাহাতি হলেও কোনো মারপিট করা হয়নি কাউকেই।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪
মাদারীপুরে দুইবোনকে প্রকাশ্যে জমিতে ফেলে লাঠিপেটার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মারধরের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের একজন আইনজীবী। এদিকে, ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত দুইদিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নথিভুক্ত করতে পারেননি তারা। পরে রোববার (১৭ নভেম্বর) সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন তারা।
এর পরে দুপুরে মাদারীপুর জেলা সাংবাদিক কল্যাণ সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর গ্রামের আবুল কাশেম মোল্লার সঙ্গে প্রতিবেশী ফরহাদ মোল্লার (৪৫) জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত শুক্রবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল কাশেম চাষাবাদের জন্য গেলে তার সঙ্গে তর্কাতর্কি হয় ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। প্রতিপক্ষ আইনজীবী ফরহাদ মোল্লা ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা কাশেমের কাজে বাধা দেয়। জমিতে কাশেম একা থাকায় সে বাড়িতে গিয়ে তার দুই মেয়ে আসমা আক্তারকে (৩৫) ও রেশমা আক্তার (২৮)কে বিষযটি জানায়। পরে দুই বোন বিষয়টি জানতে ওই জমিতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয় আইনজীবী ফরহাদ ও তার ভাই হুমায়ুন মোল্লা (২৫)। একপর্যায়ে দুইবোনকে লাঠি দিয়ে বেদম মারধর করে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন তারা। পরে আহতদের জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরই মধ্যে প্রকাশ্যে জমিতে মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত দুইদিন চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা নথিভুক্ত করতে পারেননি তারা। পরে রোববার সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করলে বিচারক সাজিদুল হাসান চৌধুরী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে তদন্তপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন।
সংবাদ সম্মেলনে রেশমা আক্তার বলেন, ‘আমাদের প্রতিপক্ষ ফরহাদ মোল্লা উকিল হওয়ায় আদালতে কোনো উকিল আমাদের পক্ষে মামলা নিতে চাচ্ছে না। আমরা এই নিয়ে অনেক হয়রানির শিকার হচ্ছি। এই দেশে উকিলরা কোনো অন্যায় করলে কি তাদের কোনো সাজা হবে না? আমরা এখন সরকারের সাহায্য চাই।’
এদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে দুই ভাই তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, হাতাহাতি হলেও কোনো মারপিট করা হয়নি কাউকেই।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. আল মামুন জানান, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।