শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি এলাকায় ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের জমি বিরোধের জেরে আপন ভাই সহ ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জখম হওয়া ৪ জন বর্তমানে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ইদ্রিস বেপারী বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস বেপারী ও সিদ্দিক বেপারী সহোদর ভাই। কিন্তু তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধা নাগাদ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিদ্দিক বেপারী সহ তার পরিবারের লোকজন মিলে ইদ্রিস বেপারী ও তার পরিবারের লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এতে ইদ্রিস বেপারী(৫০), তার স্ত্রী রাশিদা বেগম(৪৫) ও দুই সন্তান রিয়ান বেপারী(১৮) এবং ফাতেমা আক্তার(১৫) গুরুত্বর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা সবাই জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৭ জন সহ ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হলেন যথাক্রমে, সিদ্দিক বেপারী(৫৫), তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে, রফিক বেপারী(২৫), কালু বেপারী(২০), রুহুল আমিন বেপারী(৩০), লাকী আক্তার(২২)। এছাড়াও সিদ্দিক বেপারীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম(৫০) এবং মোস্তফা বেপারী(৩৮)।
মামলার বাদী ইদ্রিস বেপারী বলেন, আমি অসহায় মানুষ। মারামারি ধরাধরি বুঝিনা। আমার বড়ভাই সিদ্দিক বেপারী আর তার স্ত্রী সন্তানরা সবাই জাঁদরেল প্রকৃতির। সবসময় গায়ের জোর দেখায়। আমার সাথে তার জমি সংক্রান্ত ঝামেলা আছে। তা এলাকার গণ্যমান্যরা বসে সমাধান করে দিতে পারে। কিন্তু আমার ভাই তা পাত্তা দেয়না। আমাকেসহ আমার স্ত্রী-সন্তানদের অন্যায়ভাবে আঘাত করা হয়েছে। আমি এর যথাযথ বিচার চাই। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে অনিরাপত্তায় ভুগছি। পুলিশের কাছে দাবী আসামীদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সিদ্দিক বেপারীর ছেলে রফিক বেপারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এবিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, এই ঘটনায় মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সরেজমিনে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের সুরতহাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলা পালেরচর ইউনিয়নের মোল্লা কান্দি এলাকায় ভাইয়ের সাথে ভাইয়ের জমি বিরোধের জেরে আপন ভাই সহ ভাইয়ের স্ত্রী ও দুই সন্তানকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। জখম হওয়া ৪ জন বর্তমানে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত ইদ্রিস বেপারী বাদী হয়ে জাজিরা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ইদ্রিস বেপারী ও সিদ্দিক বেপারী সহোদর ভাই। কিন্তু তাদের দুই পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলে আসছিল। তারই জের ধরে গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধা নাগাদ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সিদ্দিক বেপারী সহ তার পরিবারের লোকজন মিলে ইদ্রিস বেপারী ও তার পরিবারের লোকজনদের উপর হামলা চালায়। এতে ইদ্রিস বেপারী(৫০), তার স্ত্রী রাশিদা বেগম(৪৫) ও দুই সন্তান রিয়ান বেপারী(১৮) এবং ফাতেমা আক্তার(১৫) গুরুত্বর জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বর্তমানে তারা সবাই জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫/৭ জন সহ ১৪ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলায় আসামীরা হলেন যথাক্রমে, সিদ্দিক বেপারী(৫৫), তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে, রফিক বেপারী(২৫), কালু বেপারী(২০), রুহুল আমিন বেপারী(৩০), লাকী আক্তার(২২)। এছাড়াও সিদ্দিক বেপারীর স্ত্রী পিয়ারা বেগম(৫০) এবং মোস্তফা বেপারী(৩৮)।
মামলার বাদী ইদ্রিস বেপারী বলেন, আমি অসহায় মানুষ। মারামারি ধরাধরি বুঝিনা। আমার বড়ভাই সিদ্দিক বেপারী আর তার স্ত্রী সন্তানরা সবাই জাঁদরেল প্রকৃতির। সবসময় গায়ের জোর দেখায়। আমার সাথে তার জমি সংক্রান্ত ঝামেলা আছে। তা এলাকার গণ্যমান্যরা বসে সমাধান করে দিতে পারে। কিন্তু আমার ভাই তা পাত্তা দেয়না। আমাকেসহ আমার স্ত্রী-সন্তানদের অন্যায়ভাবে আঘাত করা হয়েছে। আমি এর যথাযথ বিচার চাই। আমি ও আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে অনিরাপত্তায় ভুগছি। পুলিশের কাছে দাবী আসামীদের যেন দ্রুত আইনের আওতায় আনা হয়।
বিষয়টি সম্পর্কে জানতে সিদ্দিক বেপারীর ছেলে রফিক বেপারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এবিষয়ে কোন কথা বলতে এবং তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
এবিষয়ে জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান সংবাদকে বলেন, এই ঘটনায় মামলার আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সরেজমিনে জাজিরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে আহতদের সুরতহাল সংগ্রহ করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।