ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন মেলেনি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার। এর আগে মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতেও তার জামিন আবেদন নাকচ হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নূরুল হুদার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের দ্বাদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নেন নূরুল হুদা। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলাটি করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। পরদিন আদালত প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, পরে ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। গত ১ জুলাই আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি এবং এরপর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ২ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতেও তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
একই মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাবিবুল আউয়ালকেও পরে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এছাড়া সংবিধান লঙ্ঘন, আচরণবিধি অমান্য, সরকারি কর্মচারী হয়েও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং জনগণের ভোট ছাড়াই সংসদ সদস্য ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনার সাক্ষী হতে পারেন নির্বাচনের সময় ভোট দিতে না পারা সাধারণ ভোটার, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সৎ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তদন্তে ব্যালট পেপারে থাকা সিল ও স্বাক্ষর যাচাইয়ের মাধ্যমে ভোটারদের বক্তব্য মিলিয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে।
---
বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতেও জামিন মেলেনি সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার। এর আগে মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতেও তার জামিন আবেদন নাকচ হয়।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) ঢাকার ১২তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন তার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নূরুল হুদার আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম সজীব।
২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি দেশের দ্বাদশ প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নেন নূরুল হুদা। তার নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন নির্বাচন। ২০২২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি মেয়াদ শেষে দায়িত্ব ছাড়েন তিনি।
গত ২২ জুন রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহ এবং ভোটারবিহীন নির্বাচন আয়োজনের অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলাটি করেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন খান। পরদিন আদালত প্রথম দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন, পরে ২৭ জুন দ্বিতীয় দফায় আরও চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় তাকে। গত ১ জুলাই আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি এবং এরপর কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে ২ জুলাই ঢাকা সিএমএম আদালতেও তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
একই মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ এবং ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকেও আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে হাবিবুল আউয়ালকেও পরে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এছাড়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজীর আহমেদ এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনসহ আরও কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম রয়েছে আসামির তালিকায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে ‘গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম, খুন ও নির্যাতনের’ ভয় দেখিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। এছাড়া সংবিধান লঙ্ঘন, আচরণবিধি অমান্য, সরকারি কর্মচারী হয়েও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং জনগণের ভোট ছাড়াই সংসদ সদস্য ঘোষণা দেওয়ার অভিযোগও আনা হয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, এই ঘটনার সাক্ষী হতে পারেন নির্বাচনের সময় ভোট দিতে না পারা সাধারণ ভোটার, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু সৎ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। তদন্তে ব্যালট পেপারে থাকা সিল ও স্বাক্ষর যাচাইয়ের মাধ্যমে ভোটারদের বক্তব্য মিলিয়ে প্রকৃত সত্য উদঘাটন সম্ভব বলে দাবি করা হয়েছে।
---