শিশু চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার, ইজিবাইক উদ্ধার
যশোরের শার্শা এলাকায় ইজিবাইক চালক শিশু সোলাইমান সাকিব হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন অভিযুক্ততে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২জন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের যশোর জেলা পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম,মেহেদী হাসানকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে,ওই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ওরফে প্লাবনকে যশোর চৌগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্লাবনের স্বীকারোক্তি মতে,যশোর চৌগাছা বাজার এলাকার ছুটিপুর রোডে নুরুজ্জামান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন,ইজিবাইক চালক শিশু সোলাইমান সাকিব (১৪) যশোর ঝিকরগাছা এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক কলহের কারনে তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর শার্শা এলাকার কারিগরপাড়া গ্রামে তার নানার বাড়িতে সে থাকত।
গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে সোলাইমান সাকিব তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য বাগআচড়ায়র উদ্দেশ্যে বের হলেও ওই দিন রাতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।
গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার নানার বাড়ি থেকে অনুমান ১০ কিলোমিটার দূরে যশোর জেলার শার্শা উলশী ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামের রশিদ আলীর কুল বাগানের পশ্চিম পাশ্বে ফাঁকা জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় সোলাইমান সাকিবের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সাকিবের নানা আকবর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যশোর জেলা শার্শা থানায় মামলা (নং ১৮) তারিখ-১৮-১-২০২২। এ মামলাটি পিবিআই যশোর জেলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্ত শুরু করে।
এরপর পিবিআইয়ের টিম গত বুধবার রাতে যশোরে টানা অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে,তারা সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য।
এ চক্র যশোরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক ও ভ্যান ছিনতাই করে। পরে পরস্পর যোগ সাজশে তা কেনাবেচা করে। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইজিবাইক চালক সাকিবের সঙ্গে এক হাজার টাকায় সারাদিন ঘোরানোর কথা বলে বাগআঁচড়া থেকে ভাড়া করে। দিনভর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে তারা ইজিবাইক চালকের মোবাইল ফোন দিয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে বার্মিজের যোগাযোগ করে। এরপর তারা পরস্পর যোগ সাজশে নিরাপদ স্থানে গিয়ে ইজিবাইক চালক সোলাইমান সাকিবকে সেলাই করার রেঞ্জ, এল রেঞ্জ ও টিপ চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায়, কপালে ডান চোয়ালে এবং বাম চোখে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে স্বীকার করে।
গতকাল অভিযুক্তদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে মেহেদী ও ইজিবাইক কেনা প্লাবন গতকাল আদালতে নিজেদেরকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পলাতক আরো ৩ থেকে ৪ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
যশোর জেলা পিবিআইয়ের এসপি জানান, ইজিবাইক চালক সোলাইমানের বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। শিশুটির বাবা ও মা বিচ্ছেদের পর মা বোম্বাই চলে গেছেন। আর বাবা অনত্র বিয়ে সংসার করছেন। এ কারনে শিশু সোলাইমান নানার কাছে থাকত। সংর্ঘবদ্ধ চোরদল তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এ চক্র এর আগেও আরও একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
শিশু চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনতাই
তিন অভিযুক্ত গ্রেফতার, ইজিবাইক উদ্ধার
শুক্রবার, ২১ জানুয়ারী ২০২২
যশোরের শার্শা এলাকায় ইজিবাইক চালক শিশু সোলাইমান সাকিব হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তিন অভিযুক্ততে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে, ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২জন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআইয়ের যশোর জেলা পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত ১৯ জানুয়ারি বুধবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম,মেহেদী হাসানকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য মতে,ওই দিন সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম ওরফে প্লাবনকে যশোর চৌগাছা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্লাবনের স্বীকারোক্তি মতে,যশোর চৌগাছা বাজার এলাকার ছুটিপুর রোডে নুরুজ্জামান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ থেকে ছিনতাইকৃত ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা বলেন,ইজিবাইক চালক শিশু সোলাইমান সাকিব (১৪) যশোর ঝিকরগাছা এলাকার বাসিন্দা। পারিবারিক কলহের কারনে তার বাবা মায়ের বিচ্ছেদের পর শার্শা এলাকার কারিগরপাড়া গ্রামে তার নানার বাড়িতে সে থাকত।
গত ১৭ জানুয়ারি দুপুর ১টার দিকে সোলাইমান সাকিব তার নানার ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় যাত্রী বহনের জন্য বাগআচড়ায়র উদ্দেশ্যে বের হলেও ওই দিন রাতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি।
গত ১৮ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার নানার বাড়ি থেকে অনুমান ১০ কিলোমিটার দূরে যশোর জেলার শার্শা উলশী ইউনিয়নের বড়বাড়িয়া গ্রামের রশিদ আলীর কুল বাগানের পশ্চিম পাশ্বে ফাঁকা জায়গায় রক্তাক্ত অবস্থায় সোলাইমান সাকিবের লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় সাকিবের নানা আকবর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। যশোর জেলা শার্শা থানায় মামলা (নং ১৮) তারিখ-১৮-১-২০২২। এ মামলাটি পিবিআই যশোর জেলা স্ব-উদ্যোগে গ্রহণ করে মামলার তদন্ত শুরু করে।
এরপর পিবিআইয়ের টিম গত বুধবার রাতে যশোরে টানা অভিযান চালিয়ে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে,তারা সংঘবদ্ধ ইজিবাইক ছিনতাই ও অজ্ঞান পার্টির সদস্য।
এ চক্র যশোরের বিভিন্ন এলাকায় ইজিবাইক ও ভ্যান ছিনতাই করে। পরে পরস্পর যোগ সাজশে তা কেনাবেচা করে। গত ১৭ জানুয়ারি সোমবার অভিযুক্তরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে ইজিবাইক চালক সাকিবের সঙ্গে এক হাজার টাকায় সারাদিন ঘোরানোর কথা বলে বাগআঁচড়া থেকে ভাড়া করে। দিনভর তারা বিভিন্ন স্থানে ঘোরাঘুরি করে। এক পর্যায়ে তারা ইজিবাইক চালকের মোবাইল ফোন দিয়ে অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে বার্মিজের যোগাযোগ করে। এরপর তারা পরস্পর যোগ সাজশে নিরাপদ স্থানে গিয়ে ইজিবাইক চালক সোলাইমান সাকিবকে সেলাই করার রেঞ্জ, এল রেঞ্জ ও টিপ চাকু দিয়ে এলোপাতাড়ি মাথায়, কপালে ডান চোয়ালে এবং বাম চোখে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর যশোর জেলার কোতোয়ালি থানা এলাকায় ছিনতাইকৃত ইজিবাইকটি ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে বলে স্বীকার করে।
গতকাল অভিযুক্তদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার মধ্যে মেহেদী ও ইজিবাইক কেনা প্লাবন গতকাল আদালতে নিজেদেরকে জড়িয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে। পলাতক আরো ৩ থেকে ৪ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
যশোর জেলা পিবিআইয়ের এসপি জানান, ইজিবাইক চালক সোলাইমানের বয়স ১৩ থেকে ১৪ বছর হবে। শিশুটির বাবা ও মা বিচ্ছেদের পর মা বোম্বাই চলে গেছেন। আর বাবা অনত্র বিয়ে সংসার করছেন। এ কারনে শিশু সোলাইমান নানার কাছে থাকত। সংর্ঘবদ্ধ চোরদল তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করেছে। এ চক্র এর আগেও আরও একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে।