alt

অপরাধ ও দুর্নীতি

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলা করতে ৫ বছর পার, তদন্তে গেল ৭ বছর

তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে চায় দুদক -সচিব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

রাষ্ট্রয়াত্ত বেসিক ব্যাংকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা করতে ৫ বছর সময় নেয়ার পর তদন্তে ৭ বছর সময় পার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভুয়া নথিপত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেয়ার ঘটনা প্রকাশ হলে অনুসন্ধান করে মামলা করতে দুদক ৫ বছর পার করেছিল। সাত বছর আগে সাবেক এমডি কাজী ফকরুল ইসলামসহ ১২০ জনের নামে দুদক যে ৫৬ মামলা করেছে তা আগামী ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যার ফলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এসব মামলা তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে চাচ্ছে কমিশন। আর এ কারণে দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

গতকাল এক ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১২০ জনের বিরুদ্ধে যে ৫৬টি মামলা হয়েছে সেই মামলার তদন্ত কার্যক্রম আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর আদালতের নির্দেশনা মেনে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে করা এসব তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পরপরই অনুসন্ধানে নামে দুদক। ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণদানসহ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনাপর্ষদের বিরুদ্ধে। প্রায় পাঁচ বছর অনুসন্ধান শেষে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিনদিনে টানা ৫৬টি মামলা হয়। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১২০ জনকে। এর মধ্যে ঋণগ্রহীতা ৮২ জন, ব্যাংকার ২৭ ও ভূমি জরিপকারী ১১ জন। যদিও এসব মামলায় ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে সমালোচনায় পড়েন দুদক কমিশন।

দুদক সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার তদন্তকাজ যাতে নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হয়, সে লক্ষ্যে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।

দুদক সচিব বলেন, বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার প্রতিটির সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। সে কারণেই সময় লাগছে। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছি।

দুদক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋন কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অনুসন্ধানে নামলেও অনিয়মের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখা থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখা থেকে ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখা থেকে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা এবং দিলকুশা শাখা থেকে ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় তখন মামলায় বলা হয়। অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান এখনও চলছে। এছাড়া বেসিক ব্যাংকসংক্রান্ত বিষয়ে আরও পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম আটটি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। তবে কোন মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। এ বিষয়ে দুদকের বরাবরই বক্তব্য ছিল, ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দালিলিকভাবে আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে দুদকের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গণমাধ্যমের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে বেসিক ব্যাংকের একসময়ের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু বলেছিলেন, ‘আমি যা করেছি সরল মনে করেছি। অনেকক্ষেত্রে ভুল করেছি। তবে সব দায় আমার নয়। কারণ, বোর্ডের অনুমোদনের বাইরে আমি কিছু করিনি।’ জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণের পর চাপের মুখে থাকা বাচ্চু পদত্যাগ করেন। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের সাবেক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল।

জাফলংয়ে বিএনপি নেতার নেতৃত্বে ইজারা বহির্ভূত ইসিএ এলাকা থেকে বালু লুটপাটের মহোৎসব

ছবি

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠানে হামলা, তিনজন আটক

ছবি

মিডফোর্ড হত্যাকাণ্ড: অভিযুক্তদের একজন বলছে ‘আমি শুধু দাঁড়িয়ে ছিলাম, কাউকে মারিনি’, অন্যজন নিজেকে ‘ফাঁসানো’র দাবি

ছবি

১০ মাসে সাড়ে সাত হাজার গ্রেপ্তার, পাঁচ শতাধিক অস্ত্র উদ্ধার:র‌্যাব

ছবি

শ্রীনগরে স্বপন মেম্বার ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফি মামলায় গ্রেফতার

সোনারগাঁয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুল ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, পুলিশের উদাসীনতায় ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা

শেখ হাসিনার বিচার শুরুর নির্দেশ, রাজসাক্ষী হতে চান সাবেক আইজিপি মামুন

ছবি

হাতিরঝিলের হত্যা মামলায় সুব্রত বাইনকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

ছবি

‘বিদেশ থেকে প্রমাণ না মেলায় তদন্ত বিলম্বিত’ — দুদক

ছবি

মালয়েশিয়ায় ‘জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা’: ঢাকায় ৩৫ প্রবাসীর বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

লোহাগাড়ায় ১১ মৃত্যু: অবশেষে ধরা পড়লেন বাস চালক সোহেল

ছবি

অস্ত্র মামলায় আনিসুল হকের দুই দিনের রিমান্ড

ছবি

পলাতক ২৩ জনকে আদালতে হাজিরের নির্দেশ, হাজির না হলে অনুপস্থিতিতেই বিচার

ছবি

পীরগাছায় পুলিশের অভিযানে চুরি হওয়া ৩ মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ৫

ছবি

মুরাদনগরে নারী নির্যাতনের ঘটনায় মূল উসকানিদাতা ভাই শাহ পরাণ: পরিকল্পনায় ‘মব’, ভিডিওও তার ‘নির্দেশে’

ছবি

মুরাদনগরে ধর্ষণ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় চার আসামির তিন দিনের রিমান্ড

ভোটবিহীন নির্বাচন মামলায় নূরুল হুদা কারাগারে, পেলেন না জামিন

ছবি

শেখ রেহানার স্বামী ও তারিক সিদ্দিকের সম্পত্তি জব্দের আদেশ

ছবি

আদালত অবমাননায় শেখ হাসিনার ৬ মাসের কারাদণ্ড

ছবি

বিএনপির মামলায় সাবেক সিইসি নূরুল হুদার জবানবন্দি রেকর্ড শুরু

ছবি

আবু সাঈদ হত্যা মামলা: বেরোবির সাবেক উপাচার্যসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

তিনটি হত্যা মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ, আছেন সাবেক এসপিও

ধর্ষণের পর বিবস্ত্র অবস্থায় মারধর, ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৫

ভুক্তভোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হাইকোর্টের নির্দেশ

রূপগঞ্জে মদ্যপ অবস্থায় অশোভন আচরণ, প্রতিবাদ করায় দুই যুবককে গুলি

নাইক্ষ্যংছড়িতে ইমাম হত্যা,৫ জনকে আসামী করে মামলা

ছবি

হত্যা মামলায় ইনু, কামাল, পলকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখালো আদালত

ছবি

বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলায় প্রিন্স মামুনের বিচার শুরু

ছবি

ব্রিটিশ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগ অস্বীকার করে দুদক চেয়ারম্যান, টিউলিপকে বাংলাদেশি নাগরিক বলেও মন্তব্য

ছবি

১৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অবরুদ্ধ, এস আলম গ্রুপ ও ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আদালতের কঠোর পদক্ষেপ

ছবি

‘ভোটের প্রতারণা’ অভিযোগে রিমান্ড শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি নূরুল হুদার

ছবি

নগদের ১ কোটি টাকার ডাকাতি: রহস্য উদঘাটনের দাবি পুলিশের, উদ্ধার সাড়ে ৩২ লাখ

ছবি

স্বপ্না হত্যা: থানা থেকে সিআইডি, তবু রহস্য অজানা

ছবি

সাক্ষ্যগ্রহণের দিনে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালাল অপহরণ ও হত্যার আসামি

ছবি

আদালত অবমাননার মামলায় আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে ট্রাইব্যুনালের সহায়তাকারী নিযুক্ত

ছবি

সবজি ব্যবসায়ী শাওন হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমান ৪ দিনের রিমান্ডে, আনিসুল হক গ্রেপ্তার

tab

অপরাধ ও দুর্নীতি

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলা করতে ৫ বছর পার, তদন্তে গেল ৭ বছর

তিন মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে চায় দুদক -সচিব

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২২

রাষ্ট্রয়াত্ত বেসিক ব্যাংকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগে মামলা করতে ৫ বছর সময় নেয়ার পর তদন্তে ৭ বছর সময় পার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভুয়া নথিপত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণ দেয়ার ঘটনা প্রকাশ হলে অনুসন্ধান করে মামলা করতে দুদক ৫ বছর পার করেছিল। সাত বছর আগে সাবেক এমডি কাজী ফকরুল ইসলামসহ ১২০ জনের নামে দুদক যে ৫৬ মামলা করেছে তা আগামী ৩ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যার ফলে আগামী ৩ মাসের মধ্যে এসব মামলা তদন্ত শেষ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে চাচ্ছে কমিশন। আর এ কারণে দ্রুত তদন্ত শেষ করে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

গতকাল এক ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন, বেসিক ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১২০ জনের বিরুদ্ধে যে ৫৬টি মামলা হয়েছে সেই মামলার তদন্ত কার্যক্রম আগামী ৩ মাসের মধ্যে শেষ করতে দুদককে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর আদালতের নির্দেশনা মেনে বেসিক ব্যাংকের বিরুদ্ধে করা এসব তদন্ত তিন মাসের মধ্যে শেষ করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশন।

দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের গুলশান, দিলকুশা ও শান্তিনগর শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পরপরই অনুসন্ধানে নামে দুদক। ঋণপত্র যাচাই না করে জামানত ছাড়া, জাল দলিলে ভুয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ঋণদানসহ নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ অনুমোদনের অভিযোগ ওঠে ব্যাংকটির তৎকালীন পরিচালনাপর্ষদের বিরুদ্ধে। প্রায় পাঁচ বছর অনুসন্ধান শেষে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় ২০১৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর তিনদিনে টানা ৫৬টি মামলা হয়। রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও গুলশান থানায় এসব মামলায় আসামি করা হয় ১২০ জনকে। এর মধ্যে ঋণগ্রহীতা ৮২ জন, ব্যাংকার ২৭ ও ভূমি জরিপকারী ১১ জন। যদিও এসব মামলায় ব্যাংকের তৎকালীন চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। এ নিয়ে সমালোচনায় পড়েন দুদক কমিশন।

দুদক সচিব বলেন, আদালতের নির্দেশনা মেনে বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার তদন্তকাজ যাতে নির্ধারিত তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হয়, সে লক্ষ্যে তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা থাকবে।

দুদক সচিব বলেন, বেসিক ব্যাংকের ৫৬টি মামলার প্রতিটির সঙ্গে অনেক বিষয় জড়িত। অনেক তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে হয়। সে কারণেই সময় লাগছে। আমরা আমাদের কর্মকর্তাদের আদালতের নির্দেশনা অনুসরণ করতে বলেছি।

দুদক ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার ঋন কেলেঙ্কারীর অভিযোগে অনুসন্ধানে নামলেও অনিয়মের মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর গুলশান শাখা থেকে এক হাজার ৩০০ কোটি টাকা, শান্তিনগর শাখা থেকে ৩৮৭ কোটি টাকা, প্রধান শাখা থেকে প্রায় ২৪৮ কোটি টাকা এবং দিলকুশা শাখা থেকে ১৩০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয় তখন মামলায় বলা হয়। অভিযোগের বাকি অংশের অনুসন্ধান এখনও চলছে। এছাড়া বেসিক ব্যাংকসংক্রান্ত বিষয়ে আরও পৃথক চারটি মামলা করে দুদক।

ব্যাংকার ও ঋণগ্রহীতাদের অনেকেই একাধিক মামলায় আসামি হয়েছেন। এর মধ্যে ব্যাংকের সাবেক এমডি কাজী ফখরুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে ৪৮টি মামলায়। ডিএমডি ফজলুস সোবহান ৪৭টি, কনক কুমার পুরকায়স্থ ২৩টি, মো. সেলিম আটটি, বরখাস্ত হওয়া ডিএমডি এ মোনায়েম খান ৩৫টি মামলার আসামি। তবে কোন মামলায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুসহ পরিচালনা পর্ষদের কাউকে আসামি করা হয়নি। এ বিষয়ে দুদকের বরাবরই বক্তব্য ছিল, ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় দালিলিকভাবে আবদুল হাই বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে দুদকের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গণমাধ্যমের সামনে নিজের ভুল স্বীকার করে বেসিক ব্যাংকের একসময়ের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চু বলেছিলেন, ‘আমি যা করেছি সরল মনে করেছি। অনেকক্ষেত্রে ভুল করেছি। তবে সব দায় আমার নয়। কারণ, বোর্ডের অনুমোদনের বাইরে আমি কিছু করিনি।’ জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফখরুল ইসলামকে অপসারণের পর চাপের মুখে থাকা বাচ্চু পদত্যাগ করেন। বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারি মামলাগুলোর তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন দুদকের সাবেক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের দল।

back to top