শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর ঐ ইউনিয়নের ৮নং কেন্দ্রের বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশ শটগান দিয়ে ১২ রাউন্ড গুলি করেন। এতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তার দুই বছর বয়সের কন্যা লামিছা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। পরে তাদের সকলকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনে
শরীয়তপুরের জাজিরায় বুধবার(১৫ জুন) ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকল ইউনিয়নে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনে(ইভিএমে) ভোট গ্রহণ করা হয়। বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে বিলাসপুর ইউনিয়নের ৮নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হোসেন সদস্য প্রার্থীদের ফলাফল বুঝিয়ে দেন। এসময় বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করতে থাকলে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হামলাকারীরা ভোট কেন্দ্র ভাংচুরসহ নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিতদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শটগানের গুলি ছুঁড়েন। পরে র্যাব ও বিজিবি নিয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হেসেন বলেন, "ফলাফল ঘোষনা করে আমরা সকল প্রার্থীর ভোটের ফলাফল প্রতিবেদন বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এমন সময় পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকরা হামলা করেন। তাদের হামলায় আমাদের কর্মকর্তারাও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের উদ্ধার করেছেন।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়েছে। তাতে তিন জন আহত হওয়ার কথা শুনেছি।
বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনার পর ঐ ইউনিয়নের ৮নং কেন্দ্রের বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ও পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োজিত পুলিশ শটগান দিয়ে ১২ রাউন্ড গুলি করেন। এতে ইমরান হোসেন, রুবিনা আক্তার ও তার দুই বছর বয়সের কন্যা লামিছা গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন। পরে তাদের সকলকে ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৭ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ(ইউপি) নির্বাচনে
শরীয়তপুরের জাজিরায় বুধবার(১৫ জুন) ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসকল ইউনিয়নে ইলেক্ট্রোনিক ভোটিং মেশিনে(ইভিএমে) ভোট গ্রহণ করা হয়। বিকাল ৪টায় ভোট গ্রহণ শেষে বিলাসপুর ইউনিয়নের ৮নং কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হোসেন সদস্য প্রার্থীদের ফলাফল বুঝিয়ে দেন। এসময় বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করতে থাকলে পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমান সিকদারের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা করেন। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। হামলাকারীরা ভোট কেন্দ্র ভাংচুরসহ নির্বাচন পরিচালনার কাজে নিয়োজিতদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এসময় কয়েকটি ককটেল বোমার বিস্ফোরন ঘটানো হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা শটগানের গুলি ছুঁড়েন। পরে র্যাব ও বিজিবি নিয়ে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান সোহেল অবরুদ্ধ কর্মকর্তাদের উদ্ধার করেন।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা শেখ দেলোয়ার হেসেন বলেন, "ফলাফল ঘোষনা করে আমরা সকল প্রার্থীর ভোটের ফলাফল প্রতিবেদন বুঝিয়ে দিচ্ছিলাম। এমন সময় পরাজিত প্রার্থী মতিউর রহমানের সমর্থকরা হামলা করেন। তাদের হামলায় আমাদের কর্মকর্তারাও কয়েকজন আহত হয়েছেন। আমাদের কিছু মালামাল খোয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের উদ্ধার করেছেন।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ থামাতে ও নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের নিরাপদ রাখতে পুলিশ ১২ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুঁড়েছে। তাতে তিন জন আহত হওয়ার কথা শুনেছি।