এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে একদল যু্বক লালমনিরহাটে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধিসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাকোরপাড় দিনাদুলি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আজিজুর রহমান মণ্ডলের ছেলে সাহেব মণ্ডলের (৩৮) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রথম আলোর সাংবাদিক আবদুর রব, যমুনা টিভির সাংবাদিক আনিছুর রহমান, এখন টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম ও যমুনা টিভির ক্যামেরা পারসন আহসান সাকিবের ওপর হামলা করে। এ সময় ক্যামেরা, ট্রাইপড ও হেলমেট কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আনিছুর ও মাহফুজুলের অবস্থা গুরুতর। আনিছুরের কপালে ও মাহফুজুলের বাঁ হাতে ক্ষত হয়েছে। আনিছুরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার পর অভিযুক্ত সাহেব মণ্ডল এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তিনি ফোন রিসিভ করছেননা। হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান মণ্ডলের মুঠোফোনেও যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান। তিনি আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু হামলার কথা শুনে রাতে হাসপাতালে এসে আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেন। তিনি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৭ আগস্ট রাতে উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউতির সিন্দুরিয়া গ্রামের বদরুল হাসানের স্ত্রী লাভলী বেগমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুরের ছেলে সুলতান হোসেন মণ্ডল পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সুলতান হোসেন ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ওই ঘটনায় লাভলীর স্বামী বদরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে গিয়েছিলেন ওই চার সাংবাদিক।
এ বিষয়ে সুলতানের বাবা আজিজুরের বক্তব্য নিয়ে ফেরার পথে তাঁর ছেলে সাহেব মণ্ডলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।
শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২
এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে একদল যু্বক লালমনিরহাটে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধিসহ চার সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছে। হামলায় আহতদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাকোরপাড় দিনাদুলি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আজিজুর রহমান মণ্ডলের ছেলে সাহেব মণ্ডলের (৩৮) নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল প্রথম আলোর সাংবাদিক আবদুর রব, যমুনা টিভির সাংবাদিক আনিছুর রহমান, এখন টেলিভিশনের সাংবাদিক মাহফুজুল ইসলাম ও যমুনা টিভির ক্যামেরা পারসন আহসান সাকিবের ওপর হামলা করে। এ সময় ক্যামেরা, ট্রাইপড ও হেলমেট কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করে সন্ত্রাসীরা।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আনিছুর ও মাহফুজুলের অবস্থা গুরুতর। আনিছুরের কপালে ও মাহফুজুলের বাঁ হাতে ক্ষত হয়েছে। আনিছুরকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
হামলার পর অভিযুক্ত সাহেব মণ্ডল এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। তিনি ফোন রিসিভ করছেননা। হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুর রহমান মণ্ডলের মুঠোফোনেও যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের নেতৃত্বে সাংবাদিকদের ওপর হামলার খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে আহত সাংবাদিকদের দেখতে যান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান। তিনি আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেন এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু হামলার কথা শুনে রাতে হাসপাতালে এসে আহত সাংবাদিকদের খোঁজখবর নেন। তিনি হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
গত ৭ আগস্ট রাতে উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের দেউতির সিন্দুরিয়া গ্রামের বদরুল হাসানের স্ত্রী লাভলী বেগমকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুরের ছেলে সুলতান হোসেন মণ্ডল পালিয়ে গেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সুলতান হোসেন ওই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। ওই ঘটনায় লাভলীর স্বামী বদরুল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এ ব্যাপারে তথ্য সংগ্রহ করতে পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নে গিয়েছিলেন ওই চার সাংবাদিক।
এ বিষয়ে সুলতানের বাবা আজিজুরের বক্তব্য নিয়ে ফেরার পথে তাঁর ছেলে সাহেব মণ্ডলের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।