রাজধানীর সবুজবাগের ভাইকদিয়ায় ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেনকে হত্যার পর লাশ টুকরো করে বালু চাপা দেওয়ার মামলায় আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি।
আর গ্রেপ্তার আরও তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি মহানগর হাকিম আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে হাজির করার পর গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আজহার আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
বাকি তিন আসামি শুকুর আলী, মো. রাজিব ও স্বপনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
সবুজবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোকছেদুল ইসলাম স্বীকারোক্তি ও রিমান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার এসআই মো. সামছুল আমিন এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ সবুজবাগের বাইগদিয়া এলাকার ঝোপের ভেতর থেকে বালু খুঁড়ে আট দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের (৫৫) লাশ উদ্ধার করে। পরে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত জাকির ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আজহার নামে জাকিরের পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজহারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জংলা খালি জায়গায় বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় জাকিরের লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর এসআই শামসুল আমিন বলেন, গত ৪ জুন থেকে ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়।
তদন্তে দেখা যায়, তার পরিচিত আজহার তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
“আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মহানগর এলাকা থেকে প্রথমে আজহারকে আটক করি, পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাকিরকে হত্যার কথা সে স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে জাকিরের বাড়ির পাশে বাইকদিয়া এলাকার একটি জঙ্গলে বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।”
আজহারের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসআই শামসুল বলেন, “জাকিরকে প্রথমে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সে নিচে পড়ে গেলে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে শরীর থেকে বিভিন্ন অংশ আলাদা করা হয়।”
তবে কী কারণে তাদের বিরোধ হয়েছিল, কেন তাকে হত্যা করা হল, তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত জাকিরের সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ লিখেছে, জাকিরের মাথা, দুই হাত ও হাঁটু থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। বালুচাপা অবস্থায় তার শরীরের পাঁচ টুকরো পাওয়া গেলেও ডান হাতটি পাওয়া যায়নি।
নিহতের ছোট ভাই মাসুদ হোসেন বলেন, বহুবছর ধরে বাকইদিয়া এলাকায় তাদের জমিজমা নিয়ে মামলাও চলছে। জাকির সেসব মামলা পরিচালনা করতেন।
যাদের সঙ্গে মামলা, তারাই ‘ভাড়াটে লোক দিয়ে’ জাকিরকে হত্যা করেছে বলে তার ভাইয়ের সন্দেহ।
শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫
রাজধানীর সবুজবাগের ভাইকদিয়ায় ব্যবসায়ী মো. জাকির হোসেনকে হত্যার পর লাশ টুকরো করে বালু চাপা দেওয়ার মামলায় আদালতে ‘স্বীকারোক্তিমূলক’ জবানবন্দি দিয়েছেন এক আসামি।
আর গ্রেপ্তার আরও তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে ঢাকার একটি মহানগর হাকিম আদালত।
শুক্রবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. সেফাতুল্লাহর আদালতে হাজির করার পর গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে আজহার আলী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হন।
বাকি তিন আসামি শুকুর আলী, মো. রাজিব ও স্বপনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।
সবুজবাগ থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোকছেদুল ইসলাম স্বীকারোক্তি ও রিমান্ডের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
এ হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সবুজবাগ থানার এসআই মো. সামছুল আমিন এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশ সবুজবাগের বাইগদিয়া এলাকার ঝোপের ভেতর থেকে বালু খুঁড়ে আট দিন ধরে নিখোঁজ ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের (৫৫) লাশ উদ্ধার করে। পরে কয়েকজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত জাকির ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী ছিলেন। এ ঘটনায় মোহাম্মদ আজহার নামে জাকিরের পূর্ব পরিচিত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আজহারের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জংলা খালি জায়গায় বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় জাকিরের লাশের টুকরোগুলো উদ্ধার করা হয়।
লাশ উদ্ধারের পর এসআই শামসুল আমিন বলেন, গত ৪ জুন থেকে ওই ব্যবসায়ী নিখোঁজ ছিলেন। তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপহরণ মামলা করা হয়।
তদন্তে দেখা যায়, তার পরিচিত আজহার তাকে ফোনে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এরপর থেকেই তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না।
“আমরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাজধানীর মহানগর এলাকা থেকে প্রথমে আজহারকে আটক করি, পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে জাকিরকে হত্যার কথা সে স্বীকার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যে জাকিরের বাড়ির পাশে বাইকদিয়া এলাকার একটি জঙ্গলে বালু চাপা দেওয়া অবস্থায় টুকরো লাশ উদ্ধার করা হয়।”
আজহারের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে এসআই শামসুল বলেন, “জাকিরকে প্রথমে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করা হয়। সে নিচে পড়ে গেলে, তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কেটে শরীর থেকে বিভিন্ন অংশ আলাদা করা হয়।”
তবে কী কারণে তাদের বিরোধ হয়েছিল, কেন তাকে হত্যা করা হল, তা এখনো জানাতে পারেনি পুলিশ।
নিহত জাকিরের সুরতহাল প্রতিবেদনে পুলিশ লিখেছে, জাকিরের মাথা, দুই হাত ও হাঁটু থেকে দুই পা বিচ্ছিন্ন করা হয়। বালুচাপা অবস্থায় তার শরীরের পাঁচ টুকরো পাওয়া গেলেও ডান হাতটি পাওয়া যায়নি।
নিহতের ছোট ভাই মাসুদ হোসেন বলেন, বহুবছর ধরে বাকইদিয়া এলাকায় তাদের জমিজমা নিয়ে মামলাও চলছে। জাকির সেসব মামলা পরিচালনা করতেন।
যাদের সঙ্গে মামলা, তারাই ‘ভাড়াটে লোক দিয়ে’ জাকিরকে হত্যা করেছে বলে তার ভাইয়ের সন্দেহ।