জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সরোয়ারকে (৬৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ওসি গোলাম সরোয়ার ও একই মামলার আসামী তার ছেলে এনামুল হক আদালতে হাজির হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করে। ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হেলাল উদ্দিন তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আদালত তার ছেলে এনামুল হকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে।
উক্ত আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার জানান, গত ৩০ মে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তিন কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহহের দূদকএর উপ-পরিচালক রামপ্রসাদ মন্ডল বাদী হয়ে ওসি গোলাম সরোয়ারসহ তার তিন ছেলে এনামুল হক, নাজমুল হক ও মঞ্জুরুল হককে আসামি করে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম সরোয়ার এবং তার তিন পুত্র ব্যবসায়ী এনামুল হক মাসুম, প্রভাষক নাজমুল হক মারুফ ও ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল হক মামুনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতে ৩০ মে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মামলায় ৩ কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পায় দুদক। এর মধ্যে গোলাম সরোয়ারের এক কোটি ৮৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, পুত্র এনামুল হকের ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৭ টাকা, নাজমুল হক মারুফের ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও মঞ্জুরুল হক মামুনের নামে ২৯ লাখ ২ হাজার ৯২৬ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের সন্ধ্যান মেলে দুদকের অনুসন্ধ্যানে।
পুলিশের কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পাওয়া এই ওসি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি ও ভালুকা মডেল থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় সম্পদের এই পাহাড় গড়ে তোলেন। ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলা সৌহার্দ্য টাওয়ারের ১২ টি ফ্ল্যাট ও রাজধানী ঢাকার আদারের শেকেরটেক শ্যামলী হাউজিংয়ে আটতলা আলিশান বাড়ি ছাড়াও ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর, বলাশপুর ও চুরখাই ছাড়াও টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার নিজ গ্রামে রয়েছে তার প্রচুর সম্পদ।
আসামী গোলাম সরোয়ারের বড় ছেলে এনামুল হক মাসুম পেশায় ব্যবসায়ী, মেঝ ছেলে নাজমুল হক মারুফ জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট নয়ারহাট সাভার ঢাকার প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ও ছোট ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জরুল হক মামুন, সুপার স্ট্রাকচার টিএএ-জেবি এমআরটি লাইন-০৬ ঢাকা মাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কর্মরত বলে জানা গেছে। ছাত্রাবস্থায় এই ৩ পুত্র ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিক বনেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে গোলাম সরোয়ারের বাসা বাড়ি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বলেস্থানীয়রা জানিয়েছেন।
বুধবার, ১৫ জুন ২০২২
জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন ও মানিলন্ডারিংয়ের দায়ে দুদকের দায়ের করা মামলায় ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম সরোয়ারকে (৬৫) কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ওসি গোলাম সরোয়ার ও একই মামলার আসামী তার ছেলে এনামুল হক আদালতে হাজির হয়ে তার আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন আবেদন করে। ময়মনসিংহের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হেলাল উদ্দিন তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তবে আদালত তার ছেলে এনামুল হকের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছে।
উক্ত আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট সঞ্জীব সরকার জানান, গত ৩০ মে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত তিন কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ময়মনসিংহহের দূদকএর উপ-পরিচালক রামপ্রসাদ মন্ডল বাদী হয়ে ওসি গোলাম সরোয়ারসহ তার তিন ছেলে এনামুল হক, নাজমুল হক ও মঞ্জুরুল হককে আসামি করে পৃথক ৪টি মামলা দায়ের করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) গোলাম সরোয়ার এবং তার তিন পুত্র ব্যবসায়ী এনামুল হক মাসুম, প্রভাষক নাজমুল হক মারুফ ও ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল হক মামুনের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের বিশেষ জজ আদালতে ৩০ মে মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
মামলায় ৩ কোটি ৪৫ হাজার ৩৫৪ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জনসহ মানিলন্ডারিংয়ের প্রমাণ পায় দুদক। এর মধ্যে গোলাম সরোয়ারের এক কোটি ৮৪ লাখ ৯৯ হাজার ৩৩ টাকা, পুত্র এনামুল হকের ৫৫ লাখ ৮৬ হাজার ৪৬৭ টাকা, নাজমুল হক মারুফের ৩০ লাখ ৫৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও মঞ্জুরুল হক মামুনের নামে ২৯ লাখ ২ হাজার ৯২৬ টাকার জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদের সন্ধ্যান মেলে দুদকের অনুসন্ধ্যানে।
পুলিশের কনস্টেবল থেকে পদোন্নতি পাওয়া এই ওসি ময়মনসিংহ কোতোয়ালি ও ভালুকা মডেল থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় সম্পদের এই পাহাড় গড়ে তোলেন। ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া নয়াপাড়া এলাকার ১০ তলা সৌহার্দ্য টাওয়ারের ১২ টি ফ্ল্যাট ও রাজধানী ঢাকার আদারের শেকেরটেক শ্যামলী হাউজিংয়ে আটতলা আলিশান বাড়ি ছাড়াও ময়মনসিংহ নগরীর কৃষ্টপুর, বলাশপুর ও চুরখাই ছাড়াও টাঙ্গাইলের কালিহাতি উপজেলার নিজ গ্রামে রয়েছে তার প্রচুর সম্পদ।
আসামী গোলাম সরোয়ারের বড় ছেলে এনামুল হক মাসুম পেশায় ব্যবসায়ী, মেঝ ছেলে নাজমুল হক মারুফ জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনষ্টিটিউট নয়ারহাট সাভার ঢাকার প্রভাষক হিসেবে কর্মরত ও ছোট ছেলে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জরুল হক মামুন, সুপার স্ট্রাকচার টিএএ-জেবি এমআরটি লাইন-০৬ ঢাকা মাস রেপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে কর্মরত বলে জানা গেছে। ছাত্রাবস্থায় এই ৩ পুত্র ফ্ল্যাট ও বাড়ির মালিক বনেছেন। মামলা দায়েরের পর থেকে গোলাম সরোয়ারের বাসা বাড়ি বিক্রির চেষ্টা করছিলেন বলেস্থানীয়রা জানিয়েছেন।