বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এলে ওই শিক্ষককে আটক করে শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায় ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সে এলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটা মামলা আছে। আমরা তাকে কোনো কিছু না করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ওপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আশুলিয়া থানা যদি তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় তা–ও করতে পারে। অন্যদিকে যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ থাকে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে, তাহলে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।’
শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গত ১৭ জুলাই জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলায় মদদ দেওয়ার অভিযোগে শিক্ষক অধ্যাপক ফরিদ আহমদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এলে ওই শিক্ষককে আটক করে শিক্ষার্থীরা কোতোয়ালি থানায় নিয়ে যায়।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৫ জুলাই ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের বিরুদ্ধে। গত ১৭ জুলাই বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের কথোপকথন ফাঁস হলে দেখা যায় ফরিদ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের রাজাকার বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘আরেকটু অপেক্ষা করুন রাজাকারদের পরাজয় আসন্ন।’ শেখ হাসিনার পতনের পর গত ১৮ আগস্ট ফরিদ উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন তাঁর বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গত ১৫ জুলাই রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য নুরুল আলমকে প্রধান করে আশুলিয়া থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদুল ইসলাম। মামলায় হামলার মদদ দেওয়ার অভিযোগে ফরিদ উদ্দিনকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহিদ ইসলাম বলেন, ‘আজ সকালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে সে এলে আমরা তাকে চিনতে পারি। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ ও পুলিশের হামলায় সহযোগিতা করায় তার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটা মামলা আছে। আমরা তাকে কোনো কিছু না করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি।’
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা তাঁকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে আটক করে আমাদের কাছে সোপর্দ করে দিয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ওপর হামলার ঘটনায়। তিনি এখন আমাদের হেফাজতে আছেন। আশুলিয়া থানা যদি তাঁকে গ্রেপ্তার দেখায় তা–ও করতে পারে। অন্যদিকে যদি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ থাকে তাঁকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে, তাহলে আমরা গ্রেপ্তার করে আদালতের কাছে সোপর্দ করব।’