নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিশু হুমায়রা হত্যা মামলার ২ আসামিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান র্যাব-১১ এর উপপরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে মুন্সিগঞ্জ সদরের দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন- সোনারগাঁয়ের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (২২) ও তার বাবা শুক্কুর আলী (৫০)।
গত ২৮ জুলাই সোনারগাঁয়ের বড় নয়াগাও এলাকা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় ৭ বছর বয়সী হুমায়রা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা সেতারা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এর আগে নিহতের ভাবী বৈশাখী আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা মুনিরুল আলম জানান, হুমায়রার বড়ভাই সজীবের সাথে আসামি সেলিম মিয়ার দ্বন্দ্ব ছিল। সেলিম সজীবের স্ত্রী বৈশাখী আক্তারের (গ্রেপ্তার আসামি) ভগ্নিপতি। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বৈশাখীর সম্পর্কও ভালো যাচ্ছিল না। ওই বিরোধের জেরে সজীবের ছোট বোন হুমায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেলিমের কথায় বৈশাখী হুমায়রাকে বাসা থেকে নিয়ে বের হয়। সেলিমের কাছে তুলে দিয়ে বাড়িতে ফিরে বৈশাখী জানায়, শিশু হুমায়রা হারিয়ে গেছে। এদিকে সেলিম শিশুটিকে হত্যা করে মাটির ভেতর পুঁতে রাখে।
গ্রেপ্তার দুই আসামিকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।
সোমবার, ০১ আগস্ট ২০২২
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে শিশু হুমায়রা হত্যা মামলার ২ আসামিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১। সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান র্যাব-১১ এর উপপরিচালক স্কোয়াড্রন লিডার একেএম মুনিরুল আলম।
এর আগে রোববার দিবাগত রাতে মুন্সিগঞ্জ সদরের দক্ষিণ কেওয়ার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার দুই আসামি হলেন- সোনারগাঁয়ের চেঙ্গাকান্দি গ্রামের সেলিম মিয়া ওরফে উদয় (২২) ও তার বাবা শুক্কুর আলী (৫০)।
গত ২৮ জুলাই সোনারগাঁয়ের বড় নয়াগাও এলাকা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় ৭ বছর বয়সী হুমায়রা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহতের মা সেতারা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জন অজ্ঞাত আসামি করে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় এর আগে নিহতের ভাবী বৈশাখী আক্তার ও তার মা মনোয়ারা বেগমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদে আসামিদের দেওয়া তথ্যের বরাতে র্যাব কর্মকর্তা মুনিরুল আলম জানান, হুমায়রার বড়ভাই সজীবের সাথে আসামি সেলিম মিয়ার দ্বন্দ্ব ছিল। সেলিম সজীবের স্ত্রী বৈশাখী আক্তারের (গ্রেপ্তার আসামি) ভগ্নিপতি। এদিকে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে বৈশাখীর সম্পর্কও ভালো যাচ্ছিল না। ওই বিরোধের জেরে সজীবের ছোট বোন হুমায়রাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। সেলিমের কথায় বৈশাখী হুমায়রাকে বাসা থেকে নিয়ে বের হয়। সেলিমের কাছে তুলে দিয়ে বাড়িতে ফিরে বৈশাখী জানায়, শিশু হুমায়রা হারিয়ে গেছে। এদিকে সেলিম শিশুটিকে হত্যা করে মাটির ভেতর পুঁতে রাখে।
গ্রেপ্তার দুই আসামিকে সোনারগাঁ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান র্যাব কর্মকর্তা।