রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে বেশ কয়েকটি গুদাম ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা আরও সাড়ে ৯২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে জেলা পুলিশ অভিযান চালায়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, এ সময় সেখানে পাঁচটি গোডাউনে ৪৫৪ ড্রামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকার এন্ড সন্সের গোডাউনে ৭৪ ড্রাম এবং তার গোডাউনের সামনে দাঁড়ানো ট্রাকে ৬০ ড্রাম, এন্তাজ স্টোরের গুদামে ১৪২ ড্রাম, মেসার্স পাল এন্ড ব্র্রাদার্সের গুদামে ১০৩ ড্রাম ও রিয়া স্টোরের গোডাউনে ৭৫ ড্রাম তেল জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতি ড্রামে রয়েছে ২০৪ লিটার তেল। সবাই তেলগুলো মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরি পর্যন্ত অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ ও নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করার অভিযোগে রাজশাহীর তিন ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী ও সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ নগরীতে এই অভিযান চালান।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা নগরীর সাহেব বাজার ও বহরমপুর এলাকায় অভিযান চালান। এসময় সাহেববাজার এলাকার মেসার্স হুমায়ুন স্টোরে ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল মজুদ পাওয়া যায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ রেখেছিলেন বিক্রেতা হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনায় তাকে ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে জব্দকৃত ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল গায়ের দামে বিক্রি করে ব্যবসায়ীতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
একই অভিযানে সাহেববাজার এলাকার মেসার্স পাপ্পু অ্যান্ড ব্রাদার্সকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক নজরুল ইসলাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, আলাদা অভিযানে নগরীর বহরমপুর মোড় এলাকার মেসার্স নুরুন্নবি ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি মূল্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরুন্নবী। তাৎক্ষণিকভাবে এই তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক হাসান আলমারুফ।
এদিকে গত সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারের একটি গোডাউন থেকে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্য তেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় অবৈধভাবে তেল মজুদ করে রাখার অপরাধে স্বপন সাজি নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। জব্দকৃত তেলের মধ্যে ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার সয়াবিন ও ১ হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, তাহেরপুর বাজারে একটি সরকারি গোডাউন রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেটি ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে। ওই গোডাউনে টিসিবির পণ্য থাকতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে ১০০ ড্রাম তেল পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ১০০ ড্রাম তেলের মধ্যে ৯৫ ড্রামে রয়েছে সোয়াবিন তেল। প্রতি ড্রামে তেল রয়েছে ২০৪ লিটার। সেই হিসেবে সয়াবিন তেল রয়েছে ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার। আর পাঁচ ড্রামে রয়েছে এক হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল। তিনি বলেন, অভিযানের সময় এর মালিক স্বপন সাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার, ১০ মে ২০২২
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে বেশ কয়েকটি গুদাম ও দোকানে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা আরও সাড়ে ৯২ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজারে জেলা পুলিশ অভিযান চালায়।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, এ সময় সেখানে পাঁচটি গোডাউনে ৪৫৪ ড্রামে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যায়। এর মধ্যে সরকার এন্ড সন্সের গোডাউনে ৭৪ ড্রাম এবং তার গোডাউনের সামনে দাঁড়ানো ট্রাকে ৬০ ড্রাম, এন্তাজ স্টোরের গুদামে ১৪২ ড্রাম, মেসার্স পাল এন্ড ব্র্রাদার্সের গুদামে ১০৩ ড্রাম ও রিয়া স্টোরের গোডাউনে ৭৫ ড্রাম তেল জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, প্রতি ড্রামে রয়েছে ২০৪ লিটার তেল। সবাই তেলগুলো মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করেছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। মজুদদারদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানায় পুলিশ।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুরি পর্যন্ত অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুদ ও নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে তেল বিক্রি করার অভিযোগে রাজশাহীর তিন ব্যবসায়ীকে ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী ও সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ নগরীতে এই অভিযান চালান।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা নগরীর সাহেব বাজার ও বহরমপুর এলাকায় অভিযান চালান। এসময় সাহেববাজার এলাকার মেসার্স হুমায়ুন স্টোরে ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল মজুদ পাওয়া যায়। বোতলজাত সয়াবিন তেল মজুদ রেখেছিলেন বিক্রেতা হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনায় তাকে ভোক্তাঅধিকার সংরক্ষণ আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে জব্দকৃত ১৩২ বোতল সয়াবিন তেল গায়ের দামে বিক্রি করে ব্যবসায়ীতে অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
একই অভিযানে সাহেববাজার এলাকার মেসার্স পাপ্পু অ্যান্ড ব্রাদার্সকেও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই প্রতিষ্ঠানটির মালিক নজরুল ইসলাম নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি দামে বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, আলাদা অভিযানে নগরীর বহরমপুর মোড় এলাকার মেসার্স নুরুন্নবি ট্রেডার্সকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাড়তি মূল্যে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক নুরুন্নবী। তাৎক্ষণিকভাবে এই তিন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করা হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান বলে জানিয়েছেন সহকারী পরিচালক হাসান আলমারুফ।
এদিকে গত সোমবার (৯ মে) সন্ধ্যায় সাড়ে ৭টায় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর বাজারের একটি গোডাউন থেকে ২০ হাজার ৪০০ লিটার ভোজ্য তেল জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় অবৈধভাবে তেল মজুদ করে রাখার অপরাধে স্বপন সাজি নামের এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়। জব্দকৃত তেলের মধ্যে ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার সয়াবিন ও ১ হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম বলেন, তাহেরপুর বাজারে একটি সরকারি গোডাউন রয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা সেটি ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করে। ওই গোডাউনে টিসিবির পণ্য থাকতে পারে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় সেখানে ১০০ ড্রাম তেল পাওয়া যায়। তিনি আরও বলেন, ১০০ ড্রাম তেলের মধ্যে ৯৫ ড্রামে রয়েছে সোয়াবিন তেল। প্রতি ড্রামে তেল রয়েছে ২০৪ লিটার। সেই হিসেবে সয়াবিন তেল রয়েছে ১৯ হাজার ৩৮০ লিটার। আর পাঁচ ড্রামে রয়েছে এক হাজার ২০ লিটার সরিষার তেল। তিনি বলেন, অভিযানের সময় এর মালিক স্বপন সাজিকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সঙ্গে তার গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়েছে।