ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সজীব (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে৷ রোববার (২১ জুলাই) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান জানান৷
নিহত সজীব শহরের চাষাঢ়া রামবাবুর পুকুরপাড়ের ছোট মসজিদ এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবীর সহকারী সিদ্দিকুর রহমান জানান, আদালতপাড়া থেকে কাজ শেষে ফেরার পথে এসপির কার্যালয়ের পাশে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় সজীবকে পড়ে থাকতে দেখতে পান৷ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ব্যাটারিচালিত বাহন মিশুকে করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন৷
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ছেলেটি মারা গেছে। তার বুকে জখম রয়েছে৷
নিহত সজীবের বডৃ বোন শাহীনূর বলেন, তিন ভাইবোনের ছোট সজীব৷ সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে৷ পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে বেকার৷ তাদের বাবা ভাঙারির কাজ করেন৷
‘রাত ৮টার কিছুক্ষণ পূর্বে বাসা থেকে বের হয় সজীব৷ বলছে, বাসার সামনে থেইকা আসতাছি৷ কার লগে গেছে জানি না৷ রাত পৌনে এগারোটার দিকে সজীবের খবর পান৷’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন সজীবের বোন৷
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে৷ দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে৷ এটি ছিনতাই নাকি পূর্বের দ্বন্দ্ব সে বিষয়ে তদন্ত চলছে৷’
ঘটনাস্থলের পাশে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়াও জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয় রয়েছে৷ পাশেই চাঁদমারী বস্তি এলাকা৷ স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে চাঁদমারী মাউরাপট্টি এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে৷ এর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে লিংক রোডে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে৷ দুই ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান৷
সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২
ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পাশে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে সজীব (১৭) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে৷ রোববার (২১ জুলাই) রাত আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান জানান৷
নিহত সজীব শহরের চাষাঢ়া রামবাবুর পুকুরপাড়ের ছোট মসজিদ এলাকার কামাল মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী এক আইনজীবীর সহকারী সিদ্দিকুর রহমান জানান, আদালতপাড়া থেকে কাজ শেষে ফেরার পথে এসপির কার্যালয়ের পাশে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে রক্তাক্ত অবস্থায় সজীবকে পড়ে থাকতে দেখতে পান৷ স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় ব্যাটারিচালিত বাহন মিশুকে করে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন৷
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ছেলেটি মারা গেছে। তার বুকে জখম রয়েছে৷
নিহত সজীবের বডৃ বোন শাহীনূর বলেন, তিন ভাইবোনের ছোট সজীব৷ সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে৷ পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে বর্তমানে বেকার৷ তাদের বাবা ভাঙারির কাজ করেন৷
‘রাত ৮টার কিছুক্ষণ পূর্বে বাসা থেকে বের হয় সজীব৷ বলছে, বাসার সামনে থেইকা আসতাছি৷ কার লগে গেছে জানি না৷ রাত পৌনে এগারোটার দিকে সজীবের খবর পান৷’ কাঁদতে কাঁদতে বলেন সজীবের বোন৷
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (‘ক’ সার্কেল) নাজমুল হাসান বলেন, ‘মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে রাখা হয়েছে৷ দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে৷ এটি ছিনতাই নাকি পূর্বের দ্বন্দ্ব সে বিষয়ে তদন্ত চলছে৷’
ঘটনাস্থলের পাশে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় ছাড়াও জেলা ও দায়রা জজ আদালত এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয় রয়েছে৷ পাশেই চাঁদমারী বস্তি এলাকা৷ স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার দিকে চাঁদমারী মাউরাপট্টি এলাকায় মারামারির ঘটনা ঘটে৷ এর ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে লিংক রোডে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে৷ দুই ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা খতিয়ে দেখছেন বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নাজমুল হাসান৷