ভোলার মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সদরের নাছিরমাঝি এলাকায় ইঞ্চিন চালিত খেয়া নৌকায় গুলি করলে একজন নিহত হন। নিহত মোর্শেদ আলম টিটু ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। নিহত টিটুর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তছির আহমেদ। পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন সকেটের ভাগ্নে নিরব গ্রুপের নেতৃত্বে স্পিডবোটযোগে হামলা করা হয়েছে বলে জানান সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান নান্নুর ছেলে আরিফ। ওই ট্রলারে নান্নু ডাক্তারসহ তার লোকজন ছিল। ওরা নান্নু ডাক্তারকে হত্যা করার জন্যই স্পিডবোটযোগে এসে হামলা করে। টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। তার দেহে ৫টি গুলি লাগে। ওই সময় স্পিডবোটটি এক পর্যায়ে ভারসাম্য রক্ষ করতে না পেরে চরের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা চরে উঠে যায়।
খেয়া ট্রলার থেকে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে দেরি করে বলেও অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান। ততক্ষণে অন্য একটি স্পিডবোট এসে সন্ত্রাসীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে গুলিবিদ্ধ টিটুকে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার ও ভোলা থানার ওসি হাসপাতালে টিটুর মরদেহ পরির্দশন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব এমন মৃত্যুতে ক্ষোভ জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ইউপি চেয়ারম্যান নান্নু জানান, নির্বাচন পরবর্তী শুক্রবার দুপুরে নামাজের পর মিলাদ শেষে তার সমর্থিতদের খাওয়ার আয়োজন ছিল। এতে ভোলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আমন্ত্রিতরা অংশ নেন। এরা ফেরার পথেই হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সকেট জামাল জানান, দুপুরে তিনি ও নান্নু ডাক্তার এক সঙ্গে পাটারীবাজার মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছেন। দুপুরে দাওয়াত খাওয়ার জন্য তাকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। যেহেতু তিনিও তার সমর্থিতদের খাওয়ার জন্য আলাদা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এ জন্য যাননি। তার লোকজন হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জনাান, নান্নু ডাক্তারের খাওয়ার ওই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে শুনেছি। এর জের ধরে খেয়া নৌকায় হামলা হতে পারে।
শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আ’লীগ কর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগের এক কর্মী মারা গেছেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শুক্রবার পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত আবদুর রাজ্জাক মোল্লা (৬০) আংগারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরযাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘রাজ্জাক মোল্লা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থক ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন।’
গত ১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউপি নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন জয় লাভ করেন।
ওসি জানান, নির্বাচনের আগে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় আংগারিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাং পাকার মাথা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে আসমা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সমর্থকের বাগবিতন্ডা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সে সময় রাজ্জাক মোল্লা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়া হয়।
ওসি আরও জানান, ওই হামলার ঘটনায় আসমা আক্তারের সমর্থক মনির হোসেন ৮ অক্টোবর ৬৮ জনের নামে পালং মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে হামলার ঘটনায় আহত রাজ্জাক মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় এখন ওই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়ে যাবে বলে জানান ওসি।
শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১
ভোলার মেঘনা নদীতে আধিপত্য বিস্তার ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউপি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শুক্রবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সদরের নাছিরমাঝি এলাকায় ইঞ্চিন চালিত খেয়া নৌকায় গুলি করলে একজন নিহত হন। নিহত মোর্শেদ আলম টিটু ধনিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়নের সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন নান্নু ডাক্তার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। নিহত টিটুর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা তছির আহমেদ। পরাজিত স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন সকেটের ভাগ্নে নিরব গ্রুপের নেতৃত্বে স্পিডবোটযোগে হামলা করা হয়েছে বলে জানান সদ্য নির্বাচিত চেয়ারম্যান নান্নুর ছেলে আরিফ। ওই ট্রলারে নান্নু ডাক্তারসহ তার লোকজন ছিল। ওরা নান্নু ডাক্তারকে হত্যা করার জন্যই স্পিডবোটযোগে এসে হামলা করে। টিটু গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়ে। তার দেহে ৫টি গুলি লাগে। ওই সময় স্পিডবোটটি এক পর্যায়ে ভারসাম্য রক্ষ করতে না পেরে চরের কাছাকাছি এসে ডুবে যায়। ওই সময় সন্ত্রাসীরা চরে উঠে যায়।
খেয়া ট্রলার থেকে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হয়। কিন্তু ঘটনাস্থলে পুলিশ যেতে দেরি করে বলেও অভিযোগ করেন ইউপি চেয়ারম্যান। ততক্ষণে অন্য একটি স্পিডবোট এসে সন্ত্রাসীদের নিয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে গুলিবিদ্ধ টিটুকে ভোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সুপার ও ভোলা থানার ওসি হাসপাতালে টিটুর মরদেহ পরির্দশন করেন। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব এমন মৃত্যুতে ক্ষোভ জানিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। ইউপি চেয়ারম্যান নান্নু জানান, নির্বাচন পরবর্তী শুক্রবার দুপুরে নামাজের পর মিলাদ শেষে তার সমর্থিতদের খাওয়ার আয়োজন ছিল। এতে ভোলাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আসা আমন্ত্রিতরা অংশ নেন। এরা ফেরার পথেই হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সকেট জামাল জানান, দুপুরে তিনি ও নান্নু ডাক্তার এক সঙ্গে পাটারীবাজার মসজিদে জুমার নামাজ পড়েছেন। দুপুরে দাওয়াত খাওয়ার জন্য তাকেও দাওয়াত দেয়া হয়েছিল। যেহেতু তিনিও তার সমর্থিতদের খাওয়ার জন্য আলাদা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এ জন্য যাননি। তার লোকজন হামলা করেনি বলে তিনি দাবি করেন। তিনি আরও জনাান, নান্নু ডাক্তারের খাওয়ার ওই জায়গায় গন্ডগোল হয়েছে শুনেছি। এর জের ধরে খেয়া নৌকায় হামলা হতে পারে।
শরীয়তপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত আ’লীগ কর্মীর মৃত্যু
শরীয়তপুর সদর উপজেলার আংগারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের সহিংসতায় আহত আওয়ামী লীগের এক কর্মী মারা গেছেন। ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
শুক্রবার পালং মডেল থানার ওসি মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। মৃত আবদুর রাজ্জাক মোল্লা (৬০) আংগারিয়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরযাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
ওসি মো. আক্তার হোসেন বলেন, ‘রাজ্জাক মোল্লা আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসমা আক্তারের সমর্থক ছিলেন। গত ৭ অক্টোবর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের হামলায় তিনি আহত হয়েছিলেন।’
গত ১১ নভেম্বর আংগারিয়া ইউপি নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন জয় লাভ করেন।
ওসি জানান, নির্বাচনের আগে ৭ অক্টোবর সন্ধ্যায় আংগারিয়া ইউপির ২ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতাং পাকার মাথা এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নির্বাচনী কার্যালয়ের সামনে আসমা আক্তার ও আনোয়ার হোসেনের সমর্থকের বাগবিতন্ডা এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সে সময় রাজ্জাক মোল্লা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মকভাবে আহত হন। তাকে প্রথমে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ও পরে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়া হয়।
ওসি আরও জানান, ওই হামলার ঘটনায় আসমা আক্তারের সমর্থক মনির হোসেন ৮ অক্টোবর ৬৮ জনের নামে পালং মডেল থানায় মামলা করেন। মামলায় পুলিশ ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে হামলার ঘটনায় আহত রাজ্জাক মোল্লা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়ায় এখন ওই মামলা হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়ে যাবে বলে জানান ওসি।