ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় বিয়ের প্রলোভনে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এনে তরুণীকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মো. নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশা (২৪), মো. আক্তার হোসেন (৩৫) ও মো. মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজ (২৩) নামে এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার প্রকাশ শারমিন। সে কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়া পাড়ার নুর হোসেনের মেয়ে। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর রাউজানের পূর্ব গুজরা পুরাতন রুগুনন্দন চৌধুরী হাটের পূর্ব দিকে সিকদারের টেক থেকে একটি অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার পর পরিচয় শনাক্তে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার শারমিন (২২)। পরে সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, ২০১৯ সালে কক্সবাজার থানায় নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা আক্তার শারমিন। সেই মামলায় জেল হাজত থেকে আসার পর শারমিনের বাবাকে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে নুরুল ইসলাম। কিন্তু তার পরিবার মামলাটি প্রত্যাহার না করায় শারমিনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে হত্যার পরিকল্পনা করে নুরুল ইসলাম।
ওসি বলেন, শারমিনকে চট্টগ্রাম এনে অটোরিক্সাযোগে কাপ্তাই, লিচুবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরে রাউজানের পাহাড়তলী বাজার অতিক্রম করার পর চলন্ত অটোরিক্সায় নুরুল ইসলাম ওই তরুণীর গলা চেপে ধরেন। এসময় আক্তার হোসেনও তার হাত ও পা চেপে ধরেন। তাৎক্ষণিক শারমিনের গলায় থাকা ওড়না প্যাঁচিয়ে নুরুল ইসলাম ও আক্তার হোসেন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা অটোরিক্সাচালক মেহেরাজের যোগসাজশে শারমিনের মরদেহ ফেলে চলে যায়।
মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী ২০২২
ধর্ষণ মামলা তুলে না নেয়ায় বিয়ের প্রলোভনে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রাম এনে তরুণীকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১০ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের রাউজানের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মো. নুরুল ইসলাম প্রকাশ বাদশা (২৪), মো. আক্তার হোসেন (৩৫) ও মো. মেহেরাজ প্রকাশ মিরাজ (২৩) নামে এই তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার প্রকাশ শারমিন। সে কক্সবাজার সদরের কুতুবদিয়া পাড়ার নুর হোসেনের মেয়ে। রাউজান থানার ওসি আবদুল্লাহ আল হারুণ বলেন, গত বছরের ২০ নভেম্বর রাউজানের পূর্ব গুজরা পুরাতন রুগুনন্দন চৌধুরী হাটের পূর্ব দিকে সিকদারের টেক থেকে একটি অজ্ঞাতনামা তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মামলার পর পরিচয় শনাক্তে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, নিহত তরুণীর নাম আমেনা আক্তার শারমিন (২২)। পরে সর্বশেষ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকায় বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, ২০১৯ সালে কক্সবাজার থানায় নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা আক্তার শারমিন। সেই মামলায় জেল হাজত থেকে আসার পর শারমিনের বাবাকে মামলা প্রত্যাহারের চাপ প্রয়োগ করে নুরুল ইসলাম। কিন্তু তার পরিবার মামলাটি প্রত্যাহার না করায় শারমিনকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রাম নিয়ে এসে হত্যার পরিকল্পনা করে নুরুল ইসলাম।
ওসি বলেন, শারমিনকে চট্টগ্রাম এনে অটোরিক্সাযোগে কাপ্তাই, লিচুবাগানসহ বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করেন। পরে রাউজানের পাহাড়তলী বাজার অতিক্রম করার পর চলন্ত অটোরিক্সায় নুরুল ইসলাম ওই তরুণীর গলা চেপে ধরেন। এসময় আক্তার হোসেনও তার হাত ও পা চেপে ধরেন। তাৎক্ষণিক শারমিনের গলায় থাকা ওড়না প্যাঁচিয়ে নুরুল ইসলাম ও আক্তার হোসেন তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা অটোরিক্সাচালক মেহেরাজের যোগসাজশে শারমিনের মরদেহ ফেলে চলে যায়।