চার বছরের শিশুসন্তানকে ধর্ষণ মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। মেয়েটির মায়ের করা মামলায় বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াৎ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রুমি। তার পক্ষে আদালতে কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, মিজানুর রহমান মামুন, খন্দকার তানজীর মান্নান জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মাহমুদা আক্তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আসামি ইব্রাহিম রহমান রুমি (৩৫) ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। রুমি ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপি উপদেষ্টা মসিউর রহমানের বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় থাকেন কলাবাগানে।
রুমির সাবেক স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির (৩৫) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর বিবাদীর সঙ্গে সংসারকালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশুকন্যাকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যাশিশুকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও শিশুসন্তানটিকে নিজের কলাবাগানের বাসায় আনেন ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে চার বছরের শিশুটিকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পরিহিত পোশাক পরিবর্তনকালে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি। গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় আমার মেয়ের অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন। গত ১ ডিসেম্বর নিজের চার বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন রুমির স্ত্রী।
এদিকে, নিজের শিশু সন্তানকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইব্রাহিম রহমান রুমির বিরুদ্ধে রোববার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুমির স্ত্রী আফিয়া বিনতে শাহে, শাশুড়ি মাগফুরা আহমেদ ও তার শিশু কন্যা। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে অসহায় দাবি করে নাতনির প্রতি ন্যক্কারজনক অন্যায়ের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিশুটির নানি মাগফুরা আহমেদ।
বুধবার, ১২ জানুয়ারী ২০২২
চার বছরের শিশুসন্তানকে ধর্ষণ মামলায় ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। মেয়েটির মায়ের করা মামলায় বুধবার (১২ জানুয়ারি) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক জুলফিকার হায়াৎ এই আদেশ দেন।
এদিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন রুমি। তার পক্ষে আদালতে কাজী নজিবুল্যাহ হিরু, মিজানুর রহমান মামুন, খন্দকার তানজীর মান্নান জামিন শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মাহমুদা আক্তার জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আসামি ইব্রাহিম রহমান রুমি (৩৫) ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। রুমি ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সাংসদ ও বিএনপি উপদেষ্টা মসিউর রহমানের বড় ছেলে। তিনি ঢাকায় থাকেন কলাবাগানে।
রুমির সাবেক স্ত্রী গত ১ ডিসেম্বর কলাবাগান থানায় মামলাটি করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, ২০১৬ সালের ২৬ জুন পারিবারিকভাবে ডা. ইব্রাহীম রহমান রুমির (৩৫) সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এরপর বিবাদীর সঙ্গে সংসারকালে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। সংসার জীবনে বনিবনা না হওয়ায় গত বছরের ২৬ আগস্ট রুমির সঙ্গে তার বিচ্ছেদ ঘটে। গত বছরের ২৩ মার্চ বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তার অনুপস্থিতিতে চার বছরের শিশুকন্যাকে উত্তরার বাসা থেকে নিয়ে যান রুমি। গত ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রুমি তার কন্যাকে কলাবাগানের বাসায় নিজের হেফাজতে রাখেন। শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওই সময় ফেরত চাইলেও তার কন্যাকে নিতে দেননি রুমি। পরে এ বছরের ২২ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টের আদেশে কন্যাশিশুকে নিজের হেফাজতে নেন তিনি।
এজাহারে আরও বলা হয়, গত ১২ অক্টোবর রাত আনুমানিক ৮টায় আবারও শিশুসন্তানটিকে নিজের কলাবাগানের বাসায় আনেন ইব্রাহিম রহমান রুমি। পরদিন ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে শিশুর মা কলাবাগান থেকে চার বছরের শিশুটিকে উত্তরায় নিজের বাসায় ফিরিয়ে আনেন। বাসায় আনার পর পরিহিত পোশাক পরিবর্তনকালে মেয়ের শরীরে নির্যাতনের ছাপ দেখতে পান তিনি। গত ২৩ মার্চ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর এবং ১২ অক্টোবর থেকে ১৩ অক্টোবর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিবাদীর বর্তমান ঠিকানার বাসায় আমার মেয়ের অবস্থানকালে বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে যৌন নির্যাতন করেন বলে বাদী এজাহারে উল্লেখ করেন। গত ১ ডিসেম্বর নিজের চার বছরের কন্যা সন্তানকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে কলাবাগান থানায় মামলা দায়ের করেন রুমির স্ত্রী।
এদিকে, নিজের শিশু সন্তানকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ইব্রাহিম রহমান রুমির বিরুদ্ধে রোববার (৯ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন রুমির স্ত্রী আফিয়া বিনতে শাহে, শাশুড়ি মাগফুরা আহমেদ ও তার শিশু কন্যা। সংবাদ সম্মেলনে নিজেকে অসহায় দাবি করে নাতনির প্রতি ন্যক্কারজনক অন্যায়ের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিশুটির নানি মাগফুরা আহমেদ।