চুরির পর গাড়ি ফেরত দিতে নিতো টাকা
রাস্তা বা গ্যারেজে পাকিং করা গাড়ি চুরি করা তাদের জন্য কোন কঠিন কাজ নয়। ডুব্লিকেট চাবি অথবা বিকল্প পদ্ধতিতে যে কোন গাড়ি তারা চুরি করে নিয়ে যান চোখের পলক ফেলার আগেই। দেশের এমন কোন জেলা নেই যে এরা গাড়ি চুরি করেনি। গত ১০ থেকে ১২ বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২শর বেশি গাড়ি চুরি করেছে চক্রটি। চক্রের হোতা আজিজুল হক ওরফে রাজু চুরির নেতৃত্ব দিতো। তবে এবার ধরা পড়লো ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (ডিবি) বিভাগের জালে। চক্রের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা ৫ টি পিক্যাপও উদ্ধা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের কাছ থেকে গাড়ি চুরির কৌশল সম্পক্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ডিবি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) চক্রের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। বলেন, ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা অভিযান চালিয়ে মো: আজিজুল শেখ ওরফে রাজু, মো: ফজলুল হক ওরফে ফজুল, মো: ইউসুফ, মো: আব্দুল্লাহ শিকারী এবং উম্মে হ্যানি মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে কদমতলী থানা এলাকায় চুরি হয়ে যাওয়া একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিজুলের দেয়া তথ্যে যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল এলাকার নিমতলা ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে আরও চারটি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
উপ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গত ১০ অক্টোবর কদমতলি থানা এলাকা থেকে দুটি পিকাপ চুরির ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবির ওয়ারী ডিবিশন। অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তরিকুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহফুজুর রহমানের টিম মামলাটি তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে গাড়ি চুরিতে পেশাদার এ চক্রের সন্ধান মিলে। এরপর তাদের কার্যক্রমের উপর নজরদারী বাড়ানো হয়।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টা জানিয়েছেন গাড়ি চুরির পর অনিবন্ধিত সীম ব্যবহার করে যোগাযোগ করেন গাড়ির মালিকের সঙ্গে। গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা বলে দাবী করেন মোটা অঙ্কের টাকা। মালিক পুলিশের কাছে গেলে গাড়ি ফেরত না দিয়ে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে ফেলেন। এভাবে বছরের পর পর বহু গাড়ি চুরি করে বিক্রি করে আসছিলো চক্রটি। চক্রটির দলনেতা আজিজুলের নেতৃত্বে গত ১০ থেকে ১২ বছরে রাজধানসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২ শতাধিক গাড়ি চুরি করেছে। এসব গাড়ি অধিকাংশ তারা যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে।
ডিসি আশরাফ জানান, গ্রেফতারকৃদের মূল টার্গেট পিক্যাপ চুরি করা। পন্যবাহি এসব পিক্যাপ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে রাখে। এরপর অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনে ও সিম ব্যবহার করে গাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে গাড়ি ফেরত দেয়ার শর্তে টাকা দাবি করতো। বিকাশের মাধ্যমে চাহিদা মতো টাকা পেয়ে চোরাই গাড়ি দূরবর্তী কোন স্থানে রেখে গাড়ির মালিককে গাড়ি নিয়ে যেতে বলতো। এরপর গাড়ির কাগজপত্র দেওয়ার জন্য পুনরায় টাকা আদায় করতো। যেসব গাড়ির মালিক গ্রেফতারকৃতদের চাহিদা মতো টাকা দিত না কিংবা পুলিশে অভিযোগ করতো সেসকল গাড়ি ফেরত না দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রয় করতো।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা গত ১৫ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় এদের প্রধান টার্গেট পিক্যাপ ভ্যান। কোন গাড়ি এরা একাধিকবার চুরি করতো। মালিক এবং গাড়ি বুঝে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা নিতে গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা বলে। এ চক্রের দল নেতার নাম আজিজুল শেখ ওরফে রাজু। অন্যরা তার সহযোগী। আজিজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন।
চুরির পর গাড়ি ফেরত দিতে নিতো টাকা
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
রাস্তা বা গ্যারেজে পাকিং করা গাড়ি চুরি করা তাদের জন্য কোন কঠিন কাজ নয়। ডুব্লিকেট চাবি অথবা বিকল্প পদ্ধতিতে যে কোন গাড়ি তারা চুরি করে নিয়ে যান চোখের পলক ফেলার আগেই। দেশের এমন কোন জেলা নেই যে এরা গাড়ি চুরি করেনি। গত ১০ থেকে ১২ বছরে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২শর বেশি গাড়ি চুরি করেছে চক্রটি। চক্রের হোতা আজিজুল হক ওরফে রাজু চুরির নেতৃত্ব দিতো। তবে এবার ধরা পড়লো ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য (ডিবি) বিভাগের জালে। চক্রের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে চুরি করা ৫ টি পিক্যাপও উদ্ধা করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চক্রের কাছ থেকে গাড়ি চুরির কৌশল সম্পক্যে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় ডিবি।
শনিবার (১৩ নভেম্বর) চক্রের কার্যক্রম নিয়ে কথা বলেন ডিবির ওয়ারী বিভাগের উপ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন। বলেন, ডেমরা থানার সারুলিয়া এলাকা অভিযান চালিয়ে মো: আজিজুল শেখ ওরফে রাজু, মো: ফজলুল হক ওরফে ফজুল, মো: ইউসুফ, মো: আব্দুল্লাহ শিকারী এবং উম্মে হ্যানি মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের হেফাজত থেকে কদমতলী থানা এলাকায় চুরি হয়ে যাওয়া একটি পিকআপ উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আজিজুলের দেয়া তথ্যে যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল এলাকার নিমতলা ট্রাক স্ট্যান্ড থেকে আরও চারটি চোরাই পিকআপ উদ্ধার করা হয়।
উপ কমিশনার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গত ১০ অক্টোবর কদমতলি থানা এলাকা থেকে দুটি পিকাপ চুরির ঘটনায় কদমতলী থানায় একটি মামলা হয়। সেই মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবির ওয়ারী ডিবিশন। অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ তরিকুর রহমান এর তত্ত্বাবধানে সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের টিম লিডার সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহফুজুর রহমানের টিম মামলাটি তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে গাড়ি চুরিতে পেশাদার এ চক্রের সন্ধান মিলে। এরপর তাদের কার্যক্রমের উপর নজরদারী বাড়ানো হয়।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টা জানিয়েছেন গাড়ি চুরির পর অনিবন্ধিত সীম ব্যবহার করে যোগাযোগ করেন গাড়ির মালিকের সঙ্গে। গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা বলে দাবী করেন মোটা অঙ্কের টাকা। মালিক পুলিশের কাছে গেলে গাড়ি ফেরত না দিয়ে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে ফেলেন। এভাবে বছরের পর পর বহু গাড়ি চুরি করে বিক্রি করে আসছিলো চক্রটি। চক্রটির দলনেতা আজিজুলের নেতৃত্বে গত ১০ থেকে ১২ বছরে রাজধানসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ২ শতাধিক গাড়ি চুরি করেছে। এসব গাড়ি অধিকাংশ তারা যন্ত্রাংশ বিক্রি করেছে।
ডিসি আশরাফ জানান, গ্রেফতারকৃদের মূল টার্গেট পিক্যাপ চুরি করা। পন্যবাহি এসব পিক্যাপ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার পর সুবিধাজনক স্থানে নিয়ে রাখে। এরপর অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনে ও সিম ব্যবহার করে গাড়ির মালিকের সাথে যোগাযোগ করে গাড়ি ফেরত দেয়ার শর্তে টাকা দাবি করতো। বিকাশের মাধ্যমে চাহিদা মতো টাকা পেয়ে চোরাই গাড়ি দূরবর্তী কোন স্থানে রেখে গাড়ির মালিককে গাড়ি নিয়ে যেতে বলতো। এরপর গাড়ির কাগজপত্র দেওয়ার জন্য পুনরায় টাকা আদায় করতো। যেসব গাড়ির মালিক গ্রেফতারকৃতদের চাহিদা মতো টাকা দিত না কিংবা পুলিশে অভিযোগ করতো সেসকল গাড়ি ফেরত না দিয়ে গাড়ির যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রয় করতো।
ডিবির তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা গত ১৫ বছর ধরে এ পেশায় নিয়োজিত। ঢাকা ও আশেপাশের এলাকায় এদের প্রধান টার্গেট পিক্যাপ ভ্যান। কোন গাড়ি এরা একাধিকবার চুরি করতো। মালিক এবং গাড়ি বুঝে ১ থেকে ৩ লাখ টাকা নিতে গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা বলে। এ চক্রের দল নেতার নাম আজিজুল শেখ ওরফে রাজু। অন্যরা তার সহযোগী। আজিজুলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলা আদালতে বিচারাধীন।