বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
নীলফামারী জেলা শহরের মাঝপাড়া থেকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম ওরফে ওহিদ ওরফে পলাশসহ ৫ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রংপুর র্যাব-১৩ ও ঢাকার র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র গুলিসহ বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
শনিবার বিকেলে রংপুর নগর আলমনগর স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত র্যাব-১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের প্রধান শাখার মিডিয়া ও আইন এবং গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় র্যাব-১৩-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তারা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম ওরফে পলাশ তার বাড়িতে ইমপ্রভাইজড এক্সপ্লোসিব ডিভাইস (আইডিডি) তৈরি করছে। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা তৈরি করছিল। তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে আটক জেএমবির শীর্ষ নেতাদের কারাগার থেকে আনা-নেয়ার সময় অথবা আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে তাদের মুক্ত করা। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে তারা বোমাগুলো তৈরি করছিল। তারা ইতোমধ্যে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২০/২৫ জন জঙ্গিকে তাদের দলে অন্তভুক্ত করেছে।
র্যাব জানায় অভিযানে উদ্ধার করা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা তাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৪ জন হলেন ওয়াহেদ আলী পিতা ওয়াজুদ্দিন বাড়ি পশ্চিম কুচিয়ামোড় পাঠান পাড়া নীলফামারী, আবদুল্লা আল মামুন পিতা তসলিম উদ্দিন বাড়ি দক্ষিণ বালাপাড়া, জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ পিতা মকবুল হোসেন বাড়ি উত্তর মুসরত কুখাপাড়া নীলফামারী এবং নুর আমিন সবুজ পিতা রজব আলী বাড়ি সোনারাই কাচারীপাড়া নীলফামারী। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবির জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য বলে স্বীকার করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র্যাব এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ৮শ’ ১৬ জন জেএমবির জঙ্গি। র্যাব জানায়, বর্তমানে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে এক পরাজিত শক্তি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর্যুপরি জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও কর্মতৎপরতার ফলে জঙ্গিদের তৎপরতা প্রায় শূন্যের কোটায়। তথাপি র্যাব আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখছি। র্যাব সাইবার মনিটারিং সেল ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। র্যাব সাইবার মনিটারিং সেল অন লাইনে নীলফামারীতে জঙ্গিদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরই ধারাবহিকতায় নীলফামারীতে অভিযান চালিয়ে সামরিক শাখার প্রধানসহ ৫ জঙ্গিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি বলে জানান তিনি।
বোমা তৈরির সরঞ্জাম, অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
নীলফামারী জেলা শহরের মাঝপাড়া থেকে জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম ওরফে ওহিদ ওরফে পলাশসহ ৫ জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। রংপুর র্যাব-১৩ ও ঢাকার র্যাবের গোয়েন্দা শাখার একটি দল যৌথভাবে শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) রাত ১২টা থেকে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্র গুলিসহ বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
শনিবার বিকেলে রংপুর নগর আলমনগর স্টেশন রোড এলাকায় অবস্থিত র্যাব-১৩ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের প্রধান শাখার মিডিয়া ও আইন এবং গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। এ সময় র্যাব-১৩-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, তারা গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির রংপুর অঞ্চলের সামরিক শাখার প্রধান অহিদুল ইসলাম ওরফে পলাশ তার বাড়িতে ইমপ্রভাইজড এক্সপ্লোসিব ডিভাইস (আইডিডি) তৈরি করছে। তারা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বোমা তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা তৈরি করছিল। তাদের মূল পরিকল্পনা ছিল রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন কারাগারে আটক জেএমবির শীর্ষ নেতাদের কারাগার থেকে আনা-নেয়ার সময় অথবা আদালত প্রাঙ্গণে হামলা চালিয়ে তাদের মুক্ত করা। এছাড়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গুরুত্বপূর্ণ ও জনবহুল এলাকায় বোমা হামলা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার লক্ষ্যে তারা বোমাগুলো তৈরি করছিল। তারা ইতোমধ্যে রংপুর অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ২০/২৫ জন জঙ্গিকে তাদের দলে অন্তভুক্ত করেছে।
র্যাব জানায় অভিযানে উদ্ধার করা উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বোমা তাদের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা নিষ্ক্রিয় করেছে।
গ্রেপ্তারকৃত অন্য ৪ জন হলেন ওয়াহেদ আলী পিতা ওয়াজুদ্দিন বাড়ি পশ্চিম কুচিয়ামোড় পাঠান পাড়া নীলফামারী, আবদুল্লা আল মামুন পিতা তসলিম উদ্দিন বাড়ি দক্ষিণ বালাপাড়া, জাহিদুল ইসলাম ওরফে জাহিদ পিতা মকবুল হোসেন বাড়ি উত্তর মুসরত কুখাপাড়া নীলফামারী এবং নুর আমিন সবুজ পিতা রজব আলী বাড়ি সোনারাই কাচারীপাড়া নীলফামারী। গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জেএমবির জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার সদস্য বলে স্বীকার করেছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, র্যাব এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪শ’ ৯৬ জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে ৮শ’ ১৬ জন জেএমবির জঙ্গি। র্যাব জানায়, বর্তমানে জঙ্গিবাদ বাংলাদেশে এক পরাজিত শক্তি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর্যুপরি জঙ্গিবিরোধী অভিযান ও কর্মতৎপরতার ফলে জঙ্গিদের তৎপরতা প্রায় শূন্যের কোটায়। তথাপি র্যাব আত্মতুষ্টিতে ভুগছে না। আমরা আমাদের গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখছি। র্যাব সাইবার মনিটারিং সেল ভার্চুয়াল জগতে জঙ্গিদের গতিবিধি সম্পর্কে অনুসন্ধান অব্যাহত রেখেছে। র্যাব সাইবার মনিটারিং সেল অন লাইনে নীলফামারীতে জঙ্গিদের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করে। এরই ধারাবহিকতায় নীলফামারীতে অভিযান চালিয়ে সামরিক শাখার প্রধানসহ ৫ জঙ্গিকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি বলে জানান তিনি।