চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছভুক্ত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজেদের পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
শুক্রবার সকালে, ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে নিজের ভর্তি পদ্ধতির অধীনে ভর্তি পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফায় দফায় অনুরোধ এবং নির্দেশনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এই বছরের ভর্তি পরীক্ষা, বিশেষ করে চারুকলা অনুষদ বা ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ চার বছরের বিরতির পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব পদ্ধতিতে ফিরলো। প্রথমে পরীক্ষার তিনটি শিফটে আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল, তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এক শিফটে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬০টি আসনের বিপরীতে মোট ১ হাজার ৩৭৫ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলপ্তগীন তুষার বলেন, “গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে আমরা খুবই সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করেছি। আজকের পরীক্ষায় প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেছেন, যা আমাদের জন্য একটি সফল প্রয়াস।”
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষা। ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) পরীক্ষা। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, সর্বশেষ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল। ওই সময়, শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি মোট জিপিএ হিসাব করে প্রথম দফায় বাছাই করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
এরপর, ২০২০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে, গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে শুরু করেছিল। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার কাজ চালু থাকলেও, ২০২৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রথাগত পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এবং আগামীতে শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের সুবিধা তৈরি হবে। তবে যা স্পষ্ট, তা হলো, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগত এবং প্রশাসনিক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে, এই নতুন ভর্তি পদ্ধতি আরও সুশৃঙ্খল, দ্রুত এবং কার্যকর হবে।
চলতি বছর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে গুচ্ছভুক্ত পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে নিজেদের পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫
শুক্রবার সকালে, ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে নিজের ভর্তি পদ্ধতির অধীনে ভর্তি পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দফায় দফায় অনুরোধ এবং নির্দেশনার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষার আয়োজন করেছে। এই বছরের ভর্তি পরীক্ষা, বিশেষ করে চারুকলা অনুষদ বা ‘ই’ ইউনিটের পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ চার বছরের বিরতির পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
শুক্রবার সকাল দশটায় অনুষ্ঠিত ‘ই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজস্ব পদ্ধতিতে ফিরলো। প্রথমে পরীক্ষার তিনটি শিফটে আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল, তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এক শিফটে পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ৬০টি আসনের বিপরীতে মোট ১ হাজার ৩৭৫ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আলপ্তগীন তুষার বলেন, “গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে আমরা খুবই সুশৃঙ্খলভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করেছি। আজকের পরীক্ষায় প্রায় ৯০ শতাংশ আবেদনকারী অংশগ্রহণ করেছেন, যা আমাদের জন্য একটি সফল প্রয়াস।”
এ বছর বিশ্ববিদ্যালয়টি চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার পর আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘ডি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষা। ১৫ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও আইন অনুষদ) পরীক্ষা। এরপর ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, সর্বশেষ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছিল। ওই সময়, শিক্ষার্থীদের এসএসসি এবং এইচএসসি মোট জিপিএ হিসাব করে প্রথম দফায় বাছাই করা হয়েছিল। পরবর্তীতে, তাদের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।
এরপর, ২০২০ সাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে, গুচ্ছভুক্ত পরীক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণ করতে শুরু করেছিল। এই পদ্ধতির মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষার কাজ চালু থাকলেও, ২০২৫ সালের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে তারা নিজেদের প্রথাগত পদ্ধতিতে ফিরে এসেছে।
এখন প্রশ্ন হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্ত কতটা প্রভাব ফেলবে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এবং আগামীতে শিক্ষার্থীদের জন্য কী ধরনের সুবিধা তৈরি হবে। তবে যা স্পষ্ট, তা হলো, এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তারা একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাগত এবং প্রশাসনিক সাফল্য অর্জন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ আশা করছে যে, এই নতুন ভর্তি পদ্ধতি আরও সুশৃঙ্খল, দ্রুত এবং কার্যকর হবে।