সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে হাইকোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই আন্দোলনে যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানির সময় এ ঘটনা ঘটে।
কী ঘটেছিল আদালতে?
সোমবার বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার বেঞ্চে শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতকে এক সপ্তাহ সময় চাইলে খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবী মোহসিন রশিদ প্রতিবাদ করেন। এরপর উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও শারীরিক ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবী পি এম মাহাদী হাসান বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে নির্দেশনা দিতে চাইলে আমরা প্রতিবাদ করি। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। আদালত বারবার শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।” শেষে আদালত শুনানি পেছিয়ে রোববার নতুন তারিখ দেন।
খায়রুল হকের গ্রেপ্তার ও মামলা
গত ২৪ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার হন খায়রুল হক। তাকে যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ‘বেআইনি রায় দেওয়া’র অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
খায়রুল হক ২০১০-২০১১ সালে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে হাইকোর্ট সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রদ করে দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন, তবে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের পর পদত্যাগ করেন।
প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ
আইনজীবী মাহাদী হাসান বলেন, “আদালতের এমন পরিবেশ অগ্রহণযোগ্য। আমরা ন্যায্য শুনানি চাই।” রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরবর্তী শুনানি: আগামী রোববার হাইকোর্টে খায়রুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি হবে।
--
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের জামিন শুনানিতে হাইকোর্টে আইনজীবীদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। জুলাই আন্দোলনে যুবদলকর্মী হত্যা মামলায় তার জামিন আবেদনের শুনানির সময় এ ঘটনা ঘটে।
কী ঘটেছিল আদালতে?
সোমবার বিচারপতি জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার বেঞ্চে শুনানি চলাকালে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল রাসেল আহমেদ আদালতকে এক সপ্তাহ সময় চাইলে খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবী মোহসিন রশিদ প্রতিবাদ করেন। এরপর উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে তর্কাতর্কি ও শারীরিক ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়।
খায়রুল হকের পক্ষের আইনজীবী পি এম মাহাদী হাসান বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে নির্দেশনা দিতে চাইলে আমরা প্রতিবাদ করি। এতে উত্তেজনা তৈরি হয়। আদালত বারবার শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান।” শেষে আদালত শুনানি পেছিয়ে রোববার নতুন তারিখ দেন।
খায়রুল হকের গ্রেপ্তার ও মামলা
গত ২৪ জুলাই ঢাকার ধানমন্ডি থেকে গ্রেপ্তার হন খায়রুল হক। তাকে যাত্রাবাড়ীতে যুবদলকর্মী আবদুল কাইয়ুম আহাদ হত্যা মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে ২৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জে ‘বেআইনি রায় দেওয়া’র অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
খায়রুল হক ২০১০-২০১১ সালে প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে হাইকোর্ট সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে, যা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রদ করে দিয়েছিল। ২০১৩ সালে তিনি আইন কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন, তবে ২০২৩ সালের ১৩ আগস্ট জুলাই আন্দোলনের পর পদত্যাগ করেন।
প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী পদক্ষেপ
আইনজীবী মাহাদী হাসান বলেন, “আদালতের এমন পরিবেশ অগ্রহণযোগ্য। আমরা ন্যায্য শুনানি চাই।” রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
পরবর্তী শুনানি: আগামী রোববার হাইকোর্টে খায়রুল হকের জামিন আবেদনের শুনানি হবে।
--