নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি : কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন
রাজধানীর উত্তরায় এক প্রবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন মাহমুদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার পর গত বুধবার রাতে হামলাকারী আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দিন সকালে আসামি সজল মাহমুদ অনি ও শ্যামল মাহমুদ অঞ্জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন মাহমুদ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িতে যেতে না পারার, গত কয়েক বছর ধরে মামলা করে নিজের সম্পত্তি দখলের পক্ষে আদালতের রায় পান। কিন্তু রায় পাওয়ার পর পুলিশের সহযোগিতায় নিজের বাড়িতে উঠলেও মাসহ অন্য দুই ভাই তাকে বাড়িতে উঠতে দিতে রাজি ছিলেন না। নূর উদ্দিনের পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া বাড়ির ভাগ মাসহ অন্য দুই ভাই দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে গত তিন বছর নানা ‘হয়রানির শিকার’ হয়েছেন বাদী নূর উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মাসের ১৭ তারিখ গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আসামিরা বাদীর বাসায় ঢুকে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাদের স্বস্ত্রীক মারপিট করে। সেই সময় আসামি সজল মাহমুদ অনি বাদীর বুকে সজরে আঘাত করতে থাকে। পরে অন্য আসামি শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন বাদীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৬, ৩৫৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
মামলা বাদী নূর উদ্দিন জানান, আমার দুই ভাই পৈত্রিক সম্পতি দখলের জন্য গত তিন বছর আমার ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তা আমার আত্মীয় স্বজনসহ সবাই জানে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভাইদের প্রতি আদালতের ‘ইনজেকশন’ জারির পর আমি এবং আমার স্ত্রী বাড়িতে গেলে আমার দুই ভাই হায়েনার মতো আমাদের আক্রমণ করে। এতে আমি ও আমার স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমার ভাইদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমি নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছি না। কারণ ভাইদের আত্মীয় স্বজন আমাকে বিভিন্নভাবে এখনও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, কোট কাচারি তাদের কাছে মামুলি ব্যাপার। বের হওয়ার পর আমাকে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সংবাদকে বলেন, থানায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ করে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার দুইজন আসামিকে ধরে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।
নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি : কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন
শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৩
রাজধানীর উত্তরায় এক প্রবাসীর ওপর হামলার ঘটনায় আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন মাহমুদ এর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলার পর গত বুধবার রাতে হামলাকারী আপন দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দিন সকালে আসামি সজল মাহমুদ অনি ও শ্যামল মাহমুদ অঞ্জনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, কানাডা প্রবাসী নূর উদ্দিন মাহমুদ পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া বাড়িতে যেতে না পারার, গত কয়েক বছর ধরে মামলা করে নিজের সম্পত্তি দখলের পক্ষে আদালতের রায় পান। কিন্তু রায় পাওয়ার পর পুলিশের সহযোগিতায় নিজের বাড়িতে উঠলেও মাসহ অন্য দুই ভাই তাকে বাড়িতে উঠতে দিতে রাজি ছিলেন না। নূর উদ্দিনের পিতার মৃত্যুর পর ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া বাড়ির ভাগ মাসহ অন্য দুই ভাই দিতে রাজি ছিলেন না। এ নিয়ে গত তিন বছর নানা ‘হয়রানির শিকার’ হয়েছেন বাদী নূর উদ্দিন মাহমুদ।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরও জানা যায়, চলতি মাসের ১৭ তারিখ গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টায় আসামিরা বাদীর বাসায় ঢুকে দেশীয় অস্ত্র লোহার রড ও লাঠি দিয়ে তাদের স্বস্ত্রীক মারপিট করে। সেই সময় আসামি সজল মাহমুদ অনি বাদীর বুকে সজরে আঘাত করতে থাকে। পরে অন্য আসামি শ্যামল মাহমুদ অঞ্জন বাদীর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, আসামিদের বিরুদ্ধে ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৬, ৩৫৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা হয়েছে।
মামলা বাদী নূর উদ্দিন জানান, আমার দুই ভাই পৈত্রিক সম্পতি দখলের জন্য গত তিন বছর আমার ওপর যে অত্যাচার নির্যাতন করেছে তা আমার আত্মীয় স্বজনসহ সবাই জানে। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার ভাইদের প্রতি আদালতের ‘ইনজেকশন’ জারির পর আমি এবং আমার স্ত্রী বাড়িতে গেলে আমার দুই ভাই হায়েনার মতো আমাদের আক্রমণ করে। এতে আমি ও আমার স্ত্রী মারাত্মকভাবে আহত হয়ে টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হই।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ আমার ভাইদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও আমি নিজেকে নিরাপদ ভাবতে পারছি না। কারণ ভাইদের আত্মীয় স্বজন আমাকে বিভিন্নভাবে এখনও হুমকি ধমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, কোট কাচারি তাদের কাছে মামুলি ব্যাপার। বের হওয়ার পর আমাকে জানে মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় আমি একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা হয়ে নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে আছি।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ রায়হানুজ্জামান সংবাদকে বলেন, থানায় মামলা হলে আসামিদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলাটি তদন্তাধীন আছে। তদন্ত শেষ করে প্রকৃত অবস্থা জানা যাবে।
ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ওসি পার্থ প্রতিম ব্রহ্মচারী জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার দুইজন আসামিকে ধরে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।