দেশে সাম্প্রতিক সময়ে খুন, অপহরণের মতো অপরাধের ঘটনা ‘অনেক’ ঘটলেও পরিস্থিতি পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা থাকলেও সব অপরাধের ঘটনা সেনাবাহিনীর নজরে রয়েছে। অপরাধ সম্পূর্ণ নির্মূল করা না গেলেও এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
অপরাধ দমনে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অপরাধ চক্র নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্নেল ইন্তেখাব আরও বলেন, “সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও অপরাধের মাত্রা যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে কাজ চলছে।”
মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “সীমান্ত পরিস্থিতি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবি এবং কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোই সরাসরি কাজ করছে। কোনো ঝুঁকি দেখা দিলে তা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”
কর্নেল ইন্তেখাব জানান, মাঠপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। চলমান দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষিত এবং চাপ সামলাতে সক্ষম।
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা, তদন্তের পর বলা যাবে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় সজাগ রয়েছি।”
গত এক মাসে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২৮টি অবৈধ অস্ত্র, ৪২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং মাদক সংশ্লিষ্ট ২০০ জনসহ মোট ১,৪০৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের শিল্পাঞ্চলে ৬৭টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। ফলে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করতেও সেনাবাহিনী কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ পর্যন্ত ৩,৫৮৯ জনকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
দেশে সাম্প্রতিক সময়ে খুন, অপহরণের মতো অপরাধের ঘটনা ‘অনেক’ ঘটলেও পরিস্থিতি পরিসংখ্যানগতভাবে অবনতি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান।
তিনি বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এক ধরনের অনিশ্চয়তা থাকলেও সব অপরাধের ঘটনা সেনাবাহিনীর নজরে রয়েছে। অপরাধ সম্পূর্ণ নির্মূল করা না গেলেও এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
অপরাধ দমনে পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে নিয়মিত সমন্বয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অপরাধ চক্র নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কর্নেল ইন্তেখাব আরও বলেন, “সম্প্রতি ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ নির্মূল করা সম্ভব না হলেও অপরাধের মাত্রা যাতে না বাড়ে, সে বিষয়ে কাজ চলছে।”
মায়ানমারের সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, “সীমান্ত পরিস্থিতি আমাদের নজরদারিতে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিজিবি এবং কোস্টগার্ডসহ অন্যান্য সংস্থাগুলোই সরাসরি কাজ করছে। কোনো ঝুঁকি দেখা দিলে তা মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।”
কর্নেল ইন্তেখাব জানান, মাঠপর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের কার্যক্রম সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল। চলমান দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষিত এবং চাপ সামলাতে সক্ষম।
সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা, তদন্তের পর বলা যাবে। ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনী ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা করেছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সবসময় সজাগ রয়েছি।”
গত এক মাসে সেনাবাহিনীর অভিযানে ২৮টি অবৈধ অস্ত্র, ৪২৪ রাউন্ড গুলি উদ্ধার এবং মাদক সংশ্লিষ্ট ২০০ জনসহ মোট ১,৪০৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দেশের শিল্পাঞ্চলে ৬৭টি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা রেখেছে সেনাবাহিনী। ফলে অধিকাংশ কারখানা সচল রয়েছে। শ্রমিক ও মালিকপক্ষের মধ্যে সমন্বয় করতেও সেনাবাহিনী কার্যকর উদ্যোগ নিয়েছে।
বিভিন্ন সময়ে আহতদের চিকিৎসায় সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ পর্যন্ত ৩,৫৮৯ জনকে সিএমএইচে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনী অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় অন্যান্য বাহিনীর সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করে যাচ্ছে।