শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিড়ি শিল্প নগরী হারাগাছে গৃহবধূর (৩৬) গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া (২৮)।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পর বুধবার গভীর রাতে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুলকে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান। ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের মৃত মহির উদ্দিন বসুনিয়ার ছেলে এবং হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তার কঠোর শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ গ্রামের এক গৃহবধূর দুই সন্তানকে ৩-৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়াতেন একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া। গৃহশিক্ষক হিসেবে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে একদিন টিনের বেড়া দেয়া গোসলখানায় কৌশলে ওই গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ও ছবি গোপনে ধারণ করে মাজেদুল। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে প্রচার করার ভয়ভীতিসহ তার ছেলেদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের অশ্লীল ছবি তোলে মাজেদুল। সর্বশেষ গত বছরের ২৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মাজেদুল আবারও বাড়িতে গিয়ে গোসলের সেই ভিডিও ও অন্যান্য অশালীন ছবি তার স্বামী সন্তানদের দেখানোসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও রেহাই মেলেনি। ঢাকায় থাকা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানালে তিনি রাজি না হওয়ায় অন্য নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১২ মার্চ সকালে তার ছোট ছেলের (১৭) ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেয় মাজেদুল। এছাড়া ওইদিন বেলা ৩টার দিকে বড় ছেলের (১৮) এক বন্ধুর ম্যাসেঞ্জারেও পাঠিয়ে দেয় সেই আপত্তিকর ছবি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে গত ১১ এপ্রিল মাজেদুলকে অভিযুক্ত করে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম গা ঢাকা দেয়।
কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো অব্যাহত ছিল। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ও র্যাব ১৩ একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৫ মে) ভোরে ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়াকে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মামলার তদন্তকারী অফিসার কাউনিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত মাজেদুল গা ঢাকা দেয়। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে এবং স্থান পরিবর্তন করে।
পরে তথ্য প্রযুক্তিতর সহায়তায় র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে ভিডিও করার কথাও জানিয়েছে। তাকে বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান দেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু বলেন, গত বছর হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মাজেদুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা মাজদুলের ব্যক্তিগত চরিত্রের বিষয়। এর দায় ছাত্রলীগ নেবে না।
শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ
শুক্রবার, ২৭ মে ২০২২
রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার বিড়ি শিল্প নগরী হারাগাছে গৃহবধূর (৩৬) গোসলের ভিডিও গোপনে ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া (২৮)।
এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পর বুধবার গভীর রাতে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুলকে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান। ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের মৃত মহির উদ্দিন বসুনিয়ার ছেলে এবং হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক বলে পুলিশ জানিয়েছে। এদিকে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম গ্রেপ্তার হওয়ার খবর জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। তার কঠোর শাস্তি দাবি করে বিক্ষোভ করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ জানায়, কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ গ্রামের এক গৃহবধূর দুই সন্তানকে ৩-৪ বছর আগে প্রাইভেট পড়াতেন একই এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া। গৃহশিক্ষক হিসেবে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে একদিন টিনের বেড়া দেয়া গোসলখানায় কৌশলে ওই গৃহবধূর গোসলের ভিডিও ও ছবি গোপনে ধারণ করে মাজেদুল। সেই ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ নানাভাবে প্রচার করার ভয়ভীতিসহ তার ছেলেদের ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে বেশ কয়েকবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের অশ্লীল ছবি তোলে মাজেদুল। সর্বশেষ গত বছরের ২৯ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে মাজেদুল আবারও বাড়িতে গিয়ে গোসলের সেই ভিডিও ও অন্যান্য অশালীন ছবি তার স্বামী সন্তানদের দেখানোসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ নিরুপায় হয়ে ছেলেদের নিয়ে ঢাকায় চলে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও রেহাই মেলেনি। ঢাকায় থাকা অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শারীরিক সম্পর্কের কথা জানালে তিনি রাজি না হওয়ায় অন্য নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে গত ১২ মার্চ সকালে তার ছোট ছেলের (১৭) ম্যাসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠিয়ে দেয় মাজেদুল। এছাড়া ওইদিন বেলা ৩টার দিকে বড় ছেলের (১৮) এক বন্ধুর ম্যাসেঞ্জারেও পাঠিয়ে দেয় সেই আপত্তিকর ছবি। অবশেষে নিরুপায় হয়ে ধর্ষিতা গৃহবধূ ঢাকা থেকে গ্রামের বাড়িতে এসে গত ১১ এপ্রিল মাজেদুলকে অভিযুক্ত করে কাউনিয়া থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে ধর্ষক ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম গা ঢাকা দেয়।
কাউনিয়া থানার ওসি মাসুমুর রহমান জানান, তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালানো অব্যাহত ছিল। অবশেষে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কাউনিয়া থানা পুলিশ ও র্যাব ১৩ একটি দল যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে বুধবার (২৫ মে) ভোরে ধর্ষক মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়াকে রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে মামলার তদন্তকারী অফিসার কাউনিয়া থানার এসআই সামিউল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরপরই অভিযুক্ত মাজেদুল গা ঢাকা দেয়। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করে এবং স্থান পরিবর্তন করে।
পরে তথ্য প্রযুক্তিতর সহায়তায় র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাজেদুল ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। সেই সঙ্গে ভিডিও করার কথাও জানিয়েছে। তাকে বৃস্পতিবার সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চালান দেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। পরে তাকে রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ জানিয়েছে আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা মাজেদুল ইসলাম বসুনিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়ে হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান মিঠু বলেন, গত বছর হারাগাছ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। মাজেদুল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটিতে শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটা মাজদুলের ব্যক্তিগত চরিত্রের বিষয়। এর দায় ছাত্রলীগ নেবে না।