জেনিভা ক্যাম্প ছবি: সংগৃহিত
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্প সোমবার দুপুরের পর থেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় লাঠি-রড ও দেশি অস্ত্র হাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ বছর বয়সী শাহ আলম নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় ফয়সাল নামে একজনকে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সেলিম নামের আরেক আসামিকেও আটক করা হয়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
ক্যাম্পের এক স্কুল শিক্ষক জানান, সোমবার ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষের ঢেউ কাটেনি। ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রোববার রাতে ককটেল হামলায় এক নারীও আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলে সাময়িক শান্তি বিরাজ করে, তবে তারা চলে যাওয়ার পর মাদক কারবারিরা আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
মাদক ব্যবসার আধিপত্য দখল নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্বের পুনরুত্থান
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পিচ্চি রাজা ও বুনিয়া সোহেল গোষ্ঠীর বিরোধ চলমান। জামিনে বের হয়ে তারা আবার ব্যবসার দখল নিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন।
জেনিভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ মূলত তিন প্রধান গোষ্ঠীর হাতে:
* বুনিয়া সোহেল ও তার লোকজন ৭ নম্বর সেক্টরে
* সৈয়দপুইরা বাবু গ্রুপ এনএলজে স্কুল রোড এলাকায়
* চুয়া সেলিমের দল এবি ব্লক পাক্কা ক্যাম্পে
২০১৮ সালে র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত পাঁচ্চিশ ও পরবর্তীতে মারা যাওয়া ইশতিয়াকের অবর্তমানে এই তিন গোষ্ঠীর মধ্যে দখলদারিত্ব নিয়ে টানাপোড়েন তীব্র হয়।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও হামলার দৃশ্যপট
গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে আবারও জেনিভা ক্যাম্পে সক্রিয় হয়েছেন বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিম। বৃহস্পতিবার রাতে চুয়া সেলিমের আস্তানা এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণে দুইজন আহত হন। স্থানীয়রা জানান, বুনিয়া সোহেল নিজে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
সোমবার পর্যন্ত ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা চলছে, যার কারণে এলাকাটি উত্তপ্ত ও অস্থির রয়েছে।
---
জেনিভা ক্যাম্প ছবি: সংগৃহিত
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনিভা ক্যাম্প সোমবার দুপুরের পর থেকে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় লাঠি-রড ও দেশি অস্ত্র হাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ বছর বয়সী শাহ আলম নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মেহেদী হাসান। এ ঘটনায় ফয়সাল নামে একজনকে চাপাতিসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে সেলিম নামের আরেক আসামিকেও আটক করা হয়।
ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণ
ক্যাম্পের এক স্কুল শিক্ষক জানান, সোমবার ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত সংঘর্ষের ঢেউ কাটেনি। ৭ নম্বর সেক্টরের বিভিন্ন জায়গায় একাধিকবার ইটপাটকেল ও ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রোববার রাতে ককটেল হামলায় এক নারীও আহত হন। পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত থাকলে সাময়িক শান্তি বিরাজ করে, তবে তারা চলে যাওয়ার পর মাদক কারবারিরা আবার সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন।
মাদক ব্যবসার আধিপত্য দখল নিয়ে পুরনো দ্বন্দ্বের পুনরুত্থান
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার ইবনে মিজান জানান, দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসাকে কেন্দ্র করে পিচ্চি রাজা ও বুনিয়া সোহেল গোষ্ঠীর বিরোধ চলমান। জামিনে বের হয়ে তারা আবার ব্যবসার দখল নিতে সংঘর্ষে লিপ্ত হচ্ছেন।
জেনিভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ মূলত তিন প্রধান গোষ্ঠীর হাতে:
* বুনিয়া সোহেল ও তার লোকজন ৭ নম্বর সেক্টরে
* সৈয়দপুইরা বাবু গ্রুপ এনএলজে স্কুল রোড এলাকায়
* চুয়া সেলিমের দল এবি ব্লক পাক্কা ক্যাম্পে
২০১৮ সালে র্যাবের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত পাঁচ্চিশ ও পরবর্তীতে মারা যাওয়া ইশতিয়াকের অবর্তমানে এই তিন গোষ্ঠীর মধ্যে দখলদারিত্ব নিয়ে টানাপোড়েন তীব্র হয়।
সাম্প্রতিক উত্তেজনা ও হামলার দৃশ্যপট
গত অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বেরিয়ে আবারও জেনিভা ক্যাম্পে সক্রিয় হয়েছেন বুনিয়া সোহেল ও চুয়া সেলিম। বৃহস্পতিবার রাতে চুয়া সেলিমের আস্তানা এলাকায় তিনটি ককটেল বিস্ফোরণে দুইজন আহত হন। স্থানীয়রা জানান, বুনিয়া সোহেল নিজে মোটরসাইকেলে এসে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন।
সোমবার পর্যন্ত ক্যাম্পের বিভিন্ন জায়গায় ককটেল বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষের ঘটনা চলছে, যার কারণে এলাকাটি উত্তপ্ত ও অস্থির রয়েছে।
---