ফরিদপুরে বহুল আলোচিত দুই ভাই মো.ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ঘনিষ্ট সহযোগী হিটার মাষ্টার সাইফুল ইসলাম (৩৫) কে তিনটি মামলার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাইফুল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (পরবর্তীতে বহিস্কার করা হয়)। তিনি ফরিদপুর শহরতলীর বনগ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মল্লিকের ছেলে। রুবেল-বরকতের ক্ষমতার সময়ে তাদের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মারধর ও হামলার মূল নায়ক হিসাবে পরিচিত ছিলো।
রবিবার জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের আদালতে দুটি এবং অতিরিক্ত জেলা জজ-২ এর শিয়াবুল ইসলামের আদালতে একটিসহ তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। তিনটি মামলাতেই তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার আইনজীবী শফিক মুন্সী বলেন, প্রথমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ করা হয়। পরে জেলা জজ আদালতে বাকি দুটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ হয়ে যায়।
মামলার মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা এবং বিআরটিসির ম্যানেজার দুলাল লস্করের চাঁদাবাজীর অভিযোগে দায়ের করা মামলা।
পাশাপাশি সাইফুল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাফরুল অভিযোগে রুবেল-বরকতের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার কোটি মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে যে মামলা করেন ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাইফুল। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ছাড়াও ছোটন হত্যা মামলা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলাসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
২০২০ সালের ১৬ মে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে ১৮ মে মামলা করেন সুবল চন্দ্র সাহা।
ওই মামলার সুত্র ধরে ওই বছর ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। ওই দিন ফরিদপুর-৩ আসানের সংসদ সদস্য সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলীর বদরপুরস্থ আফসানা মঞ্জিল নামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুবেল বরকতসহ ১০জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন সাইফুল।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, আদালতে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর সাইফুলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, মালি লন্ডারিং মামলাসহ বাকি মামলাগুলোতেও সাইফুলকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে।
রোববার, ০২ অক্টোবর ২০২২
ফরিদপুরে বহুল আলোচিত দুই ভাই মো.ইমতিয়াজ হাসান রুবেল ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক (বহিস্কৃত) সাজ্জাদ হোসেন বরকতের ঘনিষ্ট সহযোগী হিটার মাষ্টার সাইফুল ইসলাম (৩৫) কে তিনটি মামলার জামিনের আবেদন নাকচ করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সাইফুল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (পরবর্তীতে বহিস্কার করা হয়)। তিনি ফরিদপুর শহরতলীর বনগ্রামের বাসিন্দা মাজেদ মল্লিকের ছেলে। রুবেল-বরকতের ক্ষমতার সময়ে তাদের নির্দেশে বিভিন্ন ব্যক্তিকে মারধর ও হামলার মূল নায়ক হিসাবে পরিচিত ছিলো।
রবিবার জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখের আদালতে দুটি এবং অতিরিক্ত জেলা জজ-২ এর শিয়াবুল ইসলামের আদালতে একটিসহ তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হয়। তিনটি মামলাতেই তার জামিনের আবেদন নাকচ করে দেন আদালত। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ জামিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতার আইনজীবী শফিক মুন্সী বলেন, প্রথমে অতিরিক্ত জেলা জজ আদালতে একটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ করা হয়। পরে জেলা জজ আদালতে বাকি দুটি মামলার শুনানিতে জামিন নাকচ হয়ে যায়।
মামলার মধ্যে রয়েছে ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম চৌধুরীর উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা, জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক দীপক মজুমদারের উপর হামলা ও কুপিয়ে জখম করা এবং বিআরটিসির ম্যানেজার দুলাল লস্করের চাঁদাবাজীর অভিযোগে দায়ের করা মামলা।
পাশাপাশি সাইফুল পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ঢাকার কাফরুল অভিযোগে রুবেল-বরকতের বিরুদ্ধে ঢাকার কাফরুল থানায় দুই হাজার কোটি মানি লন্ডারিং এর অভিযোগে যে মামলা করেন ওই মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সাইফুল। তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং মামলা ছাড়াও ছোটন হত্যা মামলা, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার অভিযোগে দায়ের করা মামলাসহ আরও বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
২০২০ সালের ১৬ মে শহরের গোয়ালচামট মহল্লার মোল্লাবাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত ব্যাক্তিদের আসামি করে ১৮ মে মামলা করেন সুবল চন্দ্র সাহা।
ওই মামলার সুত্র ধরে ওই বছর ৭ জুন ফরিদপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। ওই দিন ফরিদপুর-৩ আসানের সংসদ সদস্য সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের শহরতলীর বদরপুরস্থ আফসানা মঞ্জিল নামের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রুবেল বরকতসহ ১০জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে ছিলেন সাইফুল।
ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানিয়েছেন, আদালতে জামিনের আবেদন নাকচ হওয়ার পর সাইফুলকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, মালি লন্ডারিং মামলাসহ বাকি মামলাগুলোতেও সাইফুলকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হবে।