দীর্ঘ ১৫ বছর পর রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার হোসেননপুর গ্রামে কৃষক রাজা মিয়া হত্যা মামলায় ৮ আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ১৫ বছর আগে ২০০৭ সালের ২৬ মে তারিখে কৃষক রাজা মিয়ার সাথে আসামীদের বিলের জমির আইলের বাঁধ নির্মান করাকে কেন্দ্র কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা লাঠি ছোড়া বল্লম সহ দেশী অস্ত্র নিয়ে কৃষক রাজা মিয়ার উপর আক্রমন চালিয়ে তাকে উপযূপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই আনছার আলী বাদী হয়ে ২৯ আসামীর নাম উল্লেখ করে পীরগজ্ঞ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে পুলিশ সকল আসামীর নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহন ও বিচার চলে। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।
সাক্ষ্য ও জেরা ও শুনানী শেষে ৮ আসামী আনিসুর রহমান, আমসার আলী, সমশের আলী, আবু সায়েম, আল আমিন, শাহ আলম, আব্দুল লতিফ ও বাদশা মিয়াকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন বিচারক। অন্যদিকে ১৯ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলো। রায় ঘোষনার পর আসামীদের কঠোর পুলিশী পাহারায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি এ্যাডভোকেট তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন বাদী পক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে।
অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজিবী আব্দুর রশীদ চৌধুরী ও এমদাদুল হক এ্যাডভোকেট বলেন তারা ন্যায় বিচার পাননি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
বুধবার, ২২ জুন ২০২২
দীর্ঘ ১৫ বছর পর রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার হোসেননপুর গ্রামে কৃষক রাজা মিয়া হত্যা মামলায় ৮ আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২২ জুন) বিকেলে রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ২ এর বিচারক তারিক হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
মামলার বিবরনে জানা গেছে, রংপুরের পীরগজ্ঞ উপজেলার হোসেনপুর গ্রামে ১৫ বছর আগে ২০০৭ সালের ২৬ মে তারিখে কৃষক রাজা মিয়ার সাথে আসামীদের বিলের জমির আইলের বাঁধ নির্মান করাকে কেন্দ্র কথাকাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আসামীরা লাঠি ছোড়া বল্লম সহ দেশী অস্ত্র নিয়ে কৃষক রাজা মিয়ার উপর আক্রমন চালিয়ে তাকে উপযূপরি কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বড় ভাই আনছার আলী বাদী হয়ে ২৯ আসামীর নাম উল্লেখ করে পীরগজ্ঞ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
তদন্ত শেষে পুলিশ সকল আসামীর নামে আদালতে চার্জসীট দাখিল করে। মামলাটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন আদালতে সাক্ষ্য গ্রহন ও বিচার চলে। মামলায় ৩২ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করে।
সাক্ষ্য ও জেরা ও শুনানী শেষে ৮ আসামী আনিসুর রহমান, আমসার আলী, সমশের আলী, আবু সায়েম, আল আমিন, শাহ আলম, আব্দুল লতিফ ও বাদশা মিয়াকে দোষি সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেন বিচারক। অন্যদিকে ১৯ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের খালাস প্রদান করা হয়।
রায় ঘোষনার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলো। রায় ঘোষনার পর আসামীদের কঠোর পুলিশী পাহারায় কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি নয়নুর রহমান টফি এ্যাডভোকেট তিনি রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন বাদী পক্ষ ন্যায্য বিচার পেয়েছে।
অন্যদিকে আসামী পক্ষের আইনজিবী আব্দুর রশীদ চৌধুরী ও এমদাদুল হক এ্যাডভোকেট বলেন তারা ন্যায় বিচার পাননি এ আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।